ফার্স্ট ন্যাশনাল পিকচার্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফার্স্ট ন্যাশনাল পিকচার্স
শিল্পচলচ্চিত্র
প্রতিষ্ঠাকাল১৯১৭
প্রতিষ্ঠাতাগণথমাস এল. ট্যালি
জেমস ডিক্সন উইলিয়ামস
বিলুপ্তিকাল১৯৩৬
অবস্থাঅধিগ্রহণ
সদরদপ্তর
পণ্যসমূহচলচ্চিত্র, চলচ্চিত্র পরিবেশনা
মাতৃ-প্রতিষ্ঠানইন্ডিপেন্ডেন্ট (১৯১৭-১৯২৮)
ওয়ার্নার ব্রাদার্স (১৯২৮-১৯৩৬)

ফার্স্ট ন্যাশনাল পিকচার্স ছিল একটি মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিবেশনা কোম্পানি। এটি ১৯১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীন থিয়েটার মালিকদের দ্বারা "ফার্স্ট ন্যাশনাল এক্‌জিবিটর্স সার্কিট, ইনকরপোরেটেড" নামে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ থিয়েটার চেইন হয়ে ওঠে। চলচ্চিত্র প্রদর্শন থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র পরিবেশনাকারী কোম্পানিটি ১৯১৯ সালে "অ্যাসোসিয়েটেড ফার্স্ট ন্যাশনাল থিয়েটার্স, ইনকরপোরেটেড" এবং "অ্যাসোসিয়েটেড ফার্স্ট ন্যাশনাল পিকচার্স, ইনকরপোরেটেড" নামে পুনরায় একত্র হয়। ১৯২৪ সালে কোম্পানিটিকে "ফার্স্ট ন্যাশনাল পিকচার্স, ইনকরপোরেটেড" নামে চলচ্চিত্র প্রযোজনা কোম্পানি হিসেবে বর্ধিত করা হয় এবং চলচ্চিত্র শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ স্টুডিও হয় ওঠে। ১৯২৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওয়ার্নার ব্রস. ফার্স্ট ন্যাশনালের নিয়ন্ত্রণ লাভ করে এবং ১৯২৯ সালের ৪ঠা নভেম্বর সম্পূর্ণরূপে অধিগ্রহণ করে। ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত ফার্স্ট ন্যাশনাল পিকচার্সের নামে চলচ্চিত্র মুক্তি পায় এবং সে বছর ফার্স্ট ন্যাশনাল পিকচার্স, ইনকরপোরেটেড বিলুপ্ত হয়।

প্রতিষ্ঠা[সম্পাদনা]

১৯১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৬টি বৃহত্তর ফার্স্ট রান চলচ্চিত্র চেইন মিলে ফার্স্ট ন্যাশনাল এক্‌জিবিটর্স সার্কিট প্রতিষ্ঠিত হয়। কোম্পানিটি ৬০০ চলচ্চিত্রের নিয়ন্ত্রণ লাভ করে, যার ২০০ এর অধিক চলচ্চিত্র তাদের ফার্স্ট রান হাউজের ছিল।

ফার্স্ট ন্যাশনাল গঠনের চিন্তা করেন থমাস এল ট্যালি। তিনি প্যারামাউন্ট পিকচার্সের অতিরঞ্জিত প্রভাবের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ১৯১২ সালে চিন্তা করেন থিয়েটারে সম্মিলিত একটি প্রতিষ্ঠান চলচ্চিত্র ক্রয় করে বা নির্মাণ করে দেশব্যাপী পরিবেশনা করতে পারে। ১৯১৭ সালে ট্যালি ও জেমস ডিক্সন উইলিয়ামস ফার্স্ট ন্যাশনাল এক্‌জিবিটর্স সার্কিট প্রতিষ্ঠা করেন।

