ইকুয়েডর-মালয়েশিয়া সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইকুয়েডর-মালয়েশিয়া সম্পর্ক
মানচিত্র Ecuador এবং Malaysia অবস্থান নির্দেশ করছে

ইকুয়েডর

মালয়েশিয়া

ইকুয়েডর-মালয়েশিয়া সম্পর্ক, ইকুয়েডর এবং মালয়েশিয়া এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে।

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ইকুয়েডরের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।[১] অপরদিকে ইকুয়েডরের রাজধানী কিতোতে মালয়েশিয়ার একটি অনারারি কনসাল রয়েছে।[২]

উভয় দেশই জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) এর সদস্য।[৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৯৪ সালে এই দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। তখন থেকেই এই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক অত্যন্ত আন্তরিক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করা হয়। তবে এই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের প্রধান খাতটি হল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য।[৪]

অর্থনৈতিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

২০১২ সালে এই দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৪২.২০ মিলিয়ন (১৪.২২ কোটি) মার্কিন ডলার। এর মধ্যে মালয়েশিয়ায় ইকুয়েডরের রপ্তানি আয়ের পরিমাণ হল ২২.২৯ মিলিয়ন (২.২২৯ কোটি) মার্কিন ডলার। অপরদিকে ইকুয়েডরে, মালয়েশিয়ার রপ্তানি আয়ের পরিমাণ হল ১১৯.৯১ মিলিয়ন (১১.৯৯ কোটি) মার্কিন ডলার। অর্থাৎ এই দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে, মালয়েশিয়ার প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলারের উদ্বৃত্ত রয়েছে।[৫]

মালয়েশিয়ায়, ইকুয়েডরের প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলো হল; কোকোয়া বীজ, কফিএবং সামুদ্রিক খাদ্য। অপরদিকে ইকুয়েডরে মালয়েশিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলো হল; অর্ধ-পরিবাহী যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি প্রভৃতি।[৩][৫][৬]

দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি এবং উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে, এই দুই দেশ বেশ কিছু সমঝোতা স্মারকে সাক্ষর করেছে।[৬][৭][৮] এছাড়াও, ইকুয়েডরের মাধ্যমে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর সাথে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর নৌপথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরির লক্ষ্যে এই দুই দেশ একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে সাক্ষর করে। এই চুক্তিতে মালয়েশিয়ার পক্ষে অংশ নেয়, মালয়েশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর, ক্ল্যাং বন্দর-এর কর্তৃপক্ষ এবং ইকুয়েডরের পক্ষে অংশ নেয় মান্তা বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই চুক্তির পাশাপাশি, দেশ দুটি প্রযুক্তি খাতেও চুক্তি সাক্ষর করেছে।[৯][১০]

ইকুয়েডর সরকার, পাম তেল খাতে মালেশীয় বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহী। এই লক্ষ্যে মালেশীয় প্রতিষ্ঠান সিম ডার্বি, ইকুয়েডরে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অনুসন্ধান করছে।[১১] শিক্ষা খাতে ইকুয়েডর মালয়েশিয়ার মালয়েশিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ইকুয়েডরের নতুন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার জন্য আহবান জানিয়েছে। পাশাপাশি ইকুয়েডরের অর্থনীতির রুপান্তরে অংশগ্রহণ করার জন্য দেশটি, মালয়েশিয়ার সকল উচ্চশিক্ষা দানকারী প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ জানিয়েছে।[১২]

যোগাযোগ খাতে, মালয়েশিয়া, ইকুয়েডরের একটি মনোরেল প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে। দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং সমন্বয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে মালয়েশিয়ায় ইকুয়েডরকে এই সহায়তা প্রদান করে।[১৩][১৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Embajada del Ecuador en Malasia" (স্পেনীয় ভাষায়)। Ministerio de Relaciones Exteriores y Movilidad Humana। ১৩ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৪ 
  2. "Honorary Consul"মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ১৬ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৪ 
  3. "Malaysia, Ecuador can expand trade, says Raja Muda Perlis"নিউ স্ট্রেইটস টাইমস। ৩ জুলাই ২০১২। ১৯ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৪ 
  4. "Ecuador to enhance culture, trade, tourism ties with M'sia"দ্যা বোর্নিও পোস্ট। ২৭ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৪ 
  5. "Ecuador y Malasia acuerdan mayor impulso comercial e inversiones" (স্পেনীয় ভাষায়)। ইউসিএসজি রেডিও। ২৬ জুন ২০১৩। ১২ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৪ 
  6. "Trade relations between Ecuador and Malaysia are strengthened"। Ministerio de Relaciones Exteriores y Movilidad Humana। ২৬ জুন ২০১৩। ৩১ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৪ 
  7. "Ecuador firma acuerdos con Malasia" (স্পেনীয় ভাষায়)। ইকুয়েডর ইমিদিয়াতো। ২৬ জুন ২০১৩। ১৩ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৪ 
  8. "Ecuador impulsa los lazos bilaterales con Malasia" (স্পেনীয় ভাষায়)। এল টেলিগ্রাফো। ২৬ জুন ২০১৩। ১৩ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৪ 
  9. MASSA (২৫ এপ্রিল ২০১৩)। "BUSINESS OPPORTUNITIES FOR MALAYSIANS"। মালয়েশিয়া সাউথ-সাউথ অ্যাসোসিয়েশন। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৪ 
  10. "Malasia coopera en innovación y transferencia tecnológica con el Ecuador" (স্পেনীয় ভাষায়)। কনফার্মাদো। ৪ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৪ 
  11. Balan Moses (১৯ সেপ্টেম্বর ২০১২)। "Ecuador's petite envoy holds sway"। নিউ স্ট্রেইটস টাইমস। ১৬ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৪ 
  12. সাইফুল বাহরি কামারুদ্দিন (২৭ জুন ২০১৩)। "Ecuador Offers UKM To Participate In Its New Vision City"ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব মালয়েশিয়া। ১৬ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৪ 
  13. "Ecuador compromete a Malasia para financiar un monorriel" (স্পেনীয় ভাষায়)। ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল। ২৩ জানুয়ারি ২০১৩। ১২ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৪ 
  14. "Ecuador y Malasia refuerzan relación bilateral" (স্পেনীয় ভাষায়)। লা রিপাবলিকা, ইকুয়েডর। ২১ জানুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]