পর্নোগ্রাফির ক্ষেত্রে নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পর্নোগ্রাফির ক্ষেত্রে নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গি নির্ভর করে যে নারীবাদটা কি রকম, যদি যৌন-স্বাধীনতা বিরোধী নারীবাদ হয় (সেক্স নেগেটিভ ফেমিনিজম) তাহলে এরূপ নারীবাদীরা পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে বিভিন্ন যুক্তি খাড়া করবেন যেমন পর্নোগ্রফিতে পুরো উলঙ্গ নর-নারী দেখানো হয় যা মানুষের লাজুকতাকে কমিয়ে দিতে পারে কিংবা নারীদেরকে একটি ভোগ্যবস্তু হিসেবে দেখানো হয় এটাও যৌন-স্বাধীনতা বিরোধী নারীবাদীদের মূল বক্তব্য হতে পারে এ ক্ষেত্রে। অপরদিকে যৌন-স্বাধীনতাবাদী নারীবাদীরা ঠিক এর উল্টো ধারণা পোষণ করেন, তারা বলেন যে প্রত্যেক মানুষের অধিকার আছে তার নগ্ন দেহ অন্য মানুষকে দেখানোর, এই বিশ্বাস থেকে একজন নারী বা পুরুষ পর্ন অভিনেত্রী বা অভিনেতা হতে পারেন। তাছাড়া মানুষ কীভাবে যৌনমিলন করে বা করবে এবং যৌনতার সকল কলা পর্নোগ্রাফিতে প্রদর্শিত হয় বিধায় যৌন-স্বাধীনতাবাদীরা এর পক্ষে কথা বলেন।[১][২][৩][৪][৫]

পর্নোগ্রাফি বিরোধী নারীবাদ[সম্পাদনা]

কিছু কিছু নারীবাদী মনে করেন পর্নোগ্রাফি হচ্ছে নারীদের শোষণের একটি হাতিয়ার। পর্নোগ্রাফিতে নারীদের যেভাবে উপস্থাপন করা হয় তাতে বোঝানো হয় যে নারীরা শুধুই পুরুষদের ভোগ্যবস্তু, নারীদের মলদ্বারে পুংলিঙ্গ প্রবেশ করিয়ে পুরুষদের মন-মানসিকতায় এমন একটা প্রভাব ফেলা হয় যে নারীদের মলদ্বার যোনির মতই, অথচ তা সম্পূর্ণ ভুল। যদিও চলচ্চিত্রে নগ্নতা দেখানোকে পর্নোগ্রাফির কাতারে আজ পর্যন্ত কেউ ফেলেননি।

অন্যদিকে পর্নোগ্রাফিতে যেহেতু পুরুষদেরকেও পুরোপুরি উলঙ্গ দেখানো হয় সেইজন্যে পর্নোগ্রাফি বিরোধী নারীবাদীরা একটু ঘুরিয়েও বলেন যে, ওখানে শিশ্নধারীরাও তো তাদের দেহ পুরোটা দেখায় এবং বহু নারী পুরুষদের মলদ্বারেও ডিলডো প্রবেশ করান।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Willis, Ellen. (১৮ অক্টোবর ২০০৫)। "Lust horizons: the 'voice' and the women's movement"Village Voice (50th Anniversary special সংস্করণ)। ১৮ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ 
  2. "FFE: Mission"ffeusa.org। Feminists for Free Expression (FFE)। ২৬ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ 
  3. MacKinnon, Catharine A.; Dworkin, Andrea (২৬ আগস্ট ১৯৯৪)। "Statement by Catharine A. MacKinnon and Andrea Dworkin regarding Canadian customs and legal approaches to pornography"। nostatusquo.com। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০০৯  (Archived at Andrea Dworkin Web Site.)
  4. Rapp, Linda (২০০৯)। "Dworkin, Andrea (1946-2005)" (pdf)GLBTQ Journal। Wik Wikholm (1–3): 3। 
  5. Dworkin, Andrea (১৯৮৯)। "Pornography is a civil rights issue: 1986"। Dworkin, AndreaLetters from a War Zone: Writings, 1976-1989। New York: E.P. Dutton। পৃষ্ঠা 278, 300–301। আইএসবিএন 9780525248248. 
  6. Nault, Curran (Summer ২০১০)। "Bend Over Boyfriend to Take it Like a Man: pegging pornography and the queer representation of straight sex"Jump Cut (52)। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৫, ২০১৬