আ ক্ল্যাশ অব কিংস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আ ক্ল্যাশ অব কিংস
যুক্তরাষ্ট্র হার্ডব্যাক সংস্করণ
লেখকজর্জ আর. আর. মার্টিন
অডিও পাঠকরয় ডট্রিস
মূল শিরোনামA Clash of Kings
প্রচ্ছদ শিল্পীস্টিভ ইউল
দেশমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ভাষাইংরেজি
ধারাবাহিকআ সং অব আইস অ্যান্ড ফায়ার
ধরনকাল্পনিক
প্রকাশিতনভেম্বর ১৯৯৮ (ভয়েজার বুকস/যুক্তরাজ্য)
মার্চ ১৯৯৯ (ব্যান্টাম স্প্রেক্টা/যুক্তরাষ্ট্র)
পৃষ্ঠাসংখ্যা৭৬৮
পুরস্কারলোকাস পুরস্কার (১৯৯৯)
আইএসবিএন০-০০-২২৪৫৮৫-X (যুক্তরাজ্য হার্ডব্যাক)
আইএসবিএন ০-৫৫৩-১০৮০৩-৪ (যুক্তরাষ্ট্র হার্ডব্যাক)
ওসিএলসি৫৯৬৬৭৩৮১
813/.54
এলসি শ্রেণীPS3563.A7239 C58 1999
পূর্ববর্তী বই'আ গেম অব থ্রোনস 
পরবর্তী বই'আ স্টর্ম অব সোর্ডস 

আ ক্ল্যাশ অব কিংস (ইংরেজি: A Clash of Kings; বাংলা অনুবাদ: রাজাদের সংঘর্ষ) হল জর্জ আর. আর. মার্টিন রচিত মহাকাব্যিক ফ্যান্টাসি আ সং অব আইস অ্যান্ড ফায়ার উপন্যাস ধারাবাহিকের দ্বিতীয় খণ্ড। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ সালের ১৬ নভেম্বর যুক্তরাজ্যে এবং পরে ১৯৯৯ সালে মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হয়। পূর্ববর্তী খণ্ড আ গেম অব থ্রোনস বইটির মত এই বইটিও ১৯৯৯ সালে শ্রেষ্ঠ কাল্পনিক উপন্যাসের জন্য লোকাস পুরস্কার জয় করে এবং শ্রেষ্ঠ উপন্যাসের জন্য নেবুলা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে। ২০০৫ সালের মে মাসে মেইশা মার্লিন জন হাউয়ির চিত্রাঙ্কনসহ বইটির একটি সীমিত সংস্করণ প্রকাশ করে।

উপন্যাসটি অবলম্বনে মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এইচবিও তাদের টেলিভিশন ধারাবাহিক গেম অব থ্রোনস এর ২য় মৌসুম নির্মাণ করে।

গল্প সংক্ষেপ[সম্পাদনা]

আ ক্ল্যাশ অব কিংস বইয়ে ওয়েস্টেরসের সাত রাজ্যের মধ্যে সংগঠিত গৃহযুদ্ধ শুরুর আভাস দেওয়া হয় এবং নাইট্‌স ওয়াচ প্রাচীরের ওপারে ওয়াইল্ডলিংস নামক রহস্যময় মানুষদের পর্যবেক্ষণে বের হয়। অন্যদিকে ডিনেরিস টার্গেরিয়ান সাত রাজ্য জয়ের পরিকল্পনা চালিয়ে যায়।

সাত রাজ্যে[সম্পাদনা]

রাজা রবার্ট ব্যারাথিয়নের মৃত্যুর পর তার অবৈধ সন্তান জফ্রি এবং রাজার দুই ভাই রেনলিস্ট্যানিস ব্যারাথিয়ন ওয়েস্টেরসের সিংহাসনের দাবী করে। রব স্টার্ক নিজেকে 'উত্তরের রাজা' বলে ঘোষণা দেয় এবং ব্যালন গ্রেজয় নিজেকে আয়রন আইল্যান্ডের রাজা ঘোষণা করে উত্তরের পশ্চিম উপকূলে আক্রমণ চালায়। রবের ছোট ভাই ব্রান স্টার্ক জোজেন এবং মিরা রিড নামে দুই বন্ধু খোঁজে পায়।

প্রাচীরে[সম্পাদনা]

