বলধা জাদুঘর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বলধা জাদুঘর বাংলাদেশের ঢাকার ওয়ারীতে খ্রিস্টান কবরস্থানের সন্নিকটে অবস্থিত যা ১৯২৫ সালে জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ রায় কর্তৃক ‘গৃহ-জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১] ১৯৪৪ সালে জমিদার মৃত্যুকালে উইল সম্পাদনের মাধ্যমে তার জমিদারি তহবিল থেকে জাদুঘর ও বাগানের সম্পূর্ণ ব্যয় নির্বাহের ব্যবস্থা করে যান।

সংগ্রহ[সম্পাদনা]

আবাসিক ভবনের প্রথম তলায় ছিল প্রাচীনকালের শিল্পকর্ম। বারান্দায় দুটি বিশাল কড়াই ছিল। একটি হলঘরে মুদ্রা, পুঁতি ও শিল্প বিষয়ক গ্রন্থাবলি রাখা হয়েছিল। দ্বিতীয় কক্ষে গ্রামীণ ও শহুরে জীবনযাত্রার নানা মডেল এবং গজদন্ত ও রুপার ঝালরের কারুকর্ম ছিলো। তৃতীয় কক্ষে অস্ত্রশস্ত্রের সংগ্রহ এবং চতুর্থ কক্ষে প্রবাল ও সামুদ্রিক প্রদর্শনদ্রব্য ছিল। এসব সংগ্রহ পরে ঢাকা জাদুঘরে স্থানান্তরিত হয়েছে।[২]

বলধা গার্ডেন[সম্পাদনা]

বলধার জমিদার নরেন্দ্রনারায়ণ রায় চৌধুরী ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে বলধা গার্ডেনের সূচনা করেন। তিনি দুটি উদ্যান তৈরি করেন। প্রথম উদ্যানটির নাম রাখেন "সাইকী"। পরবর্তিতে তৈরি করা হয় দ্বিতীয় উদ্যান "সিবলী"। নরেন্দ্রনারায়ণ রায় চৌধুরীর মৃত্যুর পর কোনো এক সময়ে এ দুটি উদ্যানকে সম্মিলিতভাবে বলধা গার্ডেন নামে আখ্যায়িত করা হতে থাকে। ৩.৩৮ একর জায়গার উপর এই উদ্যান নির্মাণ করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]