টাইমস অব ওমান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
টাইমস অব ওমান
Times of Oman
ধরনদৈনিক
ফরম্যাটব্রডশীট পত্রিকা
মালিকমাস্কট মিডিয়া গ্রুপ
প্রতিষ্ঠাতাএসা বিন মোহাম্মাদ আল জিদজালি
প্রকাশকমাস্কট মিডিয়া গ্রুপ
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৭৫ ফেব্রুয়ারি [১]
ভাষাইংরেজি
সদর দপ্তররুবী, মাস্কত, ওমান
প্রচলন১৯৫,০০০ (২০১৪)[১]
সহোদর সংবাদপত্রআল শাবিবা
ওয়েবসাইটtimesofoman.com

টাইমস অব ওমান হচ্ছে ওমানের সুলতানাত থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিক সংবাদপত্র। পত্রিকাটি অন্যতম একটি নেতৃস্থানীয় প্রকাশনা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এটি ওমানের সবথেকে প্রাচীনতম ইংরেজি-ভাষা বিষয়ক দৈনিক পত্রিকাগুলির মধ্যে একটি। স্থানীয় দৈনিক সংবাদ ছাড়াও পত্রিকাটি আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক, ব্যবসা ও খেলাধুলা বিষয়ক, বিনোদনমূলক, ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষামূলক অর্থ্যাৎ লেখাপড়া বিষয়ক তথ্য পরিবেশন করে থাকে।[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৭৫ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল এবং প্রাথমিকভাবে এটি একটি সাপ্তাহিক ট্যাবলয়েড পত্রিকা হিসাবে চালু করা হয়েছিল। পাকিস্তানি সাংবাদিক রানা এন পারভেজের হাত ধরেই পত্রিকাটি প্রাথমিক যাত্রা শুরু করে। এটি মাস্কত মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক প্রকাশিত হয়ে থাকে যেখানে আল শাবিবা, হাই উইকলি এবং সাব্বাৎ আয়ামের মত জনপ্রিয় পত্রিকাসমূহ প্রকাশনা করে থাকে। ওমানকে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করা হল পত্রিকাটির প্রকাশের প্রধান লক্ষ্য এবং ওমানে বসবাসরত বিদেশীদের জন্যও বটে।[২] এভাবে বিশ্লেষণ করা হয় যে, ভারতীয় উপমহাদেশে সংবাদপত্রগুলি আরো বেশি গুরুত্ব পায় যেখানে ওমানের প্রবাসীদের অধিকাংশই সেই অঞ্চলে বসবাস করে থাকে।[৩] এরপর অবশেষে ১৯৯১ সালে নিয়মিতভাবে দৈনিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হয়। ২০১৩ সালের একটি পাঠক জরিপে বলা হয় যে, টাইমস অব ওমান হচ্ছে ওমানের ইংরেজি দৈনিকগুলির মধ্যে ৫.৪% পঠিত যেখানে ওমান ট্রিবিউন এর সমর্থনোগ্য পাঠক ছিল ২.৭%। সাম্প্রতিকতম পত্রিকাগুলির মধ্যে চালু হওয়া দৈনিক মাস্কট এবং দৈনিক ওমান অবজার্ভার ছিল সর্বশেষ প্রকাশিত। [২]

মালিকানা[সম্পাদনা]

১৯৭৫ সালে ইসা বিন মোহাম্মাদ আল জিদজালী কর্তৃক ওমানের সুলতানাতে মশকাত মিডিয়া গ্রুপের মাধ্যমে পত্রিকাটি প্রতিষ্ঠিত করা হয়। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানটি সাপ্তাহিক পত্রিকা এবং মাসিক পত্রিকার পাশাপাশি আরবি এবং ইংরেজি উভয় ভাষার পত্রিকার দৈনিকসহ বিভিন্ন ধরনের প্রকাশনা প্রকাশ করে থাকে। ১৯৩৩ সালে টাইমস অব ওমান ছাড়াও আরবি ভাষা পত্রিকা আল শাবাবা মস্করাট প্রেস অ্যান্ড পাবলিশিং হাউস কর্তৃক চালু করা হয়।[২] ২০০৪ সালে দৈনিক টাইমস অব ওমান ও আল শাবিবার অনলাইন সংস্করণের জন্য মস্কট মিডিয়া গ্রুপ হাউজ জিসিসি দেশগুলিতে প্রথম শেনীর পত্রিকা হওয়া মর্যাদা লাভ করে।[২] ২০০৮ সালে পত্রিকাটির মোবাইলের ওয়াপ সংস্করণ বের করা হয়।

