ইউরেনিয়াম উত্তোলন বিতর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইউরেনিয়াম উত্তোলন বিতর্কে পারমাণবিক শক্তি অথবা পারমাণবিক অস্ত্র এর জন্য ইউরেনিয়াম ব্যবহারে রাজনৈতিক ও পরিবেশ সংক্রান্ত বিতর্কগুলো অন্তর্ভুক্ত।

কাকাডু জাতীয় উদ্যানে রেঞ্জার ইউরেনিয়াম খনি

পটভূমি[সম্পাদনা]

২০০৯ সালের হিসাব অনুযায়ী ইউরেনিয়াম উৎপাদনের ক্ষেত্রে রপ্তানি বাজারে কাজাখস্তান ছিল সর্ববৃহৎ রপ্তানিকারক (২৭%)। কাজাখস্তানের পরেই আসে কানাডা (২০%) এবং অস্ট্রেলিয়া (১৬%)।[১] বিশ্বের মোট ইউরেনিয়াম খনি রিজার্ভে ২৩%-ই আছে অস্ট্রেলিয়ায়।[২] এবং বিশ্বের সর্ববৃহৎ একক ইউরেনিয়াম deposit দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার অলিম্পিক ড্যাম মাইনে অবস্থিত।[৩]

১৯৭৬ এবং ১৯৭৭ সালে ইউরেনিয়াম উত্তোলন অস্ট্রেলিয়ায় সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক আলোচনায় পরিণত হয় এক্ষেত্রে রেঞ্জার ইনকয়ারি (ফক্স) রিপোর্ট ইউরেনিয়াম উত্তোলন বিষয়ে একটি জনবিতর্ক শুরু করেছিল।[৪] ইউরেনিয়াম উত্তোলন এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে এবং ইউরেনিয়াম উত্তোলনের বিরুদ্ধে তখন অনেক প্রতিবাদ এবং মিছিল হয়েছিল।[৪][৫] এক্ষেত্রে ইউরেনিয়াম উত্তোলন বিষয়ক স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং পরিবেশগত ক্ষতির বিষয়টি উদ্বেগের সৃষ্টি করেছিল।

১৯৭৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টি (ALP) তাদের জাতীয় সভায় ইউরেনিয়াম উত্তোলনের ক্ষেত্রে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞাকে নিজেদের নির্বাচনী দাবী হিসেবে পাস করে। অস্ট্রেলিয়ার নিউক্লিয়ার বিরোধী আন্দোলন তাই লেবার পার্টিকে সমর্থন করে আর এর ভিত্তিতে লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টি ১৯৮৩ সালে নির্বাচনে জয়ী হবার পর ১৯৮৪ সালে শ্রীমা "তিন খনি নীতি" এর পক্ষে ভোট দেয়।[৬]

রেঞ্জার ইউরেনিয়াম মাইনের ৩ নং পিট

অস্ট্রেলিয়ায় অলিম্পিক ড্যাম (রক্সবি) এবং বেভারলিতে তিনটি কার্যকরী ইউরেনিয়াম খনি আছে এবং এদের দুটো দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার উত্তরে অবস্থিত এবং একটি উত্তর অঞ্চলের রেঞ্জারে অবস্থিত। .২০০৯ সালের এপ্রিলে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় চতুর্থ ইউরেনিয়াম খনিতে উত্তোলন শুরু হয় যা হানিমুন ইউরেনিয়াম খনি নামে পরিচিত।[৭]

নামিবিয়ায় অবস্থিত রোজিং ইউরেনিয়াম খনি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কার্যকরী থাকা ওপেন পিট ইউরেনিয়াম খনি। এই ইউরেনিয়াম মিলের যে ট্যালিং ড্যাম বা জলাধার আছে, কয়েক বছর ধরে তাতে ছিদ্র হয়ে এখানকার জল বাইরে বের হয়ে আসে। এবং ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দুর্ঘটনাবশত এই দামের গঠনগত ধ্বংসের কারণে একটি বিশাল পরিমাণ জল এর বাইরে চলে যায়।[৮] Commission de Recherche et d'Information Independentantes sur la Radioactivite (CRIIAD) নামে একটি ফ্রান্স ভিত্তিক গবেষণাগার তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে যে, এই খনির চারপাশে বিশাল মাত্রায় তেজস্ক্রিয় পদার্থ রয়েছে।[৯][১০]

