রিতেশ থাপা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রিতেশ থাপা
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম রিতেশ থাপা
জন্ম (1984-10-02) ২ অক্টোবর ১৯৮৪ (বয়স ৩৯)
জন্ম স্থান ইতাহারি, নেপাল
উচ্চতা ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার)
মাঠে অবস্থান গোলরক্ষক
ক্লাবের তথ্য
বর্তমান দল
নিষিদ্ধ
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
২০০০-২০০৪ থ্রি স্টার ক্লাব
২০০৪-২০১৫ নেপাল পুলিশ ক্লাব
জাতীয় দল
২০০৩-২০১৫ নেপাল ১২ (১)
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

রিতেশ থাপা (নেপালি: रितेश थापा (জন্ম ২ অক্টোবর ১৯৮৪) নেপাল এর একজন আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলোয়াড়। তার জন্মস্থান নেপালের ইতাহারি অঞ্চলে। তিনি একজন গোলরক্ষক। ২০০৩ সালে তিনি নেপাল জাতীয় ফুটবল দল এর হয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন।[১] তবে, ম্যাচ ফিক্সিং প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৫ সালের পর থেকে তিনি নেপালের এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সকল ধরনের ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ হওয়ার পূর্বে তিনি নেপাল পুলিশ ক্লাব এর হয়ে নেপালের ঘরোয়া ফুটবলে খেলতেন।

ক্লাব ক্যারিয়ার[সম্পাদনা]

রিতেশ থাপা সিনিয়র পর্যায়ে ফুটবল শুরু করেন ২০০০ সালে। সে সময় তিনি যোগ দেন, নেপালের থ্রি স্টার ক্লাবে। থ্রি স্টার ক্লাবের হয়ে তিনি, ৪ বছর ঘরোয়া ফুটবলে খেলেন। এরপর ২০০৪ সালে তিনি থ্রি স্টার ক্লাব ছেড়ে নেপাল পুলিশ ক্লাব দলে যোগ দেন। নেপাল পুলিশ ক্লাব দলের হয়ে তার দলীয় এবং ব্যক্তিগত অর্জন অনেক। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ২০০৭ এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপ টুর্নামেন্টে, দলের হয়ে রানার্স-আপ হওয়া। এর পাশাপাশি ক্লাবটির হয়ে তিনি ৪ বার নেপালের মার্টায়ারস মেমোরিয়াল এ-ডিভিশন লীগ এর শিরোপা জিতেছেন।[২]
২০১৫ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ হওয়ার আগে তিনি এই ক্লাবের হয়ে ১১ বছর খেলেছেন।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার[সম্পাদনা]

২০০৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রিতেশ থাপার আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয়। তিনি সেই ম্যাচে বদলি হিসেবে নামেন, যদিও সেই দিনটি ছিল নেপালের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে কলংকময় দিন। সেই ম্যাচটি ছিল ২০০৪ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব এর একটি ম্যাচ এবং প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। ম্যাচটি নেপালের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে ম্যাচ ছিল। তারা সেই ম্যাচে ১৬-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়, যা এখন পর্যন্ত নেপালের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজয়। ওই ম্যাচে রিতেশ থাপা, ম্যাচের মধ্য বিরতির পর, নিয়মিত গোলরক্ষক উজ্জ্বল মন্ধর এর বদলি হিসেবে নেমেছিলেন।[২]

২০১২ নেহেরু কাপ টুর্নামেন্টে থাপা, ২ ম্যাচ খেলেন এবং এর একটিতে হলুদ কার্ড দেখেন।[৩]

নেপাল দলের হয়ে তিনি, নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ১২টি ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন।

খেলার ধরণ[সম্পাদনা]

পরিশ্রমী এবং নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় হিসেবে স্কোয়াডে রিতেশ থাপার সুখ্যাতি রয়েছে এবং মাঠেও তার প্রতিফলন দেখা যায়। কিন্তু খেলার সময় তার মনোযোগের ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়।[২]

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ[সম্পাদনা]

২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবর তারিখে, নেপাল পুলিশ ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সাথে জড়িত সন্দেহে রিতেশ থাপাসহ সাগর থাপা, সন্দীপ রাই, বিকাশ সিং ছেত্রী এবং থ্রি স্টার ক্লাব এর সাবেক কোচ অঞ্জন কেসি কে গ্রেপ্তার করে। [৪][৫][৬][৭] ২০১৫ সালের ১৯ অক্টোবর এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) রিতেশ থাপাসহ বাকি ৪ জনকে সকল ধরনের ফুটবল হতে নিষিদ্ধ করে। [৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ন্যাশনাল-ফুটবল-টিমস.কমে "রিতেশ থাপা"ন্যাশনাল ফুটবল টিমস। বেঞ্জামিন স্ট্রাক-জিমারমান। 
  2. "Ritesh Thapa, Goal Nepal profile"গোল নেপাল। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৪ 
  3. "Ritesh Thapa, Goal.com profile"গোল.কম। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৪ 
  4. Keshav P. Koirala & Anil Ghimire (১৪ অক্টোবর ২০১৫)। "Nepal national team footballers arrested on charge of match-fixing in national and international games"দ্যা হিমালয়ান টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৫ 
  5. Charchit Dahal (১৪ অক্টোবর ২০১৫)। "Four Nepali national team football players have been arrested in the capital on charge of match fixing in National and International football matches."। স্পোর্টস অ্যারেনা। ১৭ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৫ 
  6. "BREAKING NEWS: Nepal Police Nabs Nepal Skipper Sagar Thapa & Four Others For Match Fixing!"গোল নেপাল। ১৪ অক্টোবর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. "Metropolitan Police Crime Division Chief Sarbendra Khanal: We Have Strong Evidence Against Them; They Have Decived Our Country And We Won't Spare Them"গোল নেপাল। ১৪ অক্টোবর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  8. "Asian Football Confederation bans five in match-fixing investigation"অ্যাসোসিয়েশন প্রেস(এপি)ইএসপিএন। ১৯ অক্টোবর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৫