শান্তিরঞ্জন সোম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

শান্তিরঞ্জন সোম (১৯০৬ - ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮০) ছিলেন একজন বাঙালি ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনকারী বিপ্লবী। তিনি ব্রিটিশ ভারতে ঢাকা বিভাগের মুন্সীগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল যোগেন্দ্রনাথ সোম।[১]

বিপ্লবী কর্মকাণ্ড[সম্পাদনা]

শান্তিরঞ্জন ছাত্রাবস্থাতে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে যুক্ত হন। ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে সরকারী স্কুলের পড়া ছেড়ে জাতীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি দেন। বেআইনি বিজ্ঞপ্তি বিলি করার জন্যে গ্রেপ্তার হন তিনি। ১৯২২ সালে মুক্তি পেয়ে অভয় আশ্রমের কর্মী রূপে কাজ করতে থাকেন। ১৯২৯ সালে জীবনলাল চট্টোপাধ্যায়ের বিপ্লবী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হন ও সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। বিভিন্ন বিপ্লববাদী সংগঠনের সাথে তার যোগ ছিল। ১৯৩১ সালে ঢাকা জেলার ম্যাজিস্ট্রেট ডুর্নোকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। হিজলী জেলে থাকার সময় সাম্যবাদী মতাদর্শে আকৃষ্ট হন ও কমিউনিস্ট কনসলিডেশন এ যোগ দেন। ১৯৩৭ সালে মুক্তি পেয়ে কমিউনিস্ট আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকেন ১৯৪১ সাল পর্যন্ত। এসময় তিনি পূনরায় কারাবাসও করেন। দেশ বিভাগের পর গ্রেপ্তারি এড়াতে তিনি কলকাতা চলে যান।[১]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

শান্তিরঞ্জন সোম কলকাতায় ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮০ সালে মারা যান।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. প্রমথ খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৫২০। আইএসবিএন 81-85626-65-0