টম ডিউডনি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
টম ডিউডনি
ক্রিকেট তথ্য
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪০
রানের সংখ্যা ১৭ ১৭১
ব্যাটিং গড় ২.৪২ ৫.৭০
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৫* ৩৭*
বল করেছে ১,৬৪১ ৫,৫৬৬
উইকেট ২১ ৯২
বোলিং গড় ৩৮.৪২ ৩০.৭৩
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৫/২১ ৭/৫৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/০ ৬/০
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৩ এপ্রিল ২০১৮

ডেভিড টমাস ডিউডনি (ইংরেজি: Tom Dewdney; জন্ম: ২৩ অক্টোবর, ১৯৩৩) জ্যামাইকার কিংস্টনে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে জ্যামাইকার প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন টম ডিউডনি

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে মাত্র দুইটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। এ সময়ে তিনটি উইকেট দখল করেন তিনি। এরপর ঐ মৌসুমের শেষদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন। চতুর্থ ও পঞ্চম টেস্টে বোলিং উদ্বোধনে নামেন। তন্মধ্যে চতুর্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪/১২৫ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ফলশ্রুতিতে ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য মনোনীত হন টম ডিউডনি। ঐ সিরিজে তিন টেস্টে অংশ নিয়ে ৮ উইকেট দখল করেন তিনি। এরফলে নিজের নামের পার্শ্বে নতুন বলের অধিকারী উদীয়মান বোলারের তকমা লাগান।[১] অকল্যান্ডের চতুর্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৯.৫ ওভার বোলিং করে ৫/২১ লাভ করেন।[২]

ইংল্যান্ড গমন[সম্পাদনা]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৭/৫৫। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে নরফোকের ডিউক একাদশের বিপক্ষে এ কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি। দলটির অধিকাংশ সদস্যই তখন ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে খেলতেন।[৩] এরফলে ১৯৫৭ সালে ইংল্যান্ড সফরের জন্য তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। সফরের প্রথম-শ্রেণীর খেলাগুলোয় যথেষ্ট সফলতা পান তিনি। ২৭.০৫ গড়ে ৩৬ উইকেট পান। তন্মধ্যে গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৫/৬৯ লাভ করেছিলেন তিনি। হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে করেন ৫/৩৮। এ বোলিং পরিসংখানের শেষদিকে হ্যাট্রিকও করেছিলেন তিনি। তাস্বত্ত্বেও, টেস্টগুলোয় রয় গিলক্রিস্টফ্রাঙ্ক ওরেলকে উদ্বোধনী বোলার হিসেবে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছিল। তন্মধ্যে, গুরুতর অসুস্থ ও এক উইকেট নেয়া গিলক্রিস্টের স্থলাভিষিক্ত হয়ে পঞ্চম টেস্টে খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার।

অবসর[সম্পাদনা]

১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন টেস্ট খেলেন। ৪৬.৭১ গড়ে ৭ উইকেট পান টম ডিউডনি। ঐ টেস্টগুলো তার খেলোয়াড়ী জীবনের শেষ টেস্ট ও গত তিন বছরে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বশেষ খেলায় অংশগ্রহণ।

১৯৬০-৬১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান ও ছয়টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ৫ উইকেট দখল করেন তিনি। ১৯৬১ সালে হ্যাস্টিংসে একটি উৎসবমূখর খেলায় অংশ নেয়ার পর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটকে চিরতরে বিদায় জানান টম ডিউডনি।

বিতর্কিত ভূমিকা[সম্পাদনা]

সেপ্টেম্বর, ১৯৫৯ সালে ইংল্যান্ডে অবস্থানকালে গ্যারি সোবার্স চালকের অবস্থানে ছিলেন ও ঐ গাড়ীতে তিনিসহ নিহত দলীয় সঙ্গী কোলি স্মিথ ছিলেন।[৪] গাড়ীটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা খায়। ঐ মৌসুমে তারা সকলেই ইংরেজ লীগ ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছিলেন। আঘাতের কারণে ডিউডনি ও সোবার্সকে আরোগ্যলাভের জন্য কিছুকাল হাসপাতালে অবস্থান করতে হয়েছিল।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]