প্রবেশদ্বার:শ্রীলঙ্কা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্রবেশদ্বারএশিয়াদক্ষিণ এশিয়াশ্রীলঙ্কা

සාදරයෙන් පිළිගනිමු শ্রীলঙ্কা প্রবেশদ্বারে স্বাগতম

শ্রীলঙ্কা (ইউকে: /sri ˈlæŋkə, ʃr -/, ইউএস: /- ˈlɑːŋkə/ (শুনুন); সিংহলি: ශ්‍රී ලංකා (আধ্বব: [ʃriː laŋkaː]); তামিল: இலங்கை, প্রতিবর্ণী. Ilaṅkai (আইপিএ: [ilaŋɡaj])), যার সাবেক নাম সিলন এবং দাফতরিক নাম শ্রীলঙ্কা প্রজাতান্ত্রিক সমাজবাদী জনরাজ্য, হল দক্ষিণ এশিয়ার একটি দ্বীপরাষ্ট্র। এটি ভারত মহাসাগরে, বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমে ও আরব সাগরের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত; এটি মান্নার উপসাগরপক প্রণালী দ্বারা ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন। ভারত এবং মালদ্বীপের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার একটি সামুদ্রিক সীমান্ত রয়েছে। দেশটির বিধানিক রাজধানী শ্রী জয়বর্ধনপুর কোট্টে এবং বৃহত্তম শহর ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র কলম্বো

শ্রীলঙ্কার নথিভুক্ত ইতিহাস ৩,০০০ বছর পুরনো, যেখানে প্রাগৈতিহাসিক মানববসতির প্রমাণ রয়েছে যা কমপক্ষে ১২৫,০০০ বছর আগের। দেশটির একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। শ্রীলঙ্কার প্রাচীনতম পরিচিত বৌদ্ধ রচনাবলি, যা সম্মিলিতভাবে পালি ত্রিপিটক নামে পরিচিত, চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতির সময় রচিত, যা ২৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সংঘটিত হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার ভৌগোলিক অবস্থান ও গভীর পোতাশ্রয় প্রাচীন রেশম পথ বাণিজ্য গমনপথের আদিকাল থেকে আজকের তথাকথিত সামুদ্রিক রেশম পথ পর্যন্ত এটিকে দারুণ কৌশলগত গুরুত্ব প্রদান করেছে। এর অবস্থান এটিকে একটি প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত করেছিল, যার ফলে এটি ইতোমধ্যেই সুদূর প্রাচ্যেদেশীয় ও ইউরোপীয়দের কাছে অনুরাধাপুর যুগ থেকেই পরিচিত ছিল। দেশটির বিলাসদ্রব্য ও মশলার ব্যবসা বহু দেশের ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করেছিল, যা শ্রীলঙ্কার বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যা তৈরিতে সাহায্য করেছিল। সিংহল কোট্টে রাজ্যে একটি বড় রাজনৈতিক সংকটের সময় পর্তুগিজরা শ্রীলঙ্কায় (মুখ্যত দুর্ঘটনাক্রমে) এসে পৌঁছয় এবং তারপর দ্বীপের সামুদ্রিক অঞ্চল ও এর লাভজনক বাহ্যিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। শ্রীলঙ্কার কিছু অংশ পর্তুগিজদের দখলে চলে যায়। সিংহল-পর্তুগিজ যুদ্ধের পর ওলন্দাজক্যান্ডি রাজ্য সেই অঞ্চলগুলির নিয়ন্ত্রণ নেয়। ওলন্দাজ দখলিগুলো এরপর ব্রিটিশরা দখল করে নেয়, যারা পরবর্তীতে ১৮১৫ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত উপনিবেশায়নের মাধ্যমে পুরো দ্বীপের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করে। ২০শ শতাব্দীর প্রারম্ভে রাজনৈতিক স্বাধীনতার জন্য একটি জাতীয় আন্দোলন শুরু হয় এবং ১৯৪৮ সালে সিলন একটি অধিরাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৭২ সালে শ্রীলঙ্কা নামক প্রজাতন্ত্র অধিরাজ্যটিকে স্থলাভিষিক্ত করে। শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক ইতিহাস একটি ২৬ বছরের গৃহযুদ্ধের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যা ১৯৮৩ সালে শুরু হয়েছিল এবং ২০০৯ সালে চূড়ান্তভাবে শেষ হয়েছিল, যখন শ্রীলঙ্কা সশস্ত্র বাহিনীর কাছে লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ঈলম পরাজিত হয়েছিল। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