উল্লেখযোগ্য ইউরেনিয়াম আন্দোলনকারীদের মধ্যে রয়েছেন কেভিন বুজাকট (অস্ট্রেলিয়া), জ্যাকুই কাটোনা (অস্ট্রেলিয়া), ইভোন মারগারুলা (অস্ট্রেলিয়া), জিলিয়ান মারশ (অস্ট্রেলিয়া), ম্যানুয়েল পিনো (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), জোয়ান টল (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), এবং সুন জিয়াওদি (চীন)।[১১][১২][১৩] খনিগুলোতে কার্যাবস্থা এবং উত্তোলন কর্মীদের উপর এর প্রভাব সংক্রান্ত অনেক প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে যেখানে বারবার ইউরেনিয়াম উত্তোলনের প্রতি অভিযোগ উঠে এসেছে।[১৪]

ইউরেনিয়াম উত্তোলন এর স্বাস্থ্যঝুঁকি[সম্পাদনা]

হচফরমাটে আরান্দিজ খনি

ইউরেনিয়ামের খনি রেডন গ্যাস নির্গত করে বলে পর্যাপ্ত পরিমাণে বায়ু চলাচল ব্যবস্থা বিদ্যমান না থাকলে এটি অন্যান্য উত্তোলনের তুলনায় ইউরেনিয়াম উত্তোলন অনেক বেশি বিপজ্জনক হতে পারে। ১৯৫০ এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাভাজো জনগোষ্ঠীর অনেকেই ইউরেনিয়াম উত্তোলনের কাজে যোগদান করে, কারণ নাভাজোদের জন্য সংরক্ষিত অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে ইউরেনিয়ামের মজুদ আবিষ্কৃত হয়েছিল। পরবর্তীকালে পরিসংখ্যানগতভাবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে উত্তোলন শ্রমিকদের মধ্যে স্মল সেল কারসিনোমা (একরকম ক্যান্সার) দেখা যায়, যার কারণ ছিল ইউরেনিয়াম খনির প্রভাব।[১৫] রেডন ২২২ হল ইউরেনিয়ামের একটি প্রাকৃতিক ক্ষয়মুলক উৎপাদ, যা একই সাথে একটি ক্যান্সার সৃষ্টিকারী এজেন্ট।[১৬] যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯০ সালে এই ক্ষয়ক্ষতির জন্য রেডন এক্সপোজার কম্পেনসেশন অ্যাক্ট ( radiation exposure compensation act) নামক আইনটি পাশ হয়। ইউরেনিয়াম উত্তোলনে কাজ করেছিলেন কিন্তু এখনও বেঁচে আছেন, যুক্তরাষ্ট্রীর এমন কিছু ব্যক্তি এবং তাদের বংশধরগণ এই আইনের আওতায় ক্ষতিপূরণ লাভ করেন, এবং ২০১৬ সালে তারা পদক গ্রহণের অধিকারও অর্জন করেন। এর সফল দাবীদারদের মধ্যে ইউরেনিয়াম উত্তোলন শ্রমিক, এই কারখানার শ্রমিক এবং আকরিকের পরিবহনকারীগণ ছিলেন।

ইউরেনিয়াম প্রস্তুতকরণের অবশিষ্টাংশ হিসেবে রেডন থেকে যায়। এই রেডন এর কারণে ইউরেনিয়াম উত্তোলনের ঢাকনাবিহীন বর্জ্য পদার্থে ও ট্যালিং পন্ডে উচ্চমাত্রায় রেডিয়াম এর উপস্থিতি দেখা যায়। এসব জায়গা থেকে সহজেই বায়ুমন্ডলে এই পদার্থ নির্গত হতে পারে।[১৭]

এছাড়াও লিচিং প্রক্রিয়ার কারণে ভূগর্ভস্থ জল এবং ভূপৃষ্ঠের জলে দূষণ ঘটতে পারে। ২০১১ সালের জুলাইয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) খাবার জলের মান নিয়ে চতুর্থ নীতিমালা প্রণয়ন করে। এক্ষেত্রে খাবার জলে ইউরেনিয়াম এর সীমা বাড়িয়ে ৩০ μg/L করা হয়। কারখানার ট্যালিং অথবা অথবা উত্তোলনের স্থানের আশেপাশের পরিবেশে ইউরেনিয়াম এর মাত্রা এই সীমাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।[১৮]

