প্রাচীন রোমে সমকামিতা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

প্রাচীন রোমে সমকামিতা তৎকালীন পশ্চিমের থেকে সুস্পষ্টই আলাদা। লাতিন ভাষা শব্দ অপ্রতুলতার জন্য সমকামি এবং বহুগামি অভিন্ন অনুবাদ করত। সনাতন রোমান কাম প্রবৃত্তিতে প্রাথমিক দুটি বিভাজন ছিল মুখ্য / প্রকট / পুরুষবাচক এবং গৌণ / অবনত / স্ত্রীবাচক। রোমান সমাজ ছিল পিতৃতান্ত্রিক , এবং চিরস্বাধীন পুরুষ নাগরিক রাজনৈতিক সুবিধে ভোগ করতেন তথাপি নিজের এবং পরিবার উভয়ের প্রতি কতৃত্ব করবার অধিকার রাখতেন। "সুকৃতি "(ক্ষমতা) সক্রিয় বৈশিষ্ট্য হিসেবে প্রতীয়মান ছিল যেটির বদৌলতেই একজন পুরুষ তাকে স্বমহিমায় প্রতিভাত করতেন। এহেন বিজয়ী মনবৃত্তি এবং পুরষোচিত ধর্মবিশ্বাস সমলিঙ্গ প্রণয় পরিগঠন করেছিল। রোমান পুরুষসম্প্রদায় পুরুষত্বনাশ এবং সামাজিক অবস্থানের তোয়াক্কা না করেই অবাধে অন্যান্য পুরুষদের সঙ্গে সঙ্গম করতে পারত যদ্যপি তারা ক্ষমতায় প্রতাপশালী তথা কেন্দ্রীয় ভূমিকায় থাকতেন। গৃহীত পুরুষ সঙ্গীরা ছিলেন ক্রীতদাস , ভূতপূর্ব ক্রীতদাস , পতিতা এবং নর্তকী যাদের জীবনশৈলী তাদের অস্পৃশ্য সমাজে এনে দাড় করিয়েছে যেটি সাধারণ নাগরিক নিরাপত্তা বঞ্চিত যদিও তারা ছিলেন কার্যত স্বাধীন ।যদিও রোমান পুরষসম্প্রদায় ১২ থেকে ২০ বছরের যুবকদের তাদের যৌনসঙ্গী হিসেবে পেতে পছন্দ করতেন বলে মনে হয় , জন্মস্বাধীন পুরুষ ক্ষুদ্রগোষ্ঠী নির্দিষ্ট সময়কাল অবধি এসব থেকে বিরত ছিলেন । তবে পেশাদার বেশ্যা এবং বিনোদিনীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যৌনগত সহজলভ্য থাকতে পারে।

নারীদের মধ্যকার সমলিঙ্গ সম্পর্কের প্রমাণ নগণ্য। এবং যদি রোমান লেখকদের বিশ্বাস করা হয় , তবে নারী সমকাম প্রবণতা নিতান্তই সীমিত হয়ে থাকতে পারে। এই প্রসঙ্গে আগস্তাইন এরা এক কবিতায় বিবৃত করেছেন এভাবে " unheard-of (অবহেলা) "

যাইহোক, এখানকার কিছু বিক্ষিপ্ত প্রমাণ মেলে যেমন গ্রিক জাদুকরী পাপীরই এর কিছু সংখ্যক মন্ত্রে - যেটি উত্তর সম্রাজ্যকালে রোমান শাসিত প্রদেশে সমলিঙ্গে প্রেমাবিষ্ট কতিপয় বিশিষ্ট মহিলাদের অস্তিত্ব প্রমাণ করে।

দিব্যদৃষ্টি[সম্পাদনা]

প্রজাতন্ত্র লগ্নে , একজন রোমান নাগরিকের রাজনৈতিক সুবিধাগুলির মধ্যে অন্যতম অধিকার ছিল শারীরিক বাধ্যতা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা , যার মধ্যে দৈহিক শাস্তি এবং যৌননিগ্রহ উভয়েই অন্তর্ভুক্ত ছিল।