সূচীপত্র
নির্দিষ্ট বিষয় দেখতে লিঙ্কে ক্লিক করুন

চুক্তিপত্রের প্রথম (বাম) ও শেষ (ডান) পৃষ্ঠা।
ক্যান্ডির চুক্তি (সিংহলী: උඩරට ගිවිසුම উডারটা গিভিসুমা) হলো সেই চুক্তি যা ক্যান্ডির শেষ রাজা শ্রী বিক্রম রাজাসিংহকে ক্ষমতাচ্যুত করার উদ্দেশ্যে এবং রাজ্যের ভূখণ্ড ব্রিটিশ রাজমুকুটের নিকট সমর্পণের নিমিত্তে ১৮১৫ সালের ২রা মার্চ ব্রিটিশ গভর্নর স্যার রবার্ট ব্রাউনরিগ এবং ব্রিটিশ সিংহলের (বর্তমানে যা শ্রীলঙ্কা) প্রধানদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। স্বয়ং ব্রিটিশ উপনিবেশিক প্রশাসন কর্তৃক এই প্রধানদের নিয়োগ করা হয়েছিল যারা আবার ছিল ক্যান্ডি রাজ্যেরই অপেক্ষাকৃত কম ক্ষমতার রাজসভাসদ বা কর্মকর্তা। ক্যান্ডির রাজপ্রাসাদের মগুল মডুয়াতে (Royal Audience Hall) সাক্ষরিত এই চুক্তির মাধ্যমে ক্যান্ডি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধিভুক্ত হয়ে যায়। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
নির্বাচিত ভুক্তির তালিকা

শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার বেশ মজবুত আকার ধারণ করেছে। দেশটির মাথাপিছু বার্ষিক আয় $১১,০৬৮.৯৯৬ মার্কিন ডলার। দক্ষিণ এশিয়ার যে-কোন দেশের তুলনায় শীর্ষে অবস্থান করছে শ্রীলঙ্কা। তিন দশককালের গৃহযুদ্ধের অবসানের পর দেশটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ ও অবকাঠামোর উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ ঘটিয়েছে যা মাঝারি সারির দেশে পরিণত হয়েছে।

দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি পর্যটন, চা রফতানী, টেক্সটাইল, চাউল উৎপাদন ও অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য দ্রব্যাদি প্রস্তুত করা। পাশাপাশি বিদেশে জনশক্তি রফতানী করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে। তন্মধ্যে, কেবলমাত্র মধ্যপ্রাচ্যেই ৯০% শ্রীলঙ্কান বসবাস করছে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

নির্বাচিত জীবনী - নতুন ভুক্তি দেখুন

২০১৭ সালে ফেমিনা বিউটি অ্যাওয়ার্ডে জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ
জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ (সিংহলি: ජැකලීන් ෆර්නැන්ඩස්; জন্ম: ১১ আগস্ট, ১৯৮৫) শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূত বলিউড অভিনেত্রী। তিনি ২০০৬ সালে মিস ইউনিভার্স শ্রীলঙ্কা মুকুট বিজয়ী। মিস ইউনিভার্স শ্রীলঙ্কা হিসেবে তিনি ২০০৬ সালের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় তার দেশকে উপস্থাপন করেন। ২০০৯ সালে ভারতে এক মডেলিংয়ের কাজে এসে তিনি ফ্যান্টাসিধর্মী আলাদিন চলচ্চিত্রের জন্য অডিশন দেন। অডিশনে তিনি নির্বাচিত হন এবং এই ছবির মাধ্যমে তার বলিউডে অভিষেক হয়। ফার্নান্দেজের প্রথম সফল চলচ্চিত্র হল মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার মার্ডার ২ (২০১১)। পরবর্তীতে তিনি কমেডিধর্মী হাউজফুল ২ (২০১২) এবং অ্যাকশনধর্মী রেস ২ (২০১৩) ছবিতে অভিনয় করেন। ২০১৪ সালে তিনি কিক ছবিতে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন, যা বলিউডে সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রের একটি। ফার্নান্দেজ ব্রাদার্স চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য প্রশংসা লাভ করেন। ২০১৬ সালে তার অভিনীত সফল চলচ্চিত্রগুলো হল কমেডিধর্মী হাউজফুল ৩, অ্যাকশনধর্মী ডিশুম, ও সুপারহিরো থ্রিলার আ ফ্লাইং জাট। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

