দ-পর্বতীয়ার শিলদ্বার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দ-পর্বতীয়ার শিলদ্বার
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম

তেজপুর শহরের থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে দ-পর্বতীয়া নামের গ্রামে ইতিহাস প্রসিদ্ধ দ-পর্বতীয়ার শিলার দুয়ার অবস্থিত। এই স্থান ভারতীয় পুরাতত্ত্ব জরীপ বিভাগ দ্বারা সংরক্ষিত করা হয়েছে[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯২১-১৯২২ সালে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব জরীপ বিভাগের খনন কার্যের থেকে দ-পর্বতীয়াতে উদ্ধার হয় পাথরের মন্দিরর উপর আহোম যুগতমে পাথর এবং ইট দিঢে নির্মিত দেবালয়ের গাঁথনি। মনে করা হয় যে, এই স্থানে বাণরাজা হরি-হরের মিলন ভূমির স্মৃতি চিরজাগরূক করে রাখার জন্য ’হরি হরাত্মক’ শিব প্রতিষ্ঠা করে মন্দির নির্মাণ করিয়েছিলেন। কৃষ্ণর হাতে বাণ যুদ্ধে পরাজিত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর কৃষ্ণের প্রতি বাণের ভক্তি জেগেছিল এবং হরি-হর অভিন্ন বলে জ্ঞান হয়েছিল । তিনি হরি হরাত্মক শিব মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এই মন্দিরটি আহোম রাজার আমলে পুনরায় নির্মাণ করা হয়েছিল যদিও ১৮৯৭ সালের বৃহৎ ভূমিকম্পে তা ধ্বংস হয় । বর্তমান থাকা চিহ্নস্বরূপ ইটগুলি দেখা যায়। রায় বাহাদুর কনক লাল বরুয়ার মতে এখনকার এই মন্দির কামরূপ নৃপতি ভাস্কর বর্ম্মার পূর্বে পঞ্চম ষষ্ঠ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত । বর্তমানের শিলের দ্বার এই মন্দিরের ভগ্নাবশেষ । কোনো কোনো প্রত্নতত্ববিদ একে গুপ্ত যুগের আগের পুরানো স্মৃতি চিহ্ন বলে মনে করেন।

উল্লেখনীয় দিক[সম্পাদনা]

এর বৈশিষ্ট এই যে এর মূর্ত্তিগুলি খোদাই করা নয়, বাইরের থেকে তৈরি। স্তম্ভটির মধ্যে হাতে মালা নিয়ে উড়ন্ত গরুড় । ওপরে লানির বাঁদিকে ডম্বরু নিয়ে চার হাতের শিব । ঘোড়ার মত মুখের আকৃতি থাকা নর মূর্ত্তি । কাছে দুটি নারী মুর্ত্তি । বাঁশিবাদক কৃষ্ণ । দুইহাতে পদ্ম নিয়ে থাকা সূর্য্য । স্তম্ভ দুটোর নিচে হাতে মালা নিয়ে গংগা-যমুনার মুর্ত্তি । পর্যটকের জন্য এই তোরণ বিশেষভাবে আকর্ষণীয়[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Swati Mitra (২০১১)। Assam Travel Guide। Goodearth Publications। পৃষ্ঠা 83–। আইএসবিএন 978-93-80262-04-8। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  2. বিশ্ব ঐতিহ্য, লেখক: শান্তনু কৌশিক বরুয়া, পৃষ্ঠা নং: ?