ঈদ গাহ্ মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ৩৪°৩১′০৪″ উত্তর ৬৯°১১′২৪″ পূর্ব / ৩৪.৫১৭৮° উত্তর ৬৯.১৯০০° পূর্ব / 34.5178; 69.1900
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ঈদ গাহ্ মসজিদ
ঈদ গাহ্ মসজিদ, কাবুল ।
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
জেলাকাবুল
প্রদেশকাবুল প্রদেশ
অঞ্চলশর-ই-বারক, কাবুল
ধর্মীয় অনুষ্ঠানআবদালী
নেতৃত্ববাবর অথবা জাহাঙ্গীর
পবিত্রীকৃত বছর১৬ শতাব্দী
অবস্থান
অবস্থানকাবুল, আফগানিস্তান
স্থানাঙ্ক৩৪°৩১′০৪″ উত্তর ৬৯°১১′২৪″ পূর্ব / ৩৪.৫১৭৮° উত্তর ৬৯.১৯০০° পূর্ব / 34.5178; 69.1900
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীইসলামী স্থাপত্য, মুঘল স্থাপত্য

ইদ গাহ মসজিদ বা ঈদগাহ মসজিদ আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে অবস্থিত দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ । এটি দেশের প্রধান ধর্মীয় মসজিদ হিসেবে বিবেচিত, যেখানে এক মিলিয়ন মানুষ বছরে দুবার ঈদ নামাজ  পড়তে সমবেত হয় । এটি কাবুলের শর-ই-বারাক শহরে অবস্থিত মাহমুদ খান সেতু এবং শহরের পূর্ব অংশে অবস্থিত ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের কাছে অবস্থিত । এটি শহরের আভ্যন্তরীণ এলাকার একটি অংশ । "ইদ গাহ" বা "ঈদগাহ" বলতে একটি খোলা জায়গা বোঝায় যেখানে মানুষ জাতীয় ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলির সময় মিলিত হয়। ঈদ গাহের খোলা মাঠগুলি কুরবানির পশুর পরিবহন সামগ্রীগুলির জন্য পার্কিং লট হিসেবে ব্যবহার করা হয়।[১]

বেশিরভাগ তথ্যসূত্রে বলা হয়েছে সম্রাট বাবরের সময়ে একজন মুসলমান যোদ্ধা ভারতে আক্রমণ করেছিলেন এবং ভারতকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন এবং ইসলামকে গৌরবান্বিত করার জন্য একটি মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন । তিনি তার যোদ্ধাদের দ্বারা পাঞ্জাব, সিন্ধু এবং আশেপাশের এলাকা থেকে বহুমূল্য পাথর ফিরিয়ে নিয়েছিলেন পাথর নিয়ে নিয়েছিলেন । পারস্যের স্থপতিরা তাদের কাবুলের প্রজন্মের জন্য একটি কাঠামো নির্মাণ করেন । এটি ধর্মীয় বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব , ধর্মীয় অনুষ্ঠান, রাজকীয় এবং রাজকীয় ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলি আয়োজিত হত ।  সে সকল উৎসবে বিভিন্ন রাজা এবং আমির উপস্থিত থাকতেন  । এই মসজিদটিতে ১৯১২ সালে তৎকালীন আমির হাবিবুল্লাহ তার দেশের স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা প্রদান করেছিলেন। [২][৩][৪][৫]

এই ঈদ গাহ মসজিদকে ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ সালে আক্রমণের লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, যখন দুইজন সন্দেহভাজনকে  গ্রেফতার করা হয় । সে সময় তাদের গাড়িতে 8 কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল।.[৬]

স্থাপত্য[সম্পাদনা]

ঈদ গাহ মসজিদ কাবুলের একটি ঐতিহ্যবাহী অংশে অবস্থিত এবং এই ঐতিহ্যবাহী মুসলিম স্থাপত্য ও ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে।  এই পবিত্র স্থান দেখার জন্য প্রতিদিনই দূরদূর থেকে তীর্থযাত্রীদের আগমন দেখা যায় । মসজিদটি বেইজ এবং সাদা রঙের ডিজাইন করা ।  সামনে দিকে চারটি মিনারের , উচ্চ কেন্দ্রীয় খিলানবিশিষ্ট দুটি এবং কেন্দ্রীয় খিলান উভয় পাশের খিলানবিশিষ্ট অংশের উভয় পাশে এর কাজ দেখা যায় । চারদিকে গোলাকার চারটি মিনারা একই দিকে এবং ছাদের মাঝখানে ভিন্ন রঙের একটি ছোট ছোট মিনার অবস্থিত । মসজিদ দীর্ঘ  দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ প্রশস্ত বিশিস্থ । ৩ টি খিলানবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় খিলানে আঁকা এলাকা বাদে মসজিদটির দৈর্ঘ্যের দিকে ১৮ টি অন্ধকার কুঠি রয়েছে।.[৭]  ঈদগাহ স্কয়ার নামে পরিচিত এই বিশাল এলাকাটি  প্রার্থনা মৌসুমে মসজিদে প্রচুর সংখ্যক লোক ধারণ করতে সক্ষম । 

তথ্যসূত্র [সম্পাদনা]

  1. "Kabul"। Let Us Explore। ২০১১-১১-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-২৭ 
  2. "An Historical Guide to Kabul"[51] Return to the Stadium। American International School of Kabul। ২০১০-১১-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-২৬ 
  3. "Id Gah Mosque"। Arch Net Digital Library। ২০১১-০৬-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-২৬ 
  4. "Kabul Travel"Id Gah Mosque। Kabul Travel। ২০১০-০৮-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-২৬ 
  5. "Urban History and Development of Kabul" (পিডিএফ)। Switzerland: 10th Architecture Behavious Colloqium। ২০০৪। পৃষ্ঠা 15–16। ২০১১-০৭-০৬ তারিখে মূল (pdf) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-২৫ 
  6. IntelCenter Terrorism Incident Reference (TIR): Afghanistan, 2000-2007। Tempest Publishing। ২০০৮। পৃষ্ঠা 209। আইএসবিএন 0-9665437-8-5। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-২৭ 
  7. (মানচিত্র)।  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)|title= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)