শ্রীলঙ্কার সংস্কৃতি - নতুন ভুক্তি দেখুন

আনুমানিক ৮ম শতকের একটি ব্রোঞ্জ নির্মিত বোধিসত্ত্ব মূর্তি যা নিউ ইয়র্কের মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্টে রাখা হয়েছে।
বর্তমান শ্রীলঙ্কার সর্বত্রই থেরবাদী বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব দেখা গেলেও প্রাচীনকালে এখানে বোধিসত্ত্ব মূর্তির উপাসনাকারী বা বোধিসত্ত্ব মূর্তির উপাসনার সমর্থক মহাযান বিশ্বাসরীতির বা মহাযান সম্প্রদায়েরও অস্তিত্ব ছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণগুলো থেকে দেখা যায় যে, অনুরাধাপুর যুগে শ্রীলঙ্কায় বোধিসত্ত্ব ধর্মাচার রীতি গৌতম বুদ্ধের উপাসনার তুলনায় অপেক্ষাকৃত নিম্নস্তরের ধর্মাচার রীতি হিসেবে প্রচলিত ছিল। শ্রীলঙ্কায় আজও যেসব বোধিসত্ত্ব মূর্তি টিকে রয়েছে সেগুলো থেকে এমনটাই অনুমান করা যায়। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
নির্বাচিত 'শ্রীলঙ্কার সংস্কৃতি' নিবন্ধের তালিকা
বাট্টিকালোয়া (তামিল: மட்டக்களப்பு,মট্টক্কলপ্পু; সিংহলি: මඩකලපුව, Maḍakalapuwa) হলো শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের একটি প্রধান শহর এবং এর প্রাক্তন রাজধানী। এটি বাট্টিকালোয়া জেলার প্রশাসনিক রাজধানী। শহরটি শ্রীলঙ্কার ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আসন এবং এটি একটি প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র। বাট্টিকালোয়া হচ্ছে একটি পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় নগর। এই নগরটির অধিবাসীরা তামিল জাতির এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বী। নগরটি বাণিজ্য এবং পর্যটনের জন্য বিখ্যাত। নগরটি ত্রিনকোমালি থেকে ১১১ কিলোমিটার দক্ষিণে একটি দ্বীপে অবস্থিত। পাসিকুদাহ একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এটি ৩৫ কিলোমিটার (২২ মা) উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। সেখানে সমুদ্র সৈকত এবং সমতল বছরব্যাপী উষ্ণ-পানির অগভীর-উপহ্রদ রয়েছে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

তীর্থ ও দর্শনীয় স্থান - নতুন ভুক্তি দেখুন

রাজপ্রাসাদ
পলোন্নারুয়া (সিংহলি: පොළොන්නරුව, Poḷonnaruwa বা Puḷattipura, তামিল: பொலன்னறுவை, Polaṉṉaṟuvai বা Puḷatti nakaram) শ্রীলঙ্কার উত্তর কেন্দ্রীয় প্রদেশের পলোন্নারুয়া জেলার প্রধান শহর। কাদুরুয়েলা এলাকা হল পলোন্নারুয়ার নতুন শহর এবং পলোন্নারুয়ার অন্য অংশ পলোন্নারুয়া রাজ্যের রাজকীয় প্রাচীন শহর হিসেবে রয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় প্রাচীনতম রাজ্য পলোন্নারুয়াকে প্রথম রাজধানী ঘোষণা করেছিলেন রাজা বিজায়াবাহু আই, যিনি ১০৭০ সালে চোল আগ্রাসকদের পরাজিত করেছিলেন এবং স্থানীয় নেতা হিসেবে দেশকে একত্র করেছিলেন।পলোন্নারুয়ার প্রাচীন শহর একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে রাষ্ট্রপতি মৈত্রীপাল সিরিসেনার অধীনে "পলোন্নারুয়া জাগরণ" নামে পরিচিত একটি প্রধান উন্নয়ন প্রকল্পে নতুন পলোন্নারুয়ার উন্নয়ন কাজ চলছে। এই প্রকল্পে পলোন্নারুয়ার সড়ক, বিদ্যুৎ, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশসহ সকল সেক্টরের উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে সকল সেক্টরের উন্নয়নে হবে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
নির্বাচিত তীর্থস্থানের তালিকা