নাইট্‌স ওয়াচের একটি দল জানতে পারে যে ওয়াল্ডলিংসরা প্রাচীরের বাইরে মান্স রাইডারের অধীনে একত্রিত হচ্ছে। ওয়াচের সদস্যরা ফিস্ট অব দ্য ফার্স্ট মেন নামক প্রাচীন পর্বত-চূড়া দুর্গ পর্যন্ত অগ্রসর হয়। জেওর মোরমন্ট জন স্নো ও খোরিন হাফহ্যান্ডকে অন্যদের সাথে স্কিরলিং গিরিপথ দিয়ে অতিক্রম করতে আদেশ দেয়। সেখানে ওয়াইল্ডলিং যোদ্ধারা তাদের আক্রমণ করে। পরাজয় নিশ্চিত জেনে হাফহ্যান্ড স্নোকে আদেশ দেয় ওয়াইল্ডলিংদের সাথে অনুপ্রবেশ করে তাদের পরিকল্পনা জেনে নিতে। ওয়াইল্ডলিংরা তাদের বন্দী করে এবং জনকে তাদের দলে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে খোরিনকে মারার দাবী করে। জন তার নেকড়ে ঘোস্টের সাহায্যে খোরিনকে হত্যা করে এবং সে জানতে পারে মান্স রাইডার ত্রিশ হাজার ওয়াইল্ডলিং, দানব ও অতিকায় হস্তী নিয়ে প্রাচীরের দিকে রওয়ানা হচ্ছে।

সরু সাগরের পাড়ে[সম্পাদনা]

ডিনেরিস টার্গেরিয়ান নাইট জোরাহ মোরমন্ট, তার কিছু অনুসারী ও তিনটি নতুন জন্ম নেওয়া ড্রাগনকে নিয়ে পূর্বে রওয়ানা হন। সে তার দলবল নিয়ে একটি সুরক্ষিত পথ ধরে কার্থ শহরে চলে যায়, যেখানে তার ড্রাগনগুলোর কারণে সে কুখ্যাত হয়ে ওঠে। কার্থ শহরের বাণিজ্য দলের সর্দার জারো জোহান দাক্সোস তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করলেও ডিনেরিস ওয়েস্টেরসে তার সিংহাসন দখলে তাদের সাহায্য পাবে না এমন ধারণা করে, কারণ সে তার একটি ড্রাগন চায়। সর্বশেষে ডিনেরিস কার্থ শহরের ওয়ারলকের পরামর্শ চাইলে সে তাকে কিছু দ্ব্যর্থ বিষয় দেখায় এবং তার জীবনের হুমকি দিলে ডিনেরিসের ড্রাগন ড্রোগন তাকে পুড়িয়ে ফেলে।

চরিত্রাবলী[সম্পাদনা]

  • ভূমিকা: মাস্টার ক্রেসেন, ড্রাগনস্টোনের পণ্ডিত
  • টিরিয়ন ল্যানিস্টার, লর্ড টাইউইন ল্যানিস্টারের ছোট পুত্র। রাণী সার্সির ছোট ভাই এবং রাজার প্রতিনিধি।
  • লেডি ক্যাটলিন স্টার্ক, এডার্ড স্টার্কের বিধবা স্ত্রী এবং উইন্টারফেলের প্রধান।
  • স্যার ডেভস সিওর্থ, একজন চোরাকারবারি যে রাজা স্ট্যানিস ব্যারাথিয়নের নাইট উপাধি লাভ করেন, তাকে প্রায়শই অনিয়ন নাইট বলে ডাকা হয়।
  • সানসা স্টার্ক, এডার্ড স্টার্ক ও ক্যাটলিন স্টার্কের জ্যেষ্ঠ কন্যা, তাকে রাণী সার্সি কিংস ল্যান্ডিংয়ে বন্দী করে রাখে।
  • আরিয়া স্টার্ক, এডার্ড স্টার্ক ও ক্যাটলিন স্টার্কের ছোট কন্যা, হারিয়ে যায় এবং ধারণা করা হয় সে মারা গেছে।
  • ব্রান স্টার্ক, এডার্ড স্টার্ক ও ক্যাটলিন স্টার্কের দ্বিতীয় পুত্র, উইন্টারফেলের উত্তরাধিকারী ও উত্তরের রাজা।
  • জন স্নো, এডার্ড স্টার্কের অবৈধ সন্তান এবং নাইট্‌স ওয়াচের একজন।
  • থিয়ন গ্রেজয়, সিস্টোন সিংহাসনের উত্তরাধিকারী এবং লর্ড এডার্ড স্টার্কের রক্ষী।
  • রাণী ডিনেরিস টার্গেরিয়ান, অদগ্ধ ও ডাগ্রনদের মাতা, টার্গেরিয়ান রাজবংশের উত্তরাধিকারী।

