আরিফ খান জয়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আরিফ খান
যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ – ৭ জানুয়ারি ২০১৯
পূর্বসূরীমন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা
উত্তরসূরীখালি
নেত্রকোণা-২ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
২৯ জানুয়ারি ২০১৪ – ২৯ অক্টোবর ২০১৮
পূর্বসূরীআশরাফ আলী খান খসরু
উত্তরসূরীআশরাফ আলী খান খসরু
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মআরিফ খান জয়
(1971-11-20) ২০ নভেম্বর ১৯৭১ (বয়স ৫২)
বাংলাদেশ

ফুটবল খেলোয়াড়ি জীবন
উচ্চতা ১.৭৮ মিটার (৫ ফুট ১০ ইঞ্চি)
মাঠে অবস্থান মধ্যমাঠের খেলোয়াড়
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
১৯৯৪ ঢাকা ক্লাব
১৯৯৫ ঢাকা আবাহনী
১৯৯৬ ঢাকা মোহামেডান
২০০০ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ
২০০১–২০০২ ঢাকা মোহামেডান
২০০৩–২০১০ ঢাকা আবাহনী
জাতীয় দল
২০০৩–২০০৬ বাংলাদেশ ১৯ (১)
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

আরিফ খান জয় (জন্ম: ২০ নভেম্বর ১৯৭১; আরিফ খান নামে সুপরিচিত) হলেন একজন বাংলাদেশী সাবেক পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় এবং রাজনীতিবিদ।[১][২] জয় তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় ঢাকা আবাহনী এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে একজন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। তিনি মূলত একজন কেন্দ্রীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। তিনি ২০১৪ সাল হতে ২০১৮ পর্যন্ত বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৯৪ সালে মৌসুমে, বাংলাদেশী ক্লাব ঢাকা ক্লাবের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছিলেন, যেখানে তিনি মাত্র ১ মৌসুম অতিবাহিত করেছিলেন। অতঃপর ১৯৯৫ সালে তিনি ঢাকা আবাহনীতে যোগদান করেছিলেন, টেমপ্লেটক্লাবের হয়ে তিনি ১টি লিগ শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন। ঢাকা আবাহনীতে ১ মৌসুম অতিবাহিত করার পর ঢাকা মোহামেডানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। পরবর্তীকালে, তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং ঢাকা মোহামেডানের হয়ে খেলেছিলেন। সর্বশেষ ২০০৩–০৪ মৌসুমে, তিনি ঢাকা মোহামেডান হতে ঢাকা আবাহনীতে যোগদান করেছিলেন; ঢাকা আবাহনীর হয়ে ৭ মৌসুম খেলার পর তিনি অবসর গ্রহণ করেছিলেন।

২০০৩ সালে তিনি বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন; বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তিনি সর্বমোট ১৯ ম্যাচে ১টি গোল করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের হয়ে সর্বমোট ২টি এএফসি এশিয়ান কাপে (২০০৪ এবং ২০০৭) অংশগ্রহণ করেছিলেন।

দলগতভাবে, জয় সর্বমোট ৭টি শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন, যার মধ্যে ৪টি ঢাকা আবাহনীর হয়ে এবং ৩টি ঢাকা মোহামেডানের হয়ে জয়লাভ করেছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

আরিফ খান জয় ১৯৭১ সালের ২০শে নভেম্বর তারিখে নেত্রকোনা জেলা শহরের রাজুর বাজারেজন্মগ্রহণ করেছেন।

আন্তর্জাতিক ফুটবল[সম্পাদনা]

২০০৩ সালের ১১ই জানুয়ারি তারিখে, ৩১ বছর ১ মাস ২৩ দিন বয়সে, জয় নেপালের বিরুদ্ধে ২০০৩ সাফ গোল্ড কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক করেছিলেন। তিনি উক্ত ম্যাচের মূল একাদশে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ম্যাচটি বাংলাদেশ ১–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল। বাংলাদেশের হয়ে অভিষেকের বছরে জয় সর্বমোট ৭ ম্যাচে ১টি গোল করেছিলেন। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের ২ দিন পর, বাংলাদেশের জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি করেছিলেন; ১৩ই জানুয়ারি তারিখে, মালদ্বীপের বিরুদ্ধে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার একমাত্র গোলটি করেছিলেন। ২০০৫–২০০৬ সালের দিকে জয় বাংলাদেশের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৩]

২০০৬ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর তারিখে জয় ৩৪ বছর বয়সে বাংলাদেশের তার সর্বশেষ ম্যাচটি খেলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। কাতারের দোহার শেখ জাসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত কাতারের বিরুদ্ধে উক্ত ম্যাচে বাংলাদেশ ৩–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল, ম্যাচটিতে তিনি ৬০ মিনিট খেলেছিলেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে, তার প্রায় ৩ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি সর্বমোট ১৯ ম্যাচে ১টি গোল করেছিলেন।

রাজনীতি[সম্পাদনা]

জয় ২০১৪ সালে নেত্রকোণা-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৪] তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লিগের দলের একজন সদস্য।[৪] একজন সাবেক পেশাদার ফুটবলার এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করা জয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হন। যিনি প্রথম প্রাক্তন পেশাদার ক্রীড়াবিদ হিসেবে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।[৫]

বিতর্ক[সম্পাদনা]

২০১৫ সালে জয়ের বিরুদ্ধে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছিল।[৬] তার বিরুদ্ধে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাকে আক্রমণ করার অভিযোগ আনা হয়েছিল, যিনি পরবর্তীতে ২০১৬ সালে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।[৭]

পরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

আন্তর্জাতিক[সম্পাদনা]

দল সাল ম্যাচ গোল
বাংলাদেশ ২০০৩
২০০৫
২০০৬
সর্বমোট ১৯

আন্তর্জাতিক গোল[সম্পাদনা]

গোল তারিখ মাঠ প্রতিপক্ষ স্কোর ফলাফল প্রতিযোগিতা সূত্র
১৩ জানুয়ারি ২০০৩ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা, বাংলাদেশ  মালদ্বীপ –০ ১–০ ২০০৩ সাফ গোল্ড কাপ

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Constituency 158_10th_En"Bangladesh Parliament। ২০২০-১০-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৮ 
  2. "Officials complain to prime minister against Deputy Minister Joy's act of vandalism"www.thefinancetoday.net। The Finance Today। ২৯ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৫ 
  3. "Joy Sports' first player minister"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০১-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৮ 
  4. "Arif Khan Joy"Dhaka Tribune। Elections 2014। ২৯ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৪ 
  5. "BFF congratulate Joy on becoming a minister"। Bangladesh Football Federation। ২৭ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৪ 
  6. "Deputy Minister for Sports Arif Khan Joy vandalises joint secretary's room"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৫-০৩ 
  7. "Minister Joy 'beats up' police sub-inspector, complaint filed"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৫-০৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]