নির্বাচিত রাজনীতিবিদ - নতুন ভুক্তি দেখুন

শ্রীলঙ্কাভিমান্য রানাসিংহে প্রেমাদাসা (সিংহলি: රණසිංහ ප්‍රේමදාස,তামিল: ரணசிங்க பிரேமதாசா; ২৩ জুন ১৯২৪ – ১ মে ১৯৯৩) ছিলেন ২ জানুয়ারি ১৯৮৯ থেকে ১ মে ১৯৯৩ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার তৃতীয় (দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী) রাষ্ট্রপতি। তিনি ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ সিলনের কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী শ্রীলঙ্কার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। তারপূর্বে জে. আর. জয়াবর্ধনে সরকারের অধীনে ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৮ থেকে ১ জানুয়ারি, ১৯৮৯ সময়কাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ১ মে, ১৯৯৩ তারিখে অনুষ্ঠিত মে দিবসের শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানে এলটিটিই কর্তৃক পরিচালিত আত্মঘাতি বোমা হামলায় তিনি নিহত হন। ১৯৮৬ সালে নির্মিত খেত্তারামা স্টেডিয়ামের উন্নয়নে অনন্য সাধারণ ভূমিকা রাখেন তিনি। মৃত্যু পরবর্তীকালে তার নামকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে এর বর্তমান নামকরণ করা হয় রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি (সিংহলি: ශ්‍රී ලංකා නිදහස් පක්ෂය Sri Lanka Nidahas Pakshaya, তামিল: இலங்கை சுதந்திரக் கட்சி) শ্রীলঙ্কার অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। ১৯৫১ সালে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী সলোমন বন্দরনায়েকে দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর থেকেই দলটি শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক অঙ্গনে দুইটি বৃহৎ শক্তির দলের একটিরূপে পরিচিত হয়ে আসছে। ১৯৫৬ সালে দলটি প্রথমবারের মতো ক্ষমতাসীন দলের মর্যাদা পায়। সরকারের আধিপত্যবাদী দলরূপে বেশ কয়েকবার দেশ পরিচালনায় অংশ নেয়। সচরাচর দলটি সাম্যবাদী বা অগ্রসরমান অর্থনৈতিক নীতি-নির্ধারণ করে ও জাতীয়তাবাদী সিংহলী দলগুলোর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

শ্রীলঙ্কার গৃহবিবাদ - নতুন ভুক্তি দেখুন

২০১২ সালের সরকারী হিসেব অনুযায়ী শ্রীলঙ্কাতে তামিল লোকদের বসতির মানচিত্র

শ্রীলঙ্কান তামিল (তামিল: இலங்கை தமிழர், প্রতিবর্ণী. ইলাঙ্গাই তামিলার) বলতে শ্রীলঙ্কার নিজস্ব তামিল জাতিকে বোঝানো হয়। শ্রীলঙ্কায় খ্রিষ্টপূর্ব ২য় শতাব্দী থেকেই তামিলরা বাস করে বলে কথিত আছে, এবং তামিলরাই নাকি শ্রীলঙ্কাতে প্রথম মানব-বসতি এবং সভ্যতা গড়ে তুলেছিলো। শ্রীলঙ্কার প্রায় সব তামিলই হিন্দু ধর্মাবলম্বী যেখানে সিংহল জাতিরা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। যুগ ধরে ধরে শ্রীলঙ্কায় তামিলরা মূলত দেশটির উত্তরাঞ্চলেই বাস করতো কিন্তু পরে পূর্বাঞ্চলে এবং মধ্যঞ্চলে বসতি বানায় কিন্তু ততোদিনে সিংহলী ভাষার মানুষরা শ্রীলঙ্কায় আধিপত্য বিস্তার করেছিলো, এটা খ্রিষ্টপরবর্তী ২০০ সালের দিকের কথা। পরবর্তী সময় ধরে সিংহলী রাজাদের সময়কাল থেকে ব্রিটিশ শাসন পর্যন্ত (যখন শ্রীলঙ্কার নাম ছিলো 'সিলন') তামিলরা সংখ্যালঘু ছিলো এবং ১৯৪৮ সাল থেকে শ্রীলঙ্কায় তামিলরা তাদের ন্যায্য অধিকার পাবার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে এসেছে। শ্রীলঙ্কাকে 'সিংহল' নামে ডাকতো সিংহলীরা আর তামিলরা বলতো 'ইলাঙ্গাই'।

