সৌর পঞ্জিকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সৌর পঞ্জিকা

সৌর পঞ্জিকা হলো এমন পঞ্জিকা (বর্ষপঞ্জি) যেখানে দিনসমূহকে হিসাব করার জন্য সূর্যের ঘুর্ণন পদ্ধতির ফলে উদ্ভূত গণনাকে ব্যবহার করা হয়।[১] হিসাবের সুবিধার্থে পৃথিবীতে সৌর পঞ্জিকার ব্যবহারই অধিক প্রচলিত; যেমনঃ ইংরেজি পঞ্জিকা, বাংলা পঞ্জিকা[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রাথমিকভাবে বর্ষ গণনা করা হতো চাঁদের আবর্তন হিসাব করে, সুমেরীয় সভ্যতায় যা প্রথম দৃষ্ট হয়; কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞান, হিসাব-নিকাশ প্রভৃতিতে অগ্রগামী থাকায় মিশরীয়রাই পৃথিবীতে প্রথম সৌর পঞ্জিকার প্রচলন করে।[৩]

ভিত্তি[সম্পাদনা]

সৌর পঞ্জিকার ভিত্তি হলো পৃথিবীর আহ্নিক গতির সময়কাল এবং বার্ষিক গতির সময়কাল।[১]

উদাহরণ[সম্পাদনা]

কয়েকটি সৌর পঞ্জিকার উদাহরণ হলোঃ

  1. বঙ্গাব্দ - বঙ্গাব্দ, বাংলা সন বা বাংলা বর্ষপঞ্জি হল বঙ্গদেশের একটি ঐতিহ্য মণ্ডিত সৌর পঞ্জিকা ভিত্তিক বর্ষপঞ্জি।[২]
  2. জুলিয় বর্ষপঞ্জি - জুলিয়ান বর্ষপঞ্জী খৃষ্টপূর্ব ৪৬ খ্রিষ্টাব্দে জুলিয়াস সিজার কর্তৃক প্রবর্তিত একটি ঐতিহ্যবাহী সৌর ক্যালেন্ডার।[৪]
  3. গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী - গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী, গ্রেগোরিয়ান বর্ষপঞ্জী, পাশ্চাত্য বর্ষপঞ্জী, ইংরেজি বর্ষপঞ্জি বা খ্রিষ্টাব্দ হল আন্তর্জাতিকভাবে প্রায় সর্বত্র স্বীকৃত একটি সৌর বর্ষপঞ্জী, যা বিভিন্ন সময় ধাপে ধাপে উন্নয়নের ফলে বর্তমান রুপে আবির্ভূত হয়েছে।[৫][৬][৭][৮][৯]
  4. থাই (শ্যামদেশীয়) সৌর বুদ্ধাব্দ - থাইল্যান্ডে প্রচলিত সৌর ভিত্তিক বর্ষপঞ্জি বুদ্ধাব্দ নামেই পরিচিত, যাতে সূর্যের একেকটি রাশিতে অবস্থানের উপর ভিত্তি করে একেকটি মাস গণিত হয়।
  5. ইরানি বর্ষপঞ্জী - ইরানি বর্ষপঞ্জী অথবা পারস্য বর্ষপঞ্জী হল বৃহত্তর ইরানে প্রায় দুই সহস্রাব্দব্যাপী প্রচলিত বর্ষপঞ্জী, যাতে বছর শুরু হয় ইরানি সময়ানুসারে গণিত মহাবিষুবের দিনে।
  6. বাইজেন্টাইন বর্ষপঞ্জী - বাইজেন্টাইন বর্ষপঞ্জী হল ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চ কর্তৃক ব্যবহৃত একটি সৌর ভিত্তিক পঞ্জিকা, যা কনস্টান্টিনোপল সৃষ্টির যুগ (Creation Era of Constantinople) বা বিশ্ব এর যুগ (Era of the World) নামে পরিচিত।[১০]
  7. শকাব্দ - শকাব্দ (অথবা শালীবাহনাব্দ) হল ভারতীয় উপমহাদেশে বহুলপ্রচলিত এক প্রাচীন সৌর অব্দ।[১১]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সৌর-পঞ্জিকা"http://onushilon.org। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৮  |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  2. সৈয়দ আশরাফ আলী (জানুয়ারি ২০০৩)। "বাংলা বর্ষপঞ্জি"। সিরাজুল ইসলাম[[বাংলাপিডিয়া]]ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৮  ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য)
  3. "যেভাবে এলো ইংরেজি ক্যালেন্ডার"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম অনলাইন। ৩১ ডিসেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৮ 
  4. "রোমের সৌর পঞ্জিকা"দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন অনলাইন। ১৬ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৮ 
  5. Introduction to Calendars ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ অক্টোবর ২০১১ তারিখে. United States Naval Observatory. Retrieved 15 January 2009.
  6. Calendars ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ এপ্রিল ২০০৪ তারিখে by L. E. Doggett. Section 2.
  7. The international standard for the representation of dates and times, ISO 8601, uses the Gregorian calendar. Section 3.2.1.
  8. See Wikisource English translation of the (Latin) 1582 papal bull Inter gravissimas, instituting Gregorian calendar reform.
  9. Moyer (1983).
  10. Pavel Kuzenkov. "How Old is The World? The Byzantine Era and its Rivals". Institute for World History, Moscow, Russia. In: Elizabeth Jeffreys, Fiona K. Haarer, Judith Gilliland. Proceedings of the 21st International Congress of Byzantine Studies: London, 21–26 August 2006: Vol. 3, Abstracts of Communications. Ashgate Publishing, Ltd., 2006. pp. 23–24.
  11. The Indian Calendar, NASA Eclipse Website

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]