2008 সালে জানুয়ারি মাসে আরেভা নামের একটি ফ্রান্সের সরকারের অধিকৃত কোম্পানি অ্যান্টি অস্কার পদকের জন্য মনোনীত হয়।[১৯] এই কোম্পানিটি উত্তর নাইজার অঞ্চলে ইউরেনিয়াম উত্তোলন করে যেখানে এর উত্তোলক শ্রমিকগণ ইউরেনিয়াম এর স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন নন। সেই অঞ্চলটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সেখানকার বায়ু, জল এবং মাটিতে তেজস্ক্রিয় দূষণ ঘটেছে। শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী স্থানীয় সংগঠন শ্রমিকদের সন্দেহজনক মৃত্যু সম্পর্কে জানায়। এই মৃত্যুর কারণ ছিল তেজস্ক্রিয় ধূলিকণা এবং দূষিত ভূগর্ভস্থ জলের কারণে ঘটে।[২০]

ইউরেনিয়াম উত্তোলন এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠী[সম্পাদনা]

সমগ্র বিশ্বজুড়ে বৃহৎ আকারে ইউরেনিয়াম উত্তোলনকার্য আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। আদিবাসী অঞ্চলের ঐতিহ্য, জীবনাচার এবং সংস্কৃতি যেখানে হুমকির সম্মুখে, একই সাথে যেখানে এই আদিবাসী গোষ্ঠীর স্বাস্থ্য এবং সেখানকার পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে, সেখানে এই প্রান্তিক অঞ্চলের অর্থনৈতিক বিকাশ প্রশ্নের সম্মুখীন হয়।[২১] জাবিলুকা ইউরেনিয়াম খনিটি অস্ট্রেলিয়ার কাকাডু জাতীয় উদ্যানে অবস্থিত। এটি একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং মীরার আদিবাসী সংস্কৃতির ধারক। এক্ষেত্রে উত্তরউপনিবেশবাদের প্রয়োগ, মানুষ ও অন্যান্য প্রজাতির স্বাস্থ্য ও জীবনে উত্তোলনের প্রভাব, এবং জলের স্বল্প উৎস্যে উত্তোলনের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে উত্তোলন শিল্প, মীরার জনগোষ্ঠী, বাস্তুসংস্থানবিদ এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে বিবাদ চলছে।[২২][২৩] ভারতের বর্ধিষ্ণু পারমাণবিক শক্তি শিল্পে ইউরেনিয়াম উত্তোলন, কারখানা তৈরি এবং ইউরেনিয়াম প্রস্তুতকরণ আদিবাসী গোষ্ঠীর ও সম্প্রদায়ের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।[২৪] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদিবাসী ও ফার্স্ট ন্যাশন এর মুখপাত্র এবং উইনোনা লাডিউক আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উপর ইউরেনিয়াম উত্তোলনের ক্ষতিকর প্রভাবকে বিষদাকারে তুলে ধরেছেন।[২৫][২৬] ১৯৮০ এর দশকে বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত জ্যাকপাইল ইউরেনিয়াম খনি ছিল বিশ্বের সবচাইতে বৃহৎ ওপেন-পিট ইউরেনিয়াম খনি। এই খনিটি নিউ মেক্সিকো এর লেগুনা পুয়েব্লো ভূমিতে অবস্থিত ছিল এবং এটি আড়াই হাজার একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত ছিল। এই খনির শ্রমিক হিসেবে নাভাজো জনগোষ্ঠী ছাড়াও লাগুনা, ক্যানিওনসিটো, আকোমা এবং জুনি পুয়েব্লো জনগোষ্ঠী কাজ করত।[২৭][২৮]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "World Uranium Mining"। World Nuclear Association। ২০১৮-১২-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-২৪ 
  2. "Supply of Uranium"। ৯ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৮ 
  3. "Uranium Mining and Processing in South Australia"। South Australian Chamber of Mines and Energy। ২০০২। ২০১২-০১-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০১-১৪ 
  4. Bauer, Martin (ed) (1995). Resistance to New Technology, Cambridge University Press, p. 173.
  5. Drew Hutton and Libby Connors, (1999). A History of the Australian Environmental Movement, Cambridge University Press.
  6. Burgmann, Verity (2003). Power, Profit and Protest pp. 174-175. Retrieved 8 December 2009.
  7. Work begins on Honeymoon uranium mine ABC News, April 24, 2009. Retrieved 8 February 2010.
  8. WISE Uranium Project। "Issues at Rössing Uranium Mine, Namibia"। World Information Service on Energy, Uranium Project। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  9. Commission de Recherche et d’Information Indépendantes sur la Radioactivité। "Preliminary results of CRIIRAD radiation monitoring near uranium mines in Namibia" (পিডিএফ)April 11, 2012। CRIIAD। ১৮ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  10. Commission de Recherche et d’Information Indépendantes sur la Radioactivité। "CRIIRAD Preliminary Report No. 12-32b Preliminary results of radiation monitoring near uranium mines in Namibia" (পিডিএফ)April 5, 2012। CRIIRAD EJOLT Project। ৩০ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  11. Phil Mercer. Aborigines count cost of mine BBC News, 25 May 2004.
