চীন–বেলজিয়াম সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চীন–বেলজিয়াম সম্পর্ক
মানচিত্র Belgium এবং China অবস্থান নির্দেশ করছে

বেলজিয়াম

চীন

চীন–বেলজিয়াম সম্পর্ক, চীন এবং বেলজিয়াম এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ১৯৭০ এর দশকে এই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এর ২০ বছর আগে চীনা মূল ভূখণ্ড কমিউনিস্ট শাসনের অধীনে আসে!

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালের ২৫ অক্টোবর, চীন এবং বেলজিয়ামের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।[১] এরপর ১৯৮০ এর দশকে এই দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি হতে থাকে এবং সেই সাথে সম্পর্কের কলেবর বৃদ্ধি পেতে থাকে। সে সময় চীন ও বেলজিয়ামের তরফ থেকে শীর্ষ পর্যায়ের সফর হতে থাকে। ১৯৯১ সালের এপ্রিল মাসে, চীনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী চু রুং-ই রাষ্ট্রীয় সফরে বেলজিয়ামে যান। এর পরের বছর, ১৯৯২ সালের মার্চ মাসে, চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী, ছিয়েন ছিছেন বেলজিয়াম সফরে যান।[১]

আবার বেলজিয়ামের তরফ থেকে, যুবরাজ আলবার্ট, ১৯৯৩ সালে মে মাসে চীনে রাষ্ট্রীয় সফরে যান। পরবর্তীতে যুবরাজ ফিলিপ দুইবার চীন সফরে গিয়েছিলেন। তিনি ১৯৯৬ সালের নভেম্বর মাসে এবং ২০০০ সালের মে মাসে চীনে সফর করেন। এছাড়াও, বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী, জ্যাঁ-লুক দেহায়েন, ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাসে চীন সফরে যান। আবার ২০০২ সালের মার্চ মাসে বেলজিয়ামের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গাই ভারহফস্ট্যাট চীন সফরে যান[১]

দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নতির সাথে সাথে, দুই দেশের মধ্যকার দিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়। ২০১০ সালে সাংহাইতে অনুষ্ঠিত এক্সপো ২০১০-এ বেলজিয়ামের একটি প্যাভিলিয়ন ছিল।[২]

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে, চীনের তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি, শি চিনফিং এক রাষ্ট্রীয় সফরে বেলজিয়ামে যান। সেখানে তিনি বাণিজ্য, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রভৃতি বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন।[৩][৪][৫]

২০০২ সালে, দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪.৮৯৮ বিলিয়ন (৪৮৯.৮ কোটি) মার্কিন ডলার। চীন, বেলজিয়ামের ষষ্ঠ বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। বেলজিয়ামের মোট বাণিজ্যের ৪.১ শতাংশ হয় চীনের সাথে।[৬]

২০০৮ সালে, এই দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২০ বিলিয়ন (২০০০ কোটি) মার্কিন ডলার। এবং এই পরিমাণ প্রতিবছর ২০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।[৭]

বেলজিয়ামে চীনা মানুষ[সম্পাদনা]

ছিয়েন শিউলিং (১৯১২-২০০৮) বেলজিয়ামের একজন চীনা অভিবাসী ছিলেন। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রায় ১০০ বেলজিয়ামের নাগরিককে নাৎসিদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। এর জন্য পরে তিনি বেলজিয়ামে একটি পদক পান। এর পাশাপাশি তার নামে বেলজিয়ামের একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়।[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. http://www.fmprc.gov.cn – ১২-১০-২০০৩ China and Belgium
  2. "Archived copy"। ১৫ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৭-০১ 
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১১ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৭ 
  4. http://www.chinadaily.com.cn/china/2009-10/08/content_8768175.htm
  5. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১১ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৭ 
  6. "Archived copy"। ১০ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-১০ 
  7. mofcom.gov.cn/, ১২-১০-২০০৯, China-Belgium Economic and Trade Forum Held in Brussels ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ জুলাই ২০১১ তারিখে
  8. "Décès de Siou-Ling Tsien, qui avait sauvé Ecaussinnes des nazis" (ফরাসি ভাষায়)। 7sur7। ১ আগস্ট ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]