২০১২ সালের এক সরকারী হিসেব অনুযায়ী শ্রীলঙ্কার ১১ শতাংশ মানুষ তামিল ছিলো। ১৯৮০-এর দশকে শ্রীলঙ্কায় তামিল জাতীয়তাবাদ দেখা দেয় যেটা উগ্র রূপ ধারণ করে এবং লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলম নামের একটি সংগঠন শ্রীলঙ্কা জুড়ে সন্ত্রাসী হামলা চালাতে থাকে, তবে ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা সশস্ত্র বাহিনীর কাছে সংগঠনটি পরাজিত হয়, সত্তরের দশক থেকে শ্রীলঙ্কার তামিলরা সিংহলীদের হাতে অত্যাচারিত হয়েছে, খুন হয়েছে, গণহত্যার শিকার হয়েছে যেটা ২০০০-এর দশক পর্যন্ত চলে এবং শ্রীলঙ্কার ১৯৪৮ সালের জন্ম থেকে (ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের সময় থেকে) সেই ২৫ শতাংশ তামিল লোকদের সংখ্যা কমতে কমতে ১১ শতাংশ হয়ে যায় ২০১২ সালে, রাষ্ট্রপতি মহিন্দ রাজাপক্ষ শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধতে ক্ষয়-ক্ষতির হিসেব দিতে গিয়ে সিংহলীদেরই বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেছিলেন। অন্যদিকে গৃহযুদ্ধ চলাকালে অনেক তামিল মানুষ উন্নত দেশসমূহ যেমন, জার্মানী, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর ইত্যাদ দেশে পাড়ি জমিয়েছিলো, আর একটি বড় অংশ ভারতে চলে যায়। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
২০২২ এশিয়া কাপ, পৃষ্ঠপোষকতাজনিত কারণে যেটি দুবাই পোর্ট ওয়ার্ল্ড এশিয়া কাপ নামেও পরিচিত, ছিল একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট যেটি পুরুষ এশিয়া কাপের পঞ্চদশ আসর হিসেবে ২০২২ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হয়। টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো টোয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক (টি২০আই) হিসেবে খেলা হয়। টুর্নামেন্টটি প্রথমে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে আয়োজিত হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালের জুলাই মাসে টুর্নামেন্টটি স্থগিত করা হয়। ২০২১ সালের জুন মাসে শ্রীলঙ্কায় টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেয়া হলেও পরবর্তীতে তা আবারও স্থগিত করা হয়। সে পর্যায়ে পাকিস্তানের ওপর টুর্নামেন্টটি আয়োজনের দায়িত্ব ছিল। কিন্তু ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ২০২২ সালের আসরের আয়োজক হিসেবে শ্রীলঙ্কার ও ২০২৩ সালের আসরের আয়োজক হিসেবে পাকিস্তানের নাম ঘোষণা করে। ভারত ছিল বিগত আসরের বিজয়ী দল। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
নির্বাচিত নিবন্ধের তালিকা

শ্রীলঙ্কার ক্রীড়াবিদ - নতুন ভুক্তি দেখুন

১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে অরবিন্দ ডি সিলভার (১০৭ রান)
পিন্নাদুয়াগে অরবিন্দ ডি সিলভা (সিংহলি: පින්නදුවගේ අරවින්ද ද සිල්වා; জন্ম: ১৭ অক্টোবর, ১৯৬৫) কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী শ্রীলঙ্কার সাবেক ও বিখ্যাত ক্রিকেট তারকা ও প্রশাসক। তাকে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাটসম্যানদের একজনরূপে গণ্য করা হয়। এছাড়াও, তিনি তার সময়কালে সর্বাধিক মার্জিত রূচিসম্পন্ন খেলোয়াড় ছিলেন। অদ্যাবধি বিশ্বকাপের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৩ উইকেট লাভ করেছেন অরবিন্দ ডি সিলভা। স্বল্পকালের জন্য জাতীয় নির্বাচক কমিটির প্রধান হিসেবে ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা দল থেকে পদত্যাগ করেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

