ডলার মাহমুদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডলার মাহমুদ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামমোহাম্মদ ডলার মাহমুদ
জন্ম (1988-12-30) ৩০ ডিসেম্বর ১৯৮৮ (বয়স ৩৫)
নড়াইল, খুলনা, বাংলাদেশ
ব্যাটিংয়ের ধরনডান-হাতি
বোলিংয়ের ধরনডান-হাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৯১)
৮ জুন ২০০৮ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই২৯ অক্টোবর ২০০৯ বনাম জিম্বাবুয়ে
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০৪–বর্তমানখুলনা বিভাগ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৬২ ৬১
রানের সংখ্যা ৬১ ১৪২৩ ৪৯৬
ব্যাটিং গড় ১৫.২৫ ১৫.৮১ ১৩.০৫
১০০/৫০ ০/০ ০/৪ ০/১
সর্বোচ্চ রান ৪১ ৭০ ৫৩*
বল করেছে ২১০ ৭,৬৬৫ ২,০১৬
উইকেট ১৭০ ৫১
বোলিং গড় ৩২.২৫ ২৬.৩২ ৩৯.১৯
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৪/২৮ ৭/৫২ ৫/৪৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/– ২৪/– ১০/–
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭
ডলার মাহমুদ
পদক রেকর্ড
পুরুষদের ক্রিকেট
 বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধিত্বকারী
এশিয়ান গেমস
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ২০১০ গুয়াংজু দলগত

মোহাম্মদ ডলার মাহমুদ (জন্ম: ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৮৮) খুলনা বিভাগের নড়াইলে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা বাংলাদেশী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। এছাড়াও, ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে খুলনা বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করছেন। দলে তিনি অল-রাউন্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করে থাকেন। অনূর্ধ্ব-১৯খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলসের সদস্যসহ বাংলাদেশ এ দলের সদস্য ছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫ তারিখে খুলনা বিভাগের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেন ও অদ্যাবধি খেলা চালিয়ে আসছেন। খুলনায় অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় দলের প্রতিপক্ষ ছিল বরিশাল বিভাগরাজশাহীর বিপক্ষে হ্যাট্রিক করেন তিনি। সতেরো বছর বয়সে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। তবে তিনি তেমন সফলতা পাননি। ছয় খেলায় অংশ নিয়ে মাত্র চার উইকেট দখল করেন। ডিসেম্বর, ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। তিনদিনের খেলায় পাঁচ উইকেট লাভ করেন। ২০০৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও অংশ নেন তিনি।

একদিনের আন্তর্জাতিক[সম্পাদনা]

৮ জুন, ২০০৮ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে তার ওডিআই অভিষেক ঘটে। কিটপ্লাই কাপের প্রথম ওডিআইয়ে কামরান আকমল তার প্রথম শিকারে পরিণত হন। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে যান। খেলায় তিনি ৪/২৮ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ও ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার লাভ করেন। ২৯ অক্টোবর, ২০০৯ তারিখে ঢাকায় সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৭টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটে তার। টেস্ট কিংবা টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণের সৌভাগ্য ঘটেনি।

এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ[সম্পাদনা]

২০১০ সালের নভেম্বরে চীনের গুয়াংজুতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসের ক্রিকেটে ১৩-সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।[১] ঐ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ পাঁচ উইকেটে জয়লাভ করলে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়। এরফলে বাংলাদেশ দল এশিয়ান গেমসে প্রথম স্বর্ণপদক লাভ করে।[২][৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Asian Games Men's Cricket Competition, 2010/11: Bangladesh squad" (ইংরেজি ভাষায়)। Cricinfo। ৮ নভেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৭-২৫ 
  2. "Bangladesh wins first Asian Games gold medal" (ইংরেজি ভাষায়)। BBC News। ২৬ নভেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৭-২৫ 
  3. "China catches cricket bug ahead of Asian Games debut" (ইংরেজি ভাষায়)। BBC। ১৩ নভেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৪ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]