কামরুল হাসান ভূঁইয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া (অব.)
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯৫২-০৭-২৪)২৪ জুলাই ১৯৫২
কুমিল্লা, বাংলাদেশ
মৃত্যু৬ আগস্ট ২০১৮(2018-08-06) (বয়স ৬৬)
সি এম এইচ, ঢাকা
জাতীয়তাবাংলাদেশী
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ
বেইজিং ভাষা ও সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয়
পুরস্কারবাংলা একাডেমি পুরস্কার, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য

কামরুল হাসান ভূঁইয়া (জুলাই ২৪, ১৯৫২ – আগস্ট ০৬, ২০১৮) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর। তিনি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ গবেষকলেখক। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর লিবারেশন ওয়ার স্টাডিজের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। [১] মুক্তিযুদ্ধ সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।[২][৩]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

কামরুল হাসান ভূঁইয়া কুমিল্লা জেলায় ১৯৫২ সালের ২৪ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন।পড়াশোনা করেছেন যশোর জিলা স্কুলঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে। ১৯৮৩ সালে চীনা ভাষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন বেইজিং ভাষা ও সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৭৪ সালের ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৭৫ সালের ১১ জানুয়ারি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। ১৯৯৬ সালের ১২ জুলাই মেজর পদমর্যাদায় থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর লিবারেশন ওয়ার স্টাডিজের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। [৪]

মুক্তিযুদ্ধে যোগদান[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন কামরুল হাসান ভূঁইয়া। দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে যুদ্ধে যোগ দেন তিনি। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেন।

প্রকাশিত বই[সম্পাদনা]

তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বইয়ের সংখ্যা ২৩টি, সামরিক ইতিহাসের ওপর লেখা ১টি এবং শিশুতোষ গ্রন্থ ৩টি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই হলো:

  • জনযুদ্ধের গণযোদ্ধা
  • বিজয়ী হয়ে ফিরব নইলে ফিরবই না
  • ২ নম্বর সেক্টর এবং কে ফোর্স কমান্ডার-খালেদের কথা (সম্পাদিত)
  • একাত্তরের কন্যা, জায়া, জননীরা
  • পতাকার প্রতি প্রণোদনা
  • মুক্তিযুদ্ধে শিশু-কিশোরদের অবদান
  • একাত্তরের দিনপঞ্জি

মৃত্যু[সম্পাদনা]

কামরুল হাসান ভূঁঈয়া ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট দুপুর ২টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মৃত্যু বরণ করেন। তিনি ডায়বেটিস ও কিডনী সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিলেন। [৫][৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "কামরুল হাসান ভূঁইয়া আর নেই"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০৭ 
  2. "মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া (অব.)"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ঢাকা, বাংলাদেশ। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ 
  3. "কামরুল হাসান ভূঁইয়া আর নেই"মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০৮ 
  4. Kantho, Kaler। "চলে গেলেন 'জনযুদ্ধের গণযোদ্ধা' কামরুল হাসান ভূঁইয়া | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০৮ 
  5. "বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল হাসান ভূঁঈয়া আর নেই | banglatribune.com"Bangla Tribune। ২০১৮-০৮-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০৬ 
  6. BanglaNews24.com। "মুক্তিযোদ্ধা কামরুল হাসান ভূঁইয়া আর নেই"banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০৮