শ্রীলঙ্কার ক্রীড়াস্থাপনা - নতুন ভুক্তি দেখুন

তামিল ইউনিয়ন ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাবের ক্রেস্ট
পাইকিয়াসোথি সারাভানামুত্তু স্টেডিয়াম, কলম্বো ওভাল বা পি. সারা বা শুধুই পিএসএস (সিংহলি: පාකියසොති සර්වනමූත්තු ක්‍රීඩාංගනය, তামিল: பாக்கியசோதி சரவணமுத்து மைதானம்) শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় অবস্থিত বহু-ব্যবহারের উপযোগী স্টেডিয়াম। বর্তমানে এখানে অধিকাংশ সময়ই ক্রিকেট খেলার জন্য ব্যবহার করা হয়। এর আসন সংখ্যা ১৫,০০০ এবং ১৯৮২ সালে প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৪৫ সালে কলম্বো ওভাল নামে এ স্টেডিয়ামটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে সাবেক সরকারী কর্মকর্তা ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রথম সভাপতি পাইকিয়াসোথি সারাভানামুত্তু’র নামানুসারে এ স্টেডিয়ামের পুণঃনামকরণ হয়েছে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
যোগসূত্র

নির্বাচিত চিত্র- নতুন চিত্র দেখুন

শ্রীলঙ্কা সম্পর্কিত বিভিন্ন নিবন্ধে ব্যবহৃত চিত্র

আপনি যা করতে পারেন

  • শ্রীলঙ্কা বিষয়ক নতুন নিবন্ধ তৈরি অথবা অন্য উইকিপ্রকল্প হতে অনুবাদ করতে পারেন।
  • বর্তমান নিবন্ধ অথবা শ্রীলঙ্কা বিষয়ক বিভিন্ন টেমপ্লেট হতে লাল লিঙ্ক থাকা বিষয় নিয়ে নতুন নিবন্ধ রচনা করতে পারেন।
  • বিদ্যমান নিবন্ধসমূহ তথ্য দিয়ে সমৃদ্ধ, সম্প্রসারণ, রচনাশৈলীর উন্নয়ন ও তথ্যছক না থাকলে যুক্ত করতে পারেন।
  • নিবন্ধগুলিতে উইকিমিডিয়া কমন্স হতে দরকারী ও প্রাসঙ্গিক মুক্ত চিত্র যুক্ত করতে পারেন।
  • শ্রীলঙ্কা সংক্রান্ত নিবন্ধসমূহে বিষয়শ্রেণী না থাকলে যুক্ত করতে পারেন।
  • নিবন্ধসমূহে তথ্যসূত্রের ঘাটতি থাকলে, পর্যাপ্ত সূত্র যোগ করতে পারেন।
  • শ্রীলঙ্কা সম্পর্কিত নিবন্ধসমূহের শেষে {{প্রবেশদ্বার দণ্ড|শ্রীলঙ্কা}} যুক্ত করতে পারেন।

অন্যান্য ভাষায়

উইকিপিডিয়ার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ভাষায় শ্রীলঙ্কা প্রবেশদ্বার
সিংহলি - তামিল - ইংরেজি

অন্যান্য প্রবেশদ্বার

বিষয়শ্রেণীসমূহ

বিষয়শ্রেণী ধাঁধা
বিষয়শ্রেণী ধাঁধা
উপবিষয়শ্রেণী দেখার জন্য [►] ক্লিক করুন

উইকিমিডিয়া


উইকিসংবাদে শ্রীলঙ্কা
উন্মুক্ত সংবাদ উৎস


উইকিউক্তিতে শ্রীলঙ্কা
উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন


উইকিসংকলনে শ্রীলঙ্কা
উন্মুক্ত পাঠাগার


উইকিবইয়ে শ্রীলঙ্কা
উন্মুক্ত পাঠ্যপুস্তক ও ম্যানুয়াল


উইকিবিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রীলঙ্কা
উন্মুক্ত শিক্ষা মাধ্যম


উইকিমিডিয়া কমন্সে শ্রীলঙ্কা
মুক্ত মিডিয়া ভাণ্ডার


উইকিঅভিধানে শ্রীলঙ্কা
অভিধান ও সমার্থশব্দকোষ


উইকিউপাত্তে শ্রীলঙ্কা
উন্মুক্ত জ্ঞানভান্ডার


উইকিভ্রমণে শ্রীলঙ্কা
উন্মুক্ত ভ্রমণ নির্দেশিকা

সার্ভার ক্যাশ খালি করুন