সংস্করণ[সম্পাদনা]

বিদেশি ভাষার সংস্করণ
  • বুলগেরীয়: Бард :"Сблъсък на Крале"
  • কাতালান: আলফাগুয়ারা: "Xoc de reis" ("রাজাদের সংঘর্ষ")
  • ক্রোয়েশীয়: আলগোরিটাম: "Sraz kraljeva"
  • চীনা: "列王的纷争", 重庆出版社(২০০৬) ("রাজাদের দ্বন্দ্ব").
  • চেক: তালপ্রেস: "Střet králů" ("রাজাদের সংঘর্ষ")
  • ডেনীয়: ইল্ডেনডাল:"Kongernes Kamp" ("রাজাদের যুদ্ধ")
  • ওলন্দাজ: এক খণ্ড, লুইথিং ফ্যান্টাসি (১৯৯৯): হার্ডকভার: De Strijd der Koningen ("রাজাদের সংঘর্ষ")
  • এস্তোনীয়: দুই খণ্ড, হার্ডকভার: ভাররাক (২০০৮, ২০০৯), "Kuningate heitlus I & II" ("রাজাদের সংঘর্ষ")
  • ফিনীয়: কিরজাভা: "Kuninkaiden koitos"
  • ফরাসি: তিন খণ্ড (হার্ডকভার: পিগমেলিয়ন (২০০০); পেপারব্যাক: J'ai Lu (২০০২)): "La bataille des rois", "L'ombre maléfique", "L'invincible forteresse" ("রাজাদের যুদ্ধ", "দুরাত্মার ছায়া", "অপরাজেয় দুর্গ").
  • জার্মান: একক খণ্ড, ফ্যান্টাসি প্রডাকশন্স (২০০৪): "Königsfehde" ("রাজার উত্তরাধিকারী")। দুই খণ্ড, Blanvalet (২০০০): "Der Thron der Sieben Königreiche", "Die Saat des goldenen Löwen" ("সাত রাজ্যের সিংহাসন", "সোনালি সিংহের বীজ").
  • জর্জীয়: পেপারব্যাক, আরেতে (২০১৪): "მეფეთა ჯახი" I/II ("রাজাদের সংঘর্ষ" ১/২)
  • গ্রিক: এনুবিস: "Σύγκρουση Βασιλέων" ("রাজাদের সংঘর্ষ")
  • হিব্রু: "I/II עימות המלכים" ("রাজাদের সংঘর্ষ")
  • হাঙ্গেরীয়: Alexandra Könyvkiadó : "Királyok csatája" ("রাজাদের যুদ্ধ")
  • আইসল্যান্ডীয়: ইউজিএল: "Konungar kljást" ("রাজাদের লড়াই")
  • ইতালীয়: দুই খণ্ড, Arnoldo Mondadori Editore (২০০১, ২০০২): "Il regno dei lupi", "La regina dei draghi" ("নেকড়ের রাজ্য", "ড্রাগনের রাণী").
  • জাপানি: দুই খণ্ড, হার্ডকভার: Hayakawa (২০০৪), পেপারব্যাক: Hayakawa (২০০৭): "王狼たちの戦旗" ("Banner of the Wolf Kings")
  • কোরীয়: ইউন হায়েং নামু পাবলিশিং কো.: "왕들의 전쟁" ("রাজাদের যুদ্ধ")
  • লাটভীয়: হোয়াইটবুক: "Karaļu cīņa" ("রাজাদের যুদ্ধ")
  • লিথুয়ানীয়: আলমা লিটেরা: "Karalių kova" ("রাজাদের যুদ্ধ")
  • নরওয়েজীয়: দুই খণ্ড (২০১২) 'Bok II Del I: Kongenes kamp' (বই ২ খণ্ড ১: রাজাদের যুদ্ধ) এবং 'Bok II Del II: Dragenes dronning' (বই দুই খণ্ড ২: ড্রাগনের রাণী)
  • পোলীয়: Zysk i s-ka: "Starcie królów"
  • ব্রাজিলীয় পর্তুগিজ: লেয়া: "A Fúria dos Reis" ("রাজাদের ক্রোধ")
  • ইউরোপীয় পর্তুগিজ: দুই খণ্ড, Saída de Emergência : "A Fúria dos Reis", "O Despertar da Magia"
  • রোমানীয়: নেমিরা: "Încleștarea regilor"
  • রুশ: একক খণ্ড, এএসটি (২০০৪, ২০০৫, ২০০৬): "Битва королей" ("রাজাদের যুদ্ধ")। দুই খণ্ড, এএসটি (২০০০): "Битва королей. Книга 1", "Битва королей. Книга 2" ("রাজাদের যুদ্ধ: বই ১", "রাজাদের যুদ্ধ: বই ২).
  • সার্বীয়: Лагуна : "Судар краљева"
  • স্লোভেনীয়: "Spopad kraljev" ("রাজাদের সংঘর্ষ")
  • স্পেনীয়: গিগামেস (২০০৩): "Choque de reyes" ("রাজাদের সংঘর্ষ").
  • সুইডীয়: Forum bokförlag :"Kungarnas krig" ("রাজাদের যুদ্ধ")
  • তুর্কি: দুই খণ্ড, Epsilon Yayınevi: "Buz ve Ateşin Şarkısı II: Kralların Çarpışması - Kısım I & Kralların Çarpışması - Kısım II" ("রাজাদের সংঘর্ষ")
  • ইউক্রেনীয়: এক খণ্ড, কেএম পাবলিশিং (২০১৪): "Битва Королів" ("রাজাদের সংঘর্ষ")
  • ভিয়েতনামীয়: দুই খণ্ড: "Trò Chơi Vương Quyền 2A: Hậu Duệ Của Sư Tử Vàng", "Trò Chơi Vương Quyền 2B: Bảy Phụ Quốc". ("সিংহাসনের খেলা ২এ: সোনালি সিংহের উত্তরসূরি", "সিংহাসনের খেলা ২বি: সাত রাজ্য")

