কাতার জাতীয় জাদুঘর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কাতার জাতীয় জাদুঘর
মানচিত্র
স্থাপিত১৯৭৫
অবস্থানদোহা, কাতার
ধরনশিল্প যাদুঘর
মালিকQatar Museums
ওয়েবসাইটwww.qnm.8m.com

কাতার জাতীয় জাদুঘর কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থিত এটি জাতীয় জাদুঘর। কাতার জাতীয় জাদুঘর প্রতিস্থাপিত হয় এবং ২০১৬ সালে কাতার জাতীয় জাদুঘর একই স্থানে নির্মিত হয়েছে।[১]

ইতিহাস এবং পরিকল্পনা[সম্পাদনা]

১৯৭২ সালে খালিফা বিন হামাদ আল থানি ক্ষমতায় আসার পর, দেশের ঐতিহ্য ও স্মৃতিকে সংরক্ষিত রাখার জন্য একটি জাতীয় জাদুঘরের পরিকল্পনা তৈরি করেন। একই বছর, খলিফা মাইকেল রাইস অ্যান্ড কোম্পানীকে জাদুঘরের কাঠামোগত ও কার্যকরী দিক নকশা করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আব্দুল্লাহ বিন জসিম আল থানি সিদ্ধান্ত নেনে যে, যাদুঘরের ভবনটি ফারিয়িক আল সালাতাহ প্রাসাদের সাথে অন্তর্ভুক্তি করা হবে যেখানে তার দখলকৃত ২০তম শতাব্দীর প্রথম প্রাসাদ হিসবে পরিগণিত হবে।

সংকলন[সম্পাদনা]

জাদুঘরটির উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে এমন সব নিদর্শণ সংরক্ষণ করা হয় যা কাতারের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সাহায্য করে। যেমন বেদুইন জাতিগত উপাদান, সামুদ্রিক শিল্পকর্ম এবং পরিবেশগত বিষয়। জাদুঘরে প্রাচীন শিল্পকর্মগুলি ছাড়াও স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলিও সংগ্রহ করা হয় এবং তা সংরক্ষিত রাখা হয়। মুক্ত সরঞ্জাম প্রদর্শনের জন্য একটি উপহ্রদ তৈরি করা হয়। ২৩ শে জুন ১৯৭৫ যাদুঘরটি উদ্বোধন করেন। এই যাদুঘরের সুবিধাগুলোর মধ্যে ১০০ টি আসনের অডিটোরিয়াম এবং একটি গ্রন্থাগার রয়েছে। ১৯৮০ সালে যাদুঘরটি শিল্পকর্মের উপর পুরস্কার পায়। ২০১৩ সালে যাদুঘরটির চারপাশের রাজপ্রাসাদটি যাদুঘর বৃদ্ধির জন্য সংস্কার করা হয়।

প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসপত্র[সম্পাদনা]

১৯৭৩ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ পুরাতত্ত্ববিদ বিটরস দে কার্ডি এবং তার দলকে যাদুঘর প্রদর্শন করে এবং আর্টিফেক্ট সংগ্রহ করার অভিযান চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাদের আবিষ্কারগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হল আল দাউস, যার মধ্য বেশ কয়েকটি উবেড পাত্রধারার নিওলিথিক যুগের ডেটিং রয়েছে।[২] ডেনমার্কের অভিযান ও প্রদর্শনীগুলি ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকের প্রথম দিকে প্রদর্শন করা হয়।

প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য যাদুঘরের প্রাচীন সম্পদ বিভাগের দে কার্ড অভিযানে সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকা রেখে ছিল। আল ওয়াসিল এবং জুবারাহ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান খনন করে।[৩]

নৃতাত্ত্বিক উপকরণ[সম্পাদনা]

নথিভুক্ত উপাদান গুলোর মধ্যে ইথিনিক বিদুইনরা ছিলো অন্যতম। বেদুইন কর্তৃক প্রদর্শনীতে কিছু বস্তু ঐতিহাসিকভাবে সরঞ্জাম ও অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হতো, অন্যথায় গহনা, মৃৎপাত্র ও পোশাকের মতো পণ্য গুলি দেখা যায়। কাতারি ইবনে আল ফুজা ও সাবেক আমির জসিম বিন মোহাম্মদ আল থানি রচিত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রচনা ঐতিহ্যবাহী কবিতা যাদুঘরে স্থান পায়।

২০১৫ সালে শেখ মুবারক বিন সাইফ আল থানি প্রদর্শনীতে কাতার জাতীয় জাদুঘরে গীতধর্মের প্রথম লেখা খসড়া উপস্থাপন করেন। এটি নির্ধারিত ছিল যে তার সমাপ্তির উপর নতুন যাদুঘর সরিয়ে নেওয়া হবে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Karen Exell & Trinidad Rico (২০১৩)। "'There is no heritage in Qatar': Orientalism, colonialism and other problematic histories"World Archaeology45 (4): 670। ডিওআই:10.1080/00438243.2013.852069। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  2. M. Abdul Nayeem (1998), p. 36
  3. M. Abdul Nayeem (1998), p. 39