২০১ গম্বুজ মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ২৪°৩৫′৫৪″ উত্তর ৮৯°৫২′২৯″ পূর্ব / ২৪.৫৯৮৪° উত্তর ৮৯.৮৭৪৭° পূর্ব / 24.5984; 89.8747
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
২০১ গম্বুজ মসজিদ
স্থানাঙ্ক: ২৪°৩৫′৫৪″ উত্তর ৮৯°৫২′২৯″ পূর্ব / ২৪.৫৯৮৪° উত্তর ৮৯.৮৭৪৭° পূর্ব / 24.5984; 89.8747
অবস্থান বাংলাদেশ টাঙ্গাইল, বাংলাদেশ
শাখা/ঐতিহ্য সুন্নি[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
প্রশাসন মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ
মালিকানা বেসরকারি
স্থাপত্য তথ্য
ধরন ইসলামি স্থাপত্য
ধারণক্ষমতা ৩,০০০[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
দৈর্ঘ্য ১৪৪ ফুট (৪৪ মি)
প্রস্থ ১৪৪ ফুট (৪৪ মি)
গম্বুজ ২০১
গম্বুজের ব্যাস (বাহ্যিক) ৮১ ফুট (২৫ মি) (মূল গম্বুজ)
১৭ ফুট (৫.২ মি) (অন্যান্য গম্বুজ)
মিনার
মিনারের উচ্চতা ৪৫১ ফুট (১৩৭ মি) (মূল)
১০১ ফুট (৩১ মি) (চার কোণ)
৮১ ফুট (২৫ মি) (অভ্যন্তরীণ চার মিনার)

ওয়েবসাইট: 201gombujmasjid.org

২০১ গম্বুজ মসজিদ হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে অবস্থিত একটি মসজিদ[১] এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি গম্বুজ এবং দ্বিতীয় উচ্চতম মিনার বিশিষ্ট মসজিদ হিসাবে স্বীকৃত।[২] মসজিদটির নকশা করা হয়েছে ২০১টি গম্বুজ ও ৯টি মিনার দিয়ে সজ্জিত একটি পূর্ণাঙ্গ মসজিদ কমপ্লেক্স হিসেবে। মসজিদটি নির্মাণাধীন রয়েছে।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

২০১৩ সালের জানুয়ারি এই মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু হয়।[৩] মসজিদটি বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে। নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের মা রিজিয়া খাতুন।[৩] মসজিদ নির্মাণে ব্যয় হবে আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা। নির্মাণ শেষ হলে মসজিদ আল হারামের ইমাম এসে নামাযের ইমামতি করে মসজিদটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।[৪][৫]

স্থাপত্যশৈলী[সম্পাদনা]

মসজিদটির ছাদে ৮১ ফুট উচ্চতার একটি গম্বুজ রয়েছে।[৪] এই বড় গম্বুজের চারপাশে ছোট ছোট গম্বুজ আছে ২০০টি।[৫] প্রত্যেকের উচ্চতা ১৭ ফুট। মূল মসজিদের চার কোণায় রয়েছে ৪টি মিনার।[৬] প্রত্যেকের উচ্চতা ১০১ ফুট। পাশাপশি ৮১ ফুট উচ্চতার আরও চারটি মিনার আছে। সবচেয়ে উঁচু মিনারটি মসজিদের পাশে অবস্থিত, যার উচ্চতা ৪৫১ ফুট। মসজিদটি দৈর্ঘ্যে ১৪৪ ফুট ও প্রস্থে ১৪৪ ফুট। মসজিদটিতে একসঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন।[৭] মসজিদের দেয়ালের টাইলসে পূর্ণ কোরআন শরিফ অঙ্কিত রয়েছে। মসজিদের প্রধান দরজা নির্মাণে ব্যবহার করা হবে ৫০ মণ পিতল। আজান দেওয়ার জন্য মসজিদের সবচেয়ে উঁচু মিনারে বানানো হবে। মসজিদটি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলেও এতে সহস্রাধিক বৈদ্যুতিক পাখা যুক্ত করা হবে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

মসজিদ কমপ্লেক্স[সম্পাদনা]

১৫ বিঘা জমির ওপর বিশাল মসজিদ ও মসজিদ কমপ্লেক্স অবস্থিত।[৭] মিহরাবের পাশে মৃতদেহ রাখার জন্য হিমাগার তৈরি করা হবে। এছাড়া মসজিদের পাশে নির্মাণ করা হবে আলাদা ভবন, যেখানে থাকবে দুঃস্থ নারীদের জন্য বিনামূল্যের হাসপাতাল, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "নির্মাণের আগেই রেকর্ড বুকে টাঙ্গাইলের ২০১ গম্বুজ মসজিদ"banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৯ 
  2. "আমাদের সম্পর্কে"। 201gombujmasjid.org। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  3. "গোপালপুরে নির্মিত হচ্ছে ২০১ গম্বুজ মসজিদ!"jagonews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৯ 
  4. Pratidin, Bangladesh। "টাঙ্গাইলে নির্মিত হচ্ছে ২০১ গম্বুজ মসজিদ | বাংলাদেশ প্রতিদিন"Bangladesh Pratidin। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৯ 
  5. "বিশ্ব ইতিহাসে টাঙ্গাইলের '২০১ গম্বুজ মসজিদ'"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৯ 
  6. "টাঙ্গাইলের ঐতিহাসিক ২০১ গম্বুজ মসজিদ"The Dhaka Times (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ জানুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৯ 
  7. dhakatimes24.com। "গিনেস বুকে স্থান পাচ্ছে টাঙ্গাইলের ২০১ গম্বুজ মসজিদ!"। ২০১৮-০২-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৯