টেলিভিশনে উপযোগকরণ[সম্পাদনা]

আ সং অব আইস অ্যান্ড ফায়ার উপন্যাস ধারাবাহিকের প্রথম খণ্ডের সফলতার পরে আ ক্ল্যাশ অব কিংস অবলম্বনে এইচবিওর টেলিভিশন ধারাবাহিক গেম অব থ্রোনসের ২য় মৌসুম নির্মাণ করা হয়।[১] ধারাবাহিকটির চিত্রায়ন শুরু হয় ২০১১ সালে জুলাইয়ে, এবং গেম অব থ্রোনস ২য় মৌসুমের ১ম পর্ব প্রচারিয় হয় ১ এপ্রিল, ২০১২।[২]

মূল্যায়ন[সম্পাদনা]

পূর্ববর্তী উপন্যাসের মত আ ক্ল্যাশ অব কিংস উপন্যাসটিও সমাদৃত হয়। দ্য ডালাস মর্নিং নিউজের ডরম্যান শিন্ডলার বলেন, "এই বিশেষ উপধরনের মধ্যে এটি অন্যতম সেরা একটি কাজ", এবং প্রশংসা করে বলেন, "মার্টিনের উপন্যাসে আবিষ্কৃত এই নতুন পৃথিবী ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধতা কল্পকাহিনীর চেয়ে মধ্যযুগীয় ইতিহাসের অনুভূতি প্রদান করে।"[৩]

পুরস্কার ও মনোনয়ন[সম্পাদনা]

  • বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ কাল্পনিক উপন্যাসের জন্য লোকাস পুরস্কার – ১৯৯৯[১]
  • বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ উপন্যাসের জন্য ইগনোটাস পুরস্কার – (২০০৪)
  • মনোনীত: শ্রেষ্ঠ উপন্যাসের জন্য নেবুলা পুরস্কার – ১৯৯৯[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "1999 Award Winners & Nominees"Worlds Without End। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  2. Crider, Michael। "'Game Of Thrones' Season 2 Starts Filming In July; Producers Talk Cast & Story"। ২১ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  3. Shindler, Dorman (ফেব্রুয়ারি ২১, ১৯৯৯)। "In Martin's 'Clash of Kings,' the delight is in the details"। The Dallas Morning News 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:শ্রেষ্ঠ কাল্পনিক উপন্যাসের জন্য লোকাস পুরস্কার