ফিলিস্তিনে ইসলাম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

অধিকাংশ ফিলিস্তিনি জনগণের ধর্ম ইসলাম হওয়ার কারণে ফিলিস্তিনে ইসলামই হচ্ছে প্রধান ধর্ম। ইসরাঈলি দখলদারি বসতিসহ পশ্চিম তীরের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ হচ্ছে মুসলিম এবং গাজা উপতক্যায় শতকরা ৯৯ ভাগই মুসলিম। ফিলিস্তিনের মুসলিমদের সাধারণত শাফিঈ মাযহাবের অনুসরণ করে থাকেন যা সুন্নি মুসলিমদের একটি শাখা।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ইসলামের সূচনালগ্ন[সম্পাদনা]

সপ্তম শতাব্দীতে খিলাফায়ে রাশেদীনের যুগে উমার ইবনে খাত্তাব এর খিলাফাতের সময় পারস্য এবং বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সেনাবাহিনীদের পরজাতি করে ফিলিস্তিন অঞ্চলে ইসলামের প্রবেশ ঘটে এবং সেময় পারস্য, মেসোপটিমিয়া( বর্তমান ইরাক), শাম, মিশর, উত্তর আফ্রিকা এবং স্পেনেও মুসলিমরা বিজয় লাভ করে।[১] আরব মুসলিম এবং অন্যান্য অঞ্চলের মুসলিমদের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়াটা অনেক লম্বা সময় ধরে চালু ছিলো। এই সময়ের মধ্যে অনেক স্থানীয় খ্রিষ্টান, সামারিটান এবং ইহুদী ইসলাম গ্রহণ করেন।

৬৩৬ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরের দিকে মুসলমান আরব সেনাবাহিনী জেরুসালেম আক্রমণ করে, সেই সময় জেরুসালেম বাইজেন্টাইন রোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। চারমাস ব্যাপি এই অবরোধ চলমান ছিলো। শেষ পর্যন্ত অর্থোডক্সের নেতা সফ্রনিয়াস খলিফা উমার এর নিকট জেরুসালেম সমর্পণ করতে রাজি হন। উমার সেই সময় মদিনাতে ছিলেন, খলিফা উমার সফ্রনিয়াসের শর্তে রাজি হয়ে আত্নসমর্পণের চুক্তি করার জন্য জেরুসালেমের দিকে যাত্রা শুরু করেন, সময়টা ছিলো ৬৩৭ সালের বসন্ত কাল। সফ্রনিয়াস আপোসের মাধ্যমে খলিফা উমার এর সাথে একটি চুক্তি করেন যা ”উমারিয়া চুক্তি” নামে পরিচিত। এই চুক্তির মাধ্যমে খ্রিষ্টানরা জিজিয়া করের (মুসলিম শাসকের অধীনে বিজিত অমুসলিমদের জন্য ধার্যকৃত কর) বিনিময়ে তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা পালনের সুযোগ পায়। এর ফলে জেরুসালেমের খ্রিষ্টান এবং ইহুদী জনগণ স্বাচ্ছন্দে বসবাস করার সুযোগ লাভ করে।[২] [৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. A Concise History of Islam and the Arabs MidEastWeb.org
  2. "Jerusalem"Catholic Encyclopedia। ১৯১০। 
  3. Marcus, Jacob Rader (মার্চ ২০০০)। The Jew in the Medieval World: A Source Book, 315-1791বিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজন (Revised সংস্করণ)। Hebrew Union College Press। পৃষ্ঠা 13–15আইএসবিএন 0-87820-217-X