তাজিকিস্তান-মালয়েশিয়া সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তাজিকিস্তান-মালয়েশিয়া সম্পর্ক
মানচিত্র Malaysia এবং Tajikistan অবস্থান নির্দেশ করছে

মালয়েশিয়া

তাজিকিস্তান

তাজিকিস্তান-মালয়েশিয়া সম্পর্ক, তাজিকিস্তান এবং মালয়েশিয়ার মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। উভয় দেশের মাঝেই অত্যন্ত আন্তরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান এবং দেশ দুটি এই সম্পর্ককে জোরদার করতে এবং আরও এগিয়ে নেয়ার জন্য গঠনমূলক পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী।[১]

২০১৪ সালে, তাজিকিস্তান সরকার পুত্রজয়াতে নিজেদের দূতাবাস স্থাপন করতে রাজি হয়। বর্তমানে তাজিকিস্তান, ইন্দোনেশিয়ায় যে দূতাবাস ব্যবহার করছে, তা একটি আবাসিক এবং ভাড়া নেয়া বাড়িতে অবস্থিত। তবে তাজিকিস্তান সরকার প্রতি সৌজন্য হিসেবে, মালয়েশিয়া সরকার প্রথম তিন বছরের জন্য সেই ভাড়া মৌকুফ করেছে। [২][৩] তবে, তাজকিস্তানে মালয়েশিয়ার কোন স্থায়ী দূতাবাস নেই।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৯২ সালের ১ মার্চ তাজিকিস্তান এবং মালয়েশিয়ার মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।[১]

২০১৪ সালের ২২-২৫ জুন, তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপতি, ইমোমালি রাহমোন সস্ত্রীক এক রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়াতে যান। মালয়েশিয়ার ইয়াং ডি-পেরতুয়ান আগোং, আবদুল হালিম মুয়াজ্জম শাহ এর আমন্ত্রণে, তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপতি মালয়েশিয়ায় এ সফর করেন।[৪]

অর্থনৈতিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

২০১৩ সালে এই দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমান ছিল ৫.৫ বিলিয়ন (৫৫০ কোটি) মার্কিন ডলার। এর সাথে, মালয়েশিয়ার অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, তাজিকিস্তানে বাণিজ্যের সুযোগ লাভে আগ্রহী।[৫]

২০১৪ সালের তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপতির মালয়েশিয়া সফরে, তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপতি, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী, নজিব রাজাক এর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকে, দুই দেশের মধ্যকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, বিজ্ঞানভিত্তিক, সাংস্কৃতিক, কারিগরি এবং বিনিয়োগভিত্তিক সমন্বয় বৃদ্ধির ব্যাপারে উভয় দেশই সম্মত হয়।[৬]

এর পাশাপাশি এই দুই দেশের সম্মতির ভিত্তিতে, দেশ দুটির মধ্যে ৫ টি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়। যেসব বিষয়ে এই সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয় সেগুলো হল, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সমন্বয়, পর্যটন খাতে সমন্বয়, প্রশিক্ষণ এবং ক্রীড়া বিষয়ক সমন্বয়, অর্থনৈতিক খাতে সমন্বয় এবং কারিগরি ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে সমন্বয়।[৭]

২০১৩ সালে মালয়েশিয়া, তাজিকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে, একটি ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরির ব্যাপারে আগ্রহী ছিল। ২০১৩ সালেই, এই বিদ্যুৎ উৎপাদন নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। [৮]

শিক্ষা সম্পর্ক[সম্পাদনা]

মালয়েশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, তাজিকিস্তানের ২ শতাধিক শিক্ষার্থী শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।[১][৬]

২০১৪ সালে, তাজিকিস্তানের শিক্ষা এবং বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়, তাজিকিস্তানে লিমকোকুইং ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলোজি এর একটি শাখা স্থাপনের লক্ষ্যে, বিশ্ববিদ্যালয়টির সাথে একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষক করে। [৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Relations of Tajikistan with Malaysia"তাজিকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৪ 
  2. "CONTINUATION OF STATE VISIT OF THE PRESIDENT OF TAJIKISTAN TO MALAYSIA"খোভার। ২৪ জুন ২০১৪। ১ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৪ 
  3. "Emomali Rahmon Instructs Tajik Diplomats to Start Their Mission in Malaysia"। আভেস্তা (তাজিকিস্তান)। ২৪ জুন ২০১৪। ৩ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৪ 
  4. "Tajikistan president will make four-day visit to Malaysia"বার্নামানিউ স্ট্রেইটস টাইমস। ২২ জুন ২০১৪। ২২ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৪ 
  5. "Firma Malaysia berminat teroka Tajikistan"বার্নামা (মালয় ভাষায়)। এবিএন নিউজ। ২৩ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "Tajikistan, Malaysia discuss cooperation development"। একেআই প্রেস। ২৪ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৪ 
  7. "Malaysia, Tajikistan to strengthen bilateral ties"বার্নামাদ্যা বোর্নিও পোস্ট। ২৪ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৪ 
  8. পেরাভ করশানবিয়েভ (২৯ অক্টোবর ২০১৩)। "Malaysia expected to build 400 mln USD worth of CHP plant in northern Tajikistan"এশিয়া-প্লাস। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৪ 
  9. "Malaysian university expected to open its branch in Tajikistan"। এশিয়া-প্লাস। ২৬ জুন ২০১৪। ৬ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৪