ম্যাথু হার্ট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ম্যাথু হার্ট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামম্যাথু নরম্যান হার্ট
জন্ম (1971-05-16) ১৬ মে ১৯৭১ (বয়স ৫২)
হ্যামিল্টন, ওয়াইকাতো, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনস্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স
ভূমিকাবোলার
সম্পর্করবি হার্ট (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৮৭)
১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট৮ নভেম্বর ১৯৯৫ বনাম ভারত
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৮৭)
১৩ মার্চ ১৯৯৪ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই৯ জুন ২০০২ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৪ ১৩ ১৩৫ ১২৮
রানের সংখ্যা ৩৫৩ ৬১ ৪,৪১৮ ২,০৫০
ব্যাটিং গড় ১৭.৬৪ ৭.৬২ ২৫.৫৩ ২০.৯১
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ৪/২০ ১/১৩
সর্বোচ্চ রান ৪৫ ১৬ ২০১* ১০০
বল করেছে ৩,০৮৬ ৫৭২ ১৬,৪১৭ ৪,৯৬৫
উইকেট ২৯ ১৩ ২১২ ১১৬
বোলিং গড় ৪৯.৫৮ ২৮.৬৯ ৩৫.০১ ২৭.২৮
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৫/৭৭ ৫/২২ ৬/৭৩ ৫/২২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৯/- ৭/- ১০৯/০ ৬৯/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ম্যাথু নরম্যান হার্ট (ইংরেজি: Matthew Hart; জন্ম: ১৬ মে, ১৯৭২) ওয়াইকাতোর হ্যামিল্টনে জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৯৪ থেকে ২০০২ সময়কালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতে অর্থোডক্স স্পিন বোলিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ম্যাথু হার্ট

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৪ তারিখে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে ম্যাথু হার্টের। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের সদস্যরূপে ১৪ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। এ সময়ে ২৯ উইকেট দখল করেছেন। তন্মধ্যে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একবার পাঁচ-উইকেট লাভের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন ম্যাথু হার্ট। জোহেন্সবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজস্ব সপ্তম টেস্টে ৫/৭৭ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করিয়েছিলেন।

ক্রিকেট বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]

১৩টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়ে ১৩ উইকেটের সন্ধান পেয়েছেন। তিনি। ১৯৯৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছেন ম্যাথু হার্ট। ভারতের ফতুর্দা নেহরু স্টেডিয়ামে ৫/২২ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে তৎকালীন নিউজিল্যান্ডীয় নতুন রেকর্ড স্থাপন করেন। ১৯৯৪ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তার ওডিআই খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের কারণে ড্যানিয়েল ভেট্টোরি তার স্থলাভিষিক্ত হন।

অবসর[সম্পাদনা]

১৯৯৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভবিষ্যতের অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিং ও দলীয় সঙ্গী ডিওন ন্যাশের সাথে কানাবিস সেবনের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কৃত হন।[১]

খেলায় স্বাভাবিক ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন ও উদ্যমতা হারানোর কারণে ৩৩ বছর বয়সে ২০০৫ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটকে বিদায় জানান।[২] তার ভাই রবি হার্ট নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস নাইটস ও নিউজিল্যান্ড দলের পক্ষে উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলেছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Fleming caught out for a smoke"The New Zealand Herald। ২০০৪-১১-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৫ 
  2. http://www.cricinfo.com/newzealand/content/story/211519.html

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]