প্রচারণা[সম্পাদনা]

সংবাদপত্র[সম্পাদনা]

পত্রিকাটি শনিবার থেকে বৃহস্পতি পর্যন্ত সপ্তাহে মোট ছয় দিন প্রকাশিত হয়ে থাকে। এছাড়াও ওয়েবসাইট প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় হালনাগাদ করা হয়। সংবাদপত্রটি তিনটি বিভাগ নিয়ে গঠন করা হয়েছে। প্রথম বিভাগে মূলত স্থানীয় সংবাদপত্র, আঞ্চলিক সংবাদপত্র, ভারত ও পাকিস্তান সম্পর্কে সংবাদপত্র এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের খবরাখবর প্রকাশ করে থাকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিকদের মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গির নিয়ে আলাদা একটি ভাষ্য বিভাগ রয়েছে।

পুরস্কার এবং স্বীকৃতি[সম্পাদনা]

  • টাইমস অব ওমানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক এসা বিন মোহাম্মদ আল জেডজালীকে ২০১৩ সালের ১৭ এপ্রিল তারিখে কাউন্সিল অব গল্‌ফ ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন (কোগির) কর্তৃক মরণোত্তর পুরস্কার "প্রেস অব প্রেস পুরস্কার" প্রদান করা হয়।[৪]
  • timesofoman.com ২০০৬ সালে ওমান ওয়েব অ্যাওয়ার্ডস স্বর্ণ পুরস্কার লাভ করে[৫] এবং ২০০৭ সালে প্যান আরব ওয়েব অ্যাওয়ার্ডস এর ব্রোঞ্জ পুরস্কার লাভ করে।[৬]
  • মাস্কত মিডিয়া গ্রুপ ওমানের প্রথম মিডিয়া কোম্পানি এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের দ্বিতীয় যেটি আইএসএ ৯০০১: ২০০৮ সনদপ্রাপ্ত।[৭]
  • ওমান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বার্ষিক পুরস্কার অনুষ্ঠানে শীর্ষ দুটি পুরস্কার জিতে নেয় টাইমস অব ওমান (২০১৪)।
  • টাইমস অব ওমান এবং এটির সহদর প্রকাশনা ৫০৯ আন্তর্জাতিক ক্রিয়েটিভ পুরস্কার জিতে যার ফলে মাস্কত মিডিয়া গ্রুপ মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকান অঞ্চলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গণমাধ্যম হিসেবে মর্যাদা লাভ করে।[৮] টাইমস অব ওমান প্রথম মধ্য প্রাচ্যের সংবাদপত্র হিসেবে খ্যাতিমান সোসাইটি অব নিউজ ডিজাইন (এসএনডি) বার্ষিক প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক লাভ করে ইতিহাস সৃস্টি করে এবং এছাড়াও মেলোফিজ ইনফোগ্রাফিক পুরস্কার যেটি তথ্য গ্রাফিক্স পুলিখর পুরস্কার হিসাবে বিবেচিত। এসডিডি এর ৩৫তম সংস্করনে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় টাইমস অব ওমান প্রথম স্থান দখল করে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আমেরিকার বাইরে পুরস্কার পাওয়া সংবাদপত্র হিসেবে কীর্তি লাভ করে।[৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Oman" (পিডিএফ)। Publicitas। ২ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ৮, ২০১২ 
  2. "textual.info - This website is for sale! - textual Resources and Information."journals.textual.info। ১৭ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৭ 
  3. "Census 2010 - Ministry of National Economy"। ৬ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৭ 
  4. "Times of Oman | News :: Muscat Media Group CEO receives media award on behalf of late Essa Al Zedjali"। ২১ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৭ 
  5. "DAIJIWORLD"www.daijiworld.com। ১১ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৭ 
  6. "Pan Arab Web Awards"www.panarabwebawards.org। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৭ 
  7. "MPPH Awarded ISO 9001:2008"। ৬ মে ২০১৩। ২৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৭ 
  8. "Second gold medal: Times of Oman's Ramadan tiled poster"। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২। ৭ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৭ 
  9. "Tallying winners at SND35: The unofficial results"। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। ৭ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৭