সারি মন্দির

স্থানাঙ্ক: ৭°৪৫′৪১.৪৯″ দক্ষিণ ১১০°২৮′২৭″ পূর্ব / ৭.৭৬১৫২৫০° দক্ষিণ ১১০.৪৭৪১৭° পূর্ব / -7.7615250; 110.47417
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সারি মন্দিরের সম্মুখভাগ
মন্দিরের পিছন দিক
ভিতরের দৃশ্য
মন্দিরের রেপ্লিকা

ক্যান্ডি সারি (ইন্দোনেশীয়: Candi Sari also known as Candi Bendah) বা সারি মন্দির একটি ৮ম শতকের বৌদ্ধ মন্দির।[১]:৯০ এটি ইন্দোনেশিয়ার যোগ্যকর্তা অঞ্চলের কালাসানের তিরতোমার্তানি গ্রামের দুসুন বেন্দানে অবস্থিত। এর অবস্থান কালাসান মন্দির হতে ১৩০ মিটার উত্তর-পূর্বে। মন্দিরটি একটি দ্বিতল ভবন ছিল। এতে কাঠের বিম, ছাদ ও সিঁড়ি এবং জৈব উপাদানে নির্মিত দরজা জানালা ছিল যেগুলো ধ্বংস হয়ে হারিয়ে গেছে। মনে করা হয় ভবনটি প্রাথমিকভাবে একটি বিহার বা বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের বাসস্থান রূপে ব্যবহৃত হত।[২] মন্দিরের নাম ‘সারি’ শব্দটি জাভানীয় ভাষায় ঘুমানো বুঝিয়ে থাকে যা থেকে এর প্রাথমিক ব্যবহার সম্পর্কে আঁচ করা যায়।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ইতিহাসবিদরা মনে করেন সারি মন্দিরটি কালাসান মন্দির নির্মাণের কাছাকাছি সময়ে নির্মিত হয়েছিল। সংস্কৃত ভাষায় লেখা কালাসানের শিলালিপি ৭৭৮ খ্রিষ্টাব্দ নির্দেশ করে। শিলালিপি অনুযায়ী মন্দিরটি গুরু সঙ্গ রাজা শৈলেন্দ্রবামকাতিলক (শৈলেন্দ্র রাজবংশের রত্ন) নির্মাণ করেছিলেন যিনি শৈলেন্দ্র রাজবংশ এর মহারাজা তেজপূর্ণপণ পনঙ্গকরণ(কোন কোন স্থলে করীযান পনঙ্গকরণ নামে উল্লিখিত) কে বোধিসত্ত্ব তারা ও শৈলেন্দ্র রাজবংশের বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের জন্য বিহার নির্মাণে সম্মত করাতে সক্ষম হন। পনঙ্গকরণ বৌদ্ধ ভিক্ষু সন্ন্যাসী সম্প্রদায় সংঘকে কালারা গ্রাম প্রদান করেন। [৩] শিলালিপির তথ্য অনুযায়ী, সারি মন্দির নিকটস্থ কালাসান মন্দিরে নিবেদিত সন্ন্যাসীদের থাকার জন্য নির্মিত হয়ে থাকতে পারে।

১৯২০ ও ১৯২৯ সালে এর ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয় এবং এটি পুনর্নিমাণের উদ্যোগ ১৯৩০ সালে শুরু হয়ে সে বছরই শেষ হয়। এর নির্মাণ কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে কারণ মন্দির ঘিরে থাকা বাহিরের ভিত্তি, সম্প্রসারিত সম্মুখকক্ষ, পূর্ব দেয়ালের সঙ্গে যুক্ত সামনের সিঁড়ি প্রভৃতি বহু অংশই হারিয়ে গেছে।[২]

স্থাপত্য[সম্পাদনা]

মন্দিরটির প্রধান অংশ তিনটি- ভিত্তি, কাঠামো আর ছাদ। মন্দিরের ভূমি আয়তাকার, উত্তর-দক্ষিণে ১৭.৩ মিটার, পূর্ব-পশ্চিমে ১০ মিটার এবং উচ্চতা ১৭ মিটার। ভিত্তি অংশের কিছু মাত্র অবশিষ্ট আছে, বাইরের ভিত্তিপ্রদ প্রস্তরখণ্ডগুলো আর নেই। এর প্রবেশের দ্বারটি পূর্বদিকে অবস্থিত যেখানে কাল ও হাতি খচিত সুসজ্জিত ফটক রয়েছে। দেয়ালে উপরে ও নিচে দুসারিতে জানালা আছে। দেয়ালের মাঝে একটি অনুভূমিক সরলরেখা দেখা যায় যা থেকে ধারণা করা হয় মন্দিরটি একটি দ্বিতল ভবন।[২]

এর অভ্যন্তরে তিনটি কক্ষ রয়েছে- উত্তরের কক্ষ, কেন্দ্রীয় কক্ষ এবং দক্ষিণের কক্ষ। প্রতিটি ঘরের মাপ ৩ মিটার ╳ ৫.৮ মিটার। কক্ষ তিনটি পূর্বদিক দিয়ে উত্তর-দক্ষিণ অক্ষ বরাবর দরজা দ্বারা পরস্পর সংযুক্ত। প্রতিটি কক্ষের দেয়ালে পাথরের টুকরার সারি দেখতে পাওয়া যায় যেগুলো কাঠের বিম আর দুটি তলার ভেদকারী কাঠের ছাদ ধরে রাখতে ব্যবহৃত হত। কিছু জায়গায় কোনাকুনি পাথর দেখা যায়, সম্ভবত সেখানে কাঠের সিঁড়ি থাকতে পারে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Cœdès, George (১৯৬৮)। Walter F. Vella, সম্পাদক। The Indianized States of Southeast Asia। trans.Susan Brown Cowing। University of Hawaii Press। আইএসবিএন 978-0-8248-0368-1 
  2. The information board at the Sari Temple vicinity
  3. Soetarno, Drs. R. second edition (2002). Aneka Candi Kuno di Indonesia (Ancient Temples in Indonesia), pp. 41. Dahara Prize. Semarang. আইএসবিএন ৯৭৯-৫০১-০৯৮-০.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]