শ্রীকান্ত জিচকর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শ্রীকান্ত জিচকর ২য়
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯৫৪-০৯-১৪)১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৫৪
কাটল
মৃত্যু২ জুন ২০০৪(2004-06-02) (বয়স ৪৯)
নাগপুর
জাতীয়তাভারতীয়
রাজনৈতিক দলভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস)
দাম্পত্য সঙ্গীরাজশ্রী জিচকর

শ্রীকান্ত জিচকর (১৪ই সেপ্টেম্বর ১৯৫৪ সাল – ২রা জুন ২০০৪) ছিলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন হরেক রকমের অনেক ডিগ্রীধারী ব্যক্তিত্ব। তিনি ভারতের সবচেয়ে বেশি ডিগ্রীধারী ও শিক্ষিত ব‍্যক্তি।[১]

জীবনী[সম্পাদনা]

তিনি আইন (এল.এল. বি.)-ডিগ্রীর সাথে আন্তর্জাতিক আইন (LL.M.) ও ব্যবসা প্রশাসন ডিগ্রি (DBM and MBA) এবং সাংবাদিকতায় (B.Journ) ডিগ্রী নেন । তিনি সংস্কৃত-এ ডি. লিট (Doctor of Literature) নেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো ডিগ্রীর মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ। তার অধিকাংশ ডিগ্রীগুলো উচ্চ মানের ও প্রথম শ্রেণীর এবং ডিগ্রীর জন্য তিনি অনেক স্বর্ণ পদক অর্জন করেন। প্রতি গ্রীষ্ম এবং শীতে ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে তিনি ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা প্রশ্নপত্র রচনা করেন। তিনি মেডিকেল ডাক্তার (MBBS and MD) হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তিনি ভারতের রাজনীতিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৪ টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব একা পালন করেন। তিনি ভারত সরকারের শক্তিশালী মন্ত্রী ছিলেন।[২]

১৯৭৮ সালে তিনি ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেন এবং নির্বাচিত ও ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস (আইপিএস) হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন, পরে তিনি সেই পদ ত্যাগ করেন এবং পুনরায় ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেন এবং সাফল্যের সহিত ১৯৮০ সালে ইন্ডিয়ান এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসেস (আইএএস) পদে যোগ দেন। কিন্তু চার মাস পর তিনি সে পদ ত্যাগ করেন সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে।[৩] ১৯৮০ সালে তিনি মহারাষ্ট্র আইন প্রণয়ন এসেম্বলিতে নির্বাচিত হন, এবং ২৬ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ এমএলএ হিসেবে উত্তীর্ণ হন। ধারাবাহিকভাবে তিনি সরকারের মন্ত্রী পর্যায়ের একজন ক্ষমতাবান মন্ত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। মন্ত্রী হিসেবে, তিনি একাধারে ১৪ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।[৪]

ভারতে তার একক-ব্যক্তিগত পাঠাগারে বাহান্ন হাজারের বেশি বই সংগৃহীত ছিল।

জিচকর ছিলেন একজন প্রাতিষ্ঠানিক, পেইন্টার, ব্যবসায়িক ফটোগ্রাফার, এবং মঞ্চ অভিনেতা। তিনি একজন মহারাষ্ট্রের বিধানসভার আইন প্রণেতা (১৯৮২–৮৫) ও মহারাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন পরিষদের (১৯৮৬–৯২) সদস্য এবং মহারাষ্ট্র সরকারের রাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ভারতের রাজ্যসভার (১৯৯২–৯৮) সদস্য ছিলেন।[৫] ১৯৯২ সালে নাগপুরে সন্দীপনী স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি শিক্ষাঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

২ জুন ২০০৪ সালে তিনি ঊনপঞ্চাশ বছর বয়সে গাড়ী দুর্ঘটনায় প্রাণত্যাগ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Shrikant Jichkar killed in road accident"www.rediff.com। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১৭ 
  2. "This is the most educated person in India with 20 degrees : Listicles: Microfacts"indiatoday.intoday.in। ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১৭ 
  3. http://www.indiatimes.com/news/india/this-is-the-story-of-shrikant-jichkar-the-man-who-had-20-degrees-from-42-universities-263216.html
  4. "At a Glance: Late Dr Shrikant Jichkar, India's one of the most learned politicians"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১৭ 
  5. "5 Facts You Should Know About Dr. Shrikant Jichkar, The Most Qualified Man In India"www.thestorypedia.com। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]