জোহুর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

জোহুর
Rice swift
ডানা বন্ধ অবস্থায়
ডানা খোলা অবস্থায়
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Arthropoda
শ্রেণী: Insecta
বর্গ: Lepidoptera
পরিবার: Hesperiidae
গণ: Borbo
প্রজাতি: B. cinnara
দ্বিপদী নাম
Borbo cinnara
(Wallace, 1866)[১]
প্রতিশব্দ
  • Hesperia cinnara Wallace, 1866
  • Hesperia colaca Moore, 1877
  • Parnara cingala Moore, [1881]
  • Hesperia saturata Wood-Mason & de Nicéville, 1882
  • Hesperia saruna Plötz, 1885
  • Hesperia urejus Plötz, 1885
  • Parnara kuyaniana Matsumura, 1919

জোহুর (বৈজ্ঞানিক নাম: Borbo cinnara (Wallace))[২] এক প্রজাতির ছোট আকারের প্রজাপতি যার শরীর ও ডানা খয়েরি বাদামী রঙের এবং রোঁয়া যুক্ত। এরা ‘হেসপেরায়িডি’ গোত্রের এবং 'হেসপেরায়িনি' উপগোত্রের সদস্য।[৩]

আকার[সম্পাদনা]

জোহুর এর প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ৩০-৩৬ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়।[৪]

আচরণ[সম্পাদনা]

জোহুররা খুব দ্রুত এবং এলোমেলো ভঙ্গিতে উড়তে থাকে। ছোট ছোট উড়ান দেয় এবং বারবার একই জায়গায় ফিরে আসে।[৫] এরা রৌদ্র পোহাতে পছন্দ করে তাই মাঝে মাঝেই পাতার উপর বসে থাকতে দেখা যায়। [n ১]

বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

ডিম[সম্পাদনা]

জোহুর এর ডিম সাদা বর্ণের।[২] ডিম এর আয়তন হল ০.০৬ ঘন মিলিমিটার[৬]

শূককীট[সম্পাদনা]

জোহুর এর শূককীট ফিকে সবুজ বর্ণের। বিভিন্ন প্রজাতির ঘাসের ডগা মুড়িয়ে একটা শঙ্কু আকৃতির বাসা তৈরি করে। প্রথম প্রথম এরা এই বাসা ছেড়ে বের হয়না, পরে বেরিয়ে পাতার বাকী অংশে এসে বসে থাকে। শূককীট এর মাথাটি কালো বর্ণের এবং দেহের দু'পাশের দুটো সাদা দাগ মাথার ওপর দিকে এসে মিশেছে।

আহার্য উদ্ভিদ[সম্পাদনা]

এই শূককীট বিভিন্ন প্রজাতির ঘাস যেমন-Setaria barbata, Axonopus compressus, Rottboellia cochinchinensis,Brachiaria mutica.[৭] এর কচি পাতার রসালো অংশ আহার করে। এছাড়া ধান (Oryza sativa) গাছও এদের আহার্য উদ্ভিদ।

মূককীট[সম্পাদনা]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  1. এই প্রজাপতিটির একটা অদ্ভুত আচরণ উল্লেখ করতে চাই। একদিন বেলা প্রায় বারোটা নাগাদ একটা ঘাস ও আগাছা-পূর্ণ জমির ভেতরে প্রায় পাঁচ ফুট ওপরে একটা লেবু পাতায় প্রজাপতিটিকে বসে থাকতে দেখি। দেখার পরেও প্রথম কিছুক্ষণ মনোযোগ দিইনি, পরে হঠাতই কীসের জন্য এ এমন নিশ্চুপ বসে আছে দেখার আগ্রহ হওয়ায় নজর ফেলি। দেখি, প্রজাপতিটি বসে আছে পাখির বিষ্ঠার ওপর আহার্য হিসাবে বহু পজাপতিই পাখির বিষ্ঠার ভক্ত, তাই তক্ষুনি কোনও সন্দেহ হয়নি, এবং তাই আবার আমনোযোগী হয়ে পড়ি। বেশ কিছুক্ষন বাদে হঠাতই সন্দেহ হয়, এবং তাকিয়ে আবিষ্কার করি সত্যিই পাখির বিষ্ঠাটা খটখটে শুকনো। প্রজাপতি তরল ছাড়া কিছু পান করছে, কারণ তার মুখের নল বিষ্ঠার ওপর অনবরত ঘোরাফেরা করছে। কিছুক্ষণ একদৃষ্টে তাকাতেই উত্তর মেলে। দেখি সে ধীরে তার উদরটি বাঁকিয়ে সেই বিষ্ঠার ওপর এনে এক বিন্দু জলবিয়োগ করল, এতে সামান্য হলেও বিষ্ঠা কিছুটা ভিজল। এবার সেই জলটুকুই আবার শুষতে থাকল। এভাবে কয়েক সেকেন্ড বাদে বাদে জলবিয়োগ এবং জলযোগের পালা চলতে থাকল।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Borbo at Markku Savela's Lepidoptera and Some Other Life Forms
  2. দাশগুপ্ত, যুধাজিৎ (২০০৬)। পশ্চিমবঙ্গের প্রজাপ্রতি (১ম সংস্করণ সংস্করণ)। কলকাতা: আনন্দ। পৃষ্ঠা 166। আইএসবিএন 81-7756-558-3 
  3. R.K., Varshney; Smetacek, Peter (২০১৫)। A Synoptic Catalogue of the Butterflies of India। New Delhi: Butterfly Research Centre, Bhimtal & Indinov Publishing, New Delhi। পৃষ্ঠা 56। আইএসবিএন 978-81-929826-4-9ডিওআই:10.13140/RG.2.1.3966.2164 
  4. Pratap Singh, Arun (২০১১)। Butterflies of India (1st সংস্করণ)। Utter Pradesh: Om Books International। পৃষ্ঠা 169। আইএসবিএন 978-93-80069-60-9 
  5. Basu Roy, Arjan (২০১১)। Butterflies and Wildflowers of Tollygunge Club (2011 সংস্করণ)। Kolkata: Tollygunge Club। পৃষ্ঠা ৭০। 
  6. Nakasuji, Fusao। "Egg size of skippers (Lepidoptera:Hesperiidae) in relation to their host specificity and to leaf toughness of host plant"। The Ecological Society of Japan। পৃষ্ঠা 175-183। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ 
  7. Kalesh, S & S K Prakash (২০০৭)। "Additions of the larval host plants of butterflies of the Western Ghats, Kerala, Southern India (Rhopalocera, Lepidoptera): Part 1"। Journal of the Bombay Natural History Society104 (2): 235–238।