নির্বাসনে স্বাধীনতা (আত্মজীবনী)
লেখক | ১৪শ দালাই লামা |
---|---|
ভাষা | ইংরেজি |
ধরন | আত্মজীবনী |
প্রকাশক | হ্যার্পার স্যান ফ্রান্সিকো |
প্রকাশনার তারিখ | ১৯৯১ |
মিডিয়া ধরন | প্রিন্ট |
পূর্ববর্তী বই | আমার জীবন এবং আমার জনগণ (মাই লাইফ এন্ড মাই পিপল) |
নির্বাসনে স্বাধীনতা: দালাই লামার আত্মজীবনী (ইংরেজি: Freedom in Exile: The Autobiography of the Dalai Lama) যা ১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ১৪শ দালাই লামার দ্বিতীয় আত্মজীবনী। দালাই লামার প্রথম আত্মজীবনী, আমার ভূমি এবং আমার জনগণ (My Land and My People), ১৯৬২ সালে প্রকাশিত হয়েছিল, তিনি নিজেকে ভারতে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার কয়েক বছর পর, এবং তিনি একজন আন্তর্জাতিক তারকা হয়ে ওঠার আগে। ১৯৯৭ সালে কুন্দুনচলচ্চিত্রের মুক্তির সময়ে তিনি উভয় আত্মজীবনীকে প্রামাণিক হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং আমার ভূমি এবং আমার জনগণ পুনঃপ্রকাশ করার জন্য অভিনন্দন জানান।[১]
পটভূমি[সম্পাদনা]
বইয়ের শুরুতেই দালাই লামা ব্যাখ্যা করেন যে তিনি তিব্বতের ইতিহাস সম্পর্কে "চীনা দাবি ও ভুল তথ্যের পাল্টা জবাব" হিসেবে বইটি লিখেছিলেন।[১][২] "নির্বাসনে স্বাধীনতা" শিরোনাম দ্বারা তিনি যে স্বাধীনতার কথা বুঝান, তা আসলে ভারত তাকে যে প্রস্তাব দেয় সেটা।[৩]
দ্বিতীয় আত্মজীবনীর ধারণাটি আলেকজান্ডার নর্মান নামের একজন ব্রিটিশ সাংবাদিকের কাছ থেকে এসেছিল, যিনি ১৯৮০ সালে, "কোন এক সময় কয়েক ঘণ্টা" দালাই লামার সাথে বসেন এবং তার কথা ধারণ করেন এবং পাণ্ডুলিপি আকারে বইটি লিখেন।[২]
সারসংক্ষেপ[সম্পাদনা]
বইটিতে দালাই লামার "ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম নেয়া" থেকে শুরু করে, দালাই লামা হিসাবে নির্বাচিত হওয়া, গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সঙ্গে তীব্র সম্পর্কের কথা (যার মধ্যে তিনি অনেক অত্যাচারের কথা দাবি করেন) এবং পরবর্তী সময়ে ভারতে বাকি জীবন কাটানো নিয়ে আত্মজীবনী শুরু করেন। বইটিতে "তিব্বতী বৌদ্ধধর্ম এবং পাশ্চাত্য দেশ সমূহের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি উভয়ের মধ্যে সাংস্কৃতিক পার্থক্য রয়েছে" বলে স্বীকার করা হয়, তবে ধর্মীয় বিষয়বস্তু কম থাকার জন্য পশ্চিমা দেশে আত্মজীবনীমূলক এই বইটির সমালোচনা করা হয়েছে।[২]
এই আত্মজীবনীটিতে তিব্বত স্বাধীনতা আন্দোলনে সমর্থনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) সমালোচনা করা হয়, "কারণ তারা (সিআইএ) শুধু তিব্বতের স্বাধীনতা সম্পর্কে গুরুত্বের সাথে কাজ করছে না, বরং তারা বিশ্বব্যাপী সব কমিউনিস্ট সরকারদের অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা হিসেবে এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছে"।[৪]
অভ্যর্থনা[সম্পাদনা]
নির্বাসনে স্বাধীনতা ১৯৮৯-এর কমিউনিজম বিরোধী বিপ্লবের সময়ে মুক্তি পায় এবং দালাই লামা ১৯৮৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হন। একটি পর্যালোচনাতে, রেমবার্ট উইকল্যাণ্ড বইটিকে "একটি রাজনৈতিক বই" এবং "স্বাধীনতার আহ্বান" নামে অভিহিত করেন।[২]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ ম্যাকমিলিন, লরি হোভেল (২০০১)। তিব্বত ইংরেজিতে, ইংরেজিতে তিব্বত: তিব্বতের স্ব-উপস্থাপনা এবং প্রবাসী। পালগ্রেভ ম্যাকমিলান। পৃষ্ঠা 175।
- ↑ ক খ গ ঘ উইকল্যান্ড, রেমবার্ট জি। (১৯৯০-০৯-৩০)। "আমাদের জীবন অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০১-১০।
- ↑ ১৪শ দালাই লামা (২০০৯-০৩-৩১)। ধন্যবাদ ভারতকে!। ন্যাশনাল ফোকালোর সাপোর্ট সেন্টার। ২০১১-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০১-১০।
- ↑ "৬০-এর দশকে সিআইএ তিব্বতি নির্বাসিতদের সহায়তা প্রদান করেছে, ফাইলে দেখা যায়"। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
১৯৯০ সালে তাঁর আত্মজীবনী," ফ্রিডম ইন এক্সাইলে", দালাই লামা ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, ১৯৫৬ সালে ভারত সফরের সময় সিআইএর সাথে তাঁর দুই ভাইয়ের যোগাযোগ হয়েছিল। সিআইএ সাহায্য করতে সম্মত হয়েছিল, "কারণ তারা (সিআইএ) শুধু তিব্বতের স্বাধীনতা সম্পর্কে তদারকি করছে না, বরং তারা বিশ্বব্যাপী সব কমিউনিস্ট সরকারদের অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা হিসেবে অংশ নিয়েছে," দালাই লামা লিখেছেন।