  12. Anti-uranium demos in Australia BBC World Service, 5 April 1998.
  13. Jennifer Thompson. Anti-nuke protests ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে Green Left Weekly, 16 July 1997.
  14. SOMO। "Uranium workers Namibia unaware of severe health risks"May 12, 2009। SOMO, Netherlands। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  15. Gottlieb, LS; LA Husen (১৯৮২-০৪-০১)। "Lung cancer among Navajo uranium miners"Chest81 (4): 449–452। ডিওআই:10.1378/chest.81.4.449পিএমআইডি 6279361। ২০০৭-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৮-০৯ 
  16. Harley, Naomi; Ernest Foulkes; Lee H. Hilborne; Arlene Hudson; C. Ross Anthony (১৯৯৯)। "Chapter 2: Health Effects"A Review of the Scientific Literature As It Pertains to Gulf War IllnessesRAND Corporation। পৃষ্ঠা Volume 7: Depleted Uranium। ২০০৮-০৬-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-১০ 
  17. P. Zoriy; M. Schläger; K. Murtazaev; J. Pillath; M. Zoriy; B. Heuel-Fabianek (২০১৬)। "Radon exhalation of the uranium tailings dump Digmai, Tajikistan"Journal of Environmental Radioactivity (English ভাষায়)। পৃষ্ঠা 109–117। ডিওআই:10.1016/j.jenvrad.2017.11.010। ৪ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  18. Schläger, Martin; K. Murtazaev; B. Rakhmatuloev; P. Zoriy; B. Heuel-Fabianek (২০১৬)। "Monitoring of uranium concentrations in water samples collected near potentially hazardous objects in North-West Tajikistan"Radiation and Applications (English ভাষায়)। International Union of Radioecology। পৃষ্ঠা 222–228। ডিওআই:10.21175/RadJ.2016.03.041 
  19. Aldred, Jessica (জানুয়ারি ২২, ২০০৮)। "Awards shine spotlight on big business green record"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-১০ 
  20. "Public Eye Denounces Areva and Glencore, Praises Hess Natur" (পিডিএফ)। The Public Eye Awards। জানুয়ারি ২৩, ২০০৮। ২০০৮-০৫-১৭ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-১০ 
  21. O'Faircheallaigh, Ciaran (মার্চ ১৯৮৮)। "Resource development and inequality in indigenous societies"World Development26 (3): 381–394। ডিওআই:10.1016/s0305-750x(97)10060-2। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  22. Banerjee, Suhabrata Bobby। "Whose Land Is It Anyway? National Interest, Indigenous Stakeholders, and Colonial Discourses The Case of the Jabiluka Uranium Mine"Organization & Environment। RMIT University। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  23. "Environmental Justice Case Study: The Jabiluka Mine and Aboriginal Land Rights in Australia's Northern Territory"। University of Michigan। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  24. Karlsson, BG (আগস্ট ২২–২৮, ২০০৯)। "Nuclear lives: Uranium Mining, indigenous peoples, and Development in India"Economic and Political Weekly44 (34): 43–49। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  25. LaDuke, Winona (জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারি ২০০৯)। "Uranium Mining, Native Resistance, and the Greener Path"Orion Magazine। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  26. "Uranium Mining and Milling"। WISE Uranium Project: World Information Service on Energy। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  27. "Laguna Pueblo Indian Reservation Case Study: Jackpile-Paguate Mine, New Mexico"MiningWatch Canada। জানুয়ারি ২৮, ২০০৭। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  28. Frosch, Dan (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "Nestled Amid Toxic Waste, a Navajo Village Faces Losing its Land Forever"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