ফার্স্ট ন্যাশনাল থেকে মুক্তি পাওয়া প্রথম চলচ্চিত্র হল ১৯১৬ সালের ব্রিটিশ চলচ্চিত্র দ্য মাদার অব ডার্টমুর। ১৯১৭ থেকে ১৯১৮ সালে কোম্পানিটি ম্যারি পিকফোর্ডচার্লি চ্যাপলিনের সাথে চুক্তি করেন। চ্যাপলিনের সাথে তাদের চুক্তি ছিল চলচ্চিত্রের ইতিহাসে প্রথম মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি। চ্যাপলিন তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর চলচ্চিত্র মুক্তির জন্য নির্দিষ্ট সময়ের পরিবর্তে তার ইচ্ছামত সময় পেতেন। কিন্তু দ্য কিড (১৯২১) নির্মাণে তিনি এত সময় নেন যে কোম্পানিটি সময়ের ব্যাপারে অভিযোগ করতে শুরু করে। চ্যাপলিন প্রদর্শকদের স্টুডিওতে আমন্ত্রণ জানান এবং তারা এই কাজ দেশে মুগ্ধ হন, বিশেষ করে শিশুশিল্পী জ্যাকি কুগানের অভিনয় দেখে, এবং তারা ধৈর্য ধরতে রাজি হন। তাদের ধৈর্যের ফলও তারা পান, দ্য কিড সমালোচনামূলক ও বক্স অফিসে সাফল্য অর্জন করে।[১][২]

ওয়ার্নার ব্রাদার্সের অধিগ্রহণ[সম্পাদনা]

দ্য জ্যাজ সিঙ্গারদ্য সিংগিং ফুল চলচ্চিত্রের বাণিজ্যিক সাফল্যের ফলে ওয়ার্নার ব্রস. ১৯২৮ সালের সেপ্টেম্বরে ফার্স্ট ন্যাশনাল ক্রয়ের আগ্রহ দেখায়। কোম্পানিটির মোট ৭২,০০০ শেয়ারের মধ্যে ওয়ার্নার ব্রস ৪২,০০০ শেয়ার, ফক্স পিকচার্সের ২১,০০০ শেয়ার এবং জনগণের ১২,০০০ শেয়ার ছিল।[৩]

১৯২৯ সালের ৪ঠা নভেম্বর ফক্স ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে তাদের ফার্স্ট ন্যাশনালের শেয়ার ওয়ার্নাস ব্রসের কাছে বিক্রি করে দেয়।[৪][৫]:৬৬ বারব্যাংকে অবস্থিত ফার্স্ট ন্যাশনাল স্টুডিও ওয়ার্নার ব্রস-ফার্স্ট ন্যাশনাল পিকচার্সের কার্যালয় হয়ে ওঠে। ফলে, ফার্স্ট ন্যাশনাল পিকচার্স ওয়ার্নার ব্রসের একটি অংশের পরিবেশনার ট্রেড নাম হয়ে ওঠে। ১৯২৯ সালে ওয়ার্নার ব্রসের ৮৬টি চলচ্চিত্রের ৪৫টি চলচ্চিত্র ফার্স্ট ন্যাশনাল পিকচার্সের নামে মুক্তি দেওয়া হয়।[৫]:৬৬ ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৪ সালে ওয়ার্নার ব্রসের ৬০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের অর্ধেক চলচ্চিত্র ফার্স্ট ন্যাশনাল পিকচার্সের নামে মুক্তি দেওয়া হয়।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Kevin Brownlow, David Gill (১৯৮৩)। Unknown Chaplin: The Great Director (Television production)। Thames Television। 
  2. "J. D. Williams, Film Pioneer, Dies"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। আগস্ট ২৯, ১৯৩৪। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  3. "Warner Buys First National", The Wall Street Journal, September 27, 1928, p. 3.
  4. "Fox Holdings in First National Pictures Sold", The Washington Post, November 4, 1929, p. 3.
  5. Hirschhorn, Clive (১৯৭৯)। The Warner Bros. Story। New York: Crown Publishers। আইএসবিএন 0-517-53834-2 
  6. "Warners to Issue 60 Feature Films"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। আগস্ট ২, ১৯৩৩। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]