জাপান-মিশর সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জাপান-মিশর সম্পর্ক
মানচিত্র Egypt এবং Japan অবস্থান নির্দেশ করছে

মিশর

জাপান

জাপান-মিশর সম্পর্ক (আরবি: العلاقات المصرية اليابانية, জাপানি: 日本とエジプトの関係) জাপান এবং মিশরের মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। জাপানের রাজধানী টোকিওতে মিশরের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। অপরদিকে মিশরের রাজধানী কায়রোতে জাপানের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।[১]

এই দুই দেশের মাঝে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। জাপানে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত জাপান এবং মিশরের মধ্যকার এ সম্পর্ককে "দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক" হিসেবে আখ্যায়িত করেন।[২] বর্তমানে এই দুই দেশের মাঝে অত্যন্ত আন্তরিক সম্পর্ক রয়েছে। এর পাশাপাশি বাণিজ্য খাতে এই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়।[৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯ শতকে বা এরও পূর্বে এই দুই অঞ্চলের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। তবে ১৯২২ সালে এই দুই দেশের মাঝে আধুনিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। সে সময় জাপান, মিশরের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দান করে।[৪] সেই সময় থেকে এই দুই দেশের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে।

১৯৯৫ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী, তোমিচি মুরায়ামা এক রাষ্ট্রীয় সফরে মিশরে যান। অপরদিকে মিশরের সাবেক রাষ্ট্রপতি, হোসনি মুবারক ৩ বার জাপান সফরে যান। তিনি ১৯৮৩, ১৯৯৫ এবং ১৯৯ সালে এই সফরগুলো করেন।[৫][৬][৭]

১৯৯৮ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত সময়কালে জাপান, মিশরকে ৩.৫ বিলিয়ন (৩৫০ কোটি) মার্কিন ডলার ঋণ এবং সহায়তা প্রদান করে। ২০০২ সালে, এই দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) মার্কিন ডলার। এই সহায়তার মধ্যে মিশরে চিকিৎসা খাতের উন্নয়নে অ্যাম্বুলেন্স প্রদান, যোগাযোগ খাতের উন্নয়নে সেতু নির্মাণে সহায়তা উল্লেখযোগ্য।

২০০৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত জাপানের ১০৫১ জন নাগরিক মিশরে অভিবাসী হিসেবে বসবাস করেন। এর পাশাপাশি ২০০৯ সালে, জাপানের প্রায় ৯০ হাজার পর্যটক মিশর ভ্রমণে যান। ২০০৭ সালের হিসাব অনুযায়ী ৩,৫০০ মিশরীয় পর্যটক জাপানে পর্যটনে গিয়েছিলেন।[৫]

কূটনীতি[সম্পাদনা]

জাপান, মধ্যপ্রাচ্যের জন্য মিশরকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করে। সেই সাথে এই অঞ্চলের কূটনীতির জন্য মিশরকে একটি অত্যাবশ্যক অংশ হিসেবে গণ্য করে।[৫] মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং শান্তি বজায় রাখার এই দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় রয়েছে এবং এর পাশাপাশি দুই দেশের সরকার প্রধান এই ব্যাপারে পরস্পরকে সমর্থন দেয়।[৮]

দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন, সমন্বয় সাধন এবং দ্বিপাক্ষিক আগ্রহের খাতে উন্নয়নের লক্ষ্যে এই দুই দেশ একটি যৌথ কমিটি প্রতিষ্ঠা করেছে।[৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. [১] Retrieved May 4, 2009.[অকার্যকর সংযোগ]
  2. "Retrieved May 4, 2009"। Web.archive.org। ২০০৮-১০-০৯। ২০০৮-১০-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০১ 
  3. Japan and Egypt open up ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ আগস্ট ২০১৩ তারিখে Retrieved May 4, 2009.
  4. "Egyptian Japanese Relations: The Year of Egypt Tourism Promotion in Japan 2009"মেইনিচি ডেইলি নিউজ। মে ১৭, ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ৪, ২০০৯ 
  5. "Japan-Egypt Relations"জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মে ২৪, ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ৪, ২০০৯ 
  6. [২]Retrieved May 4, 2009. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০০৯ তারিখে
  7. "Egyptian-Japanese Relations - Kaoru Ishikawa"। ডিসেম্বর ২৪, ২০০৮। জুন ১৪, ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ৪, ২০০৯ 
  8. "Egypt, Japan for delay in Palestinian state declaration, resuming deadlocked peace talks"অ্যারাবিক নিউজ। এপ্রিল ১৩, ১৯৯৯। ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ৪, ২০০৯ 
  9. "Japan-Egypt Relations"। Eg.emb-japan.go.jp। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]