বাংলাদেশী পঞ্চাশ পয়সা

৫০ পয়সা

বাংলাদেশ
মূল্য	০.৫০ ৳
ভর	৪.০৫ গ্রাম
ব্যাস	২২ মিলিমিটার
পুরুত্ব	১.৫৫ মিলিমিটার
আকৃতি	গোলাকার (১৯৭৩-২০০১ সাল পর্যন্ত) অষ্টাভুজাকৃতি (২০০১ সাল থেকে)
গাঠনিক উপাদান	ইস্পাত
প্রচলনের বছর	১৯৭৩ - ২০০১
অভিমুখ
নকশা	শাপলা
নকশা প্রচলনের তারিখ	১৯৭৩
বিপরীতদিক
নকশা	ইলিশ মাছ, আনারস, কলা ও মুরগি
নকশা প্রচলনের তারিখ	১৯৭৭
নকশা পরিবর্তনের তারিখ	২০০১

পঞ্চাশ পয়সা হল বাংলাদেশি টাকার ছোটো শ্রেণির মুদ্রা। পঞ্চাশ পয়সার ধাতব মুদ্রা সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে। বর্তমানে বাংলাদেশে পঞ্চাশ পয়সার ব্যবহার নেই বললেই চলে।

ইতিহাস

বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত পাকিস্তানি রুপি ছিল দেশটির প্রচলিত মুদ্রা। বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালের ৪ঠা মার্চ সর্বপ্রথম বাংলাদেশি মুদ্রার প্রচলন শুরু হয়। সরকারি মুদ্রার নাম রাখা হয় টাকা, পরবর্তীতে টাকাকে প্রকাশের চিহ্ন বা সংকেত হিসাবে ‘৳’-কে নির্ধারণ করা হয়। টাকার সর্বনিম্ন একক নির্ধারণ করা হয় এক টাকা। আর এক টাকার শতাংশকে পয়সা নামে অভিহিত করা হয়। অর্থাৎ, ৳১ সমান ১০০ পয়সা। ১৯৭৩ সালে ৫ পয়সা, ১০ পয়সা, ২৫ পয়সা ও ৫০ পয়সার প্রচলন শুরু হয়।

নকশা

পঞ্চাশ পয়সার মুদ্রার ক্ষেত্রে ১৯৭৩ সালের প্রথম প্রচলনের পর থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত এই মুদ্রার তিন ধরনের নকশা দেখা যায়। তিন ধরনের নকশার প্রতিটির অভিমুখদিকে ছিল বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক। জাতীয় প্রতীকের কেন্দ্রে রয়েছে পানিতে ভাসমান একটি শাপলা ফুল, শাপলা ফুলটিকে বেষ্টন করে আছে ধানের দুটি শীষ। চূড়ায় পাটগাছের পরস্পরযুক্ত তিনটি পাতা এবং পাতার উভয় পার্শ্বে দুটি করে মোট চারটি তারকা। চারটি তারকা চিহ্ন দ্বারা বাংলাদেশের সংবিধানের চারটি মূলনীতিকে (জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র এবং গণতন্ত্র) নির্দেশ করা হয়েছে।

১৯৭৩ সালে প্রকাশিত মুদ্রাটির বিপরীতভাগে সবার উপরের দিকে ছিল বাংলাদেশ লেখাটি যার নিচে ছিল মুদ্রাটি প্রকাশের বছর, মাঝের দিকে ছিল শান্তির প্রতীক পায়রা, আর নিচের দিকে ছিল মুদ্রাটির মান অঙ্কে লেখা ও ভাষায় লেখা।

১৯৭৭ সালে মুদ্রাটির বিপরীতভাগে নকশার পরিবর্তন করা হয়। এ সময় এটি থেকে পায়রাটি সরিয়ে উপরের অংশে থাকে শুধু বাংলাদেশ লেখাটি, মাঝের অংশে থাকে একটি ইলিশ মাছ, একটি আনারস, একটি কলা ও একটি মুরগির চিত্র, মাঝের অংশের দু'পাশ মিলিয়ে থাকে মুদ্রাটি মুদ্রণের সাল, মুদ্রাটির নিচের দিকে আগের নকশার মত মুদ্রাটির মান অঙ্কে লেখা ও ভাষায় লেখা রয়েছে।

২০০১ সালে এই নকশাটির আংশিক পরিবর্তন করা হয়। মূল নকশাটি অপরিবর্তিত রেখে এটির গোলাকার বৃত্তাকৃতির বাইরে দিকে একটি অষ্টাভূজ আকৃতি আনা হয়।

ক্রমিক নং	মুদ্রা প্রকাশের সাল	মুদ্রার সম্মুখভাগের চিত্র	মুদ্রার অপরদিকের চিত্র
১	১৯৭৩
২	১৯৭৭
৩	২০০১

বৈশিষ্ট্য

নকশার পরিবর্তনের সাথে সাথে পঞ্চাশ পয়সার মুদ্রার বৈশিষ্ট্যগত কিছু পরিবর্তন করা হয়। এগুলো হলঃ

ক্রমিক নং	মুদ্রা প্রকাশের সাল	ধাতব উপাদান	মুদ্রার আকৃতি	ব্যসার্ধ (মিলিমিটার)	পুরুত্ব (মিলিমিটার)	ওজন (গ্রাম)
১	১৯৭৩	ইস্পাত	গোলাকার	২১.৯	-	৪.০
২	১৯৭৭	ইস্পাত	গোলাকার	২২	১.৫৫	৪.০৫
৩	২০০১	ইস্পাত	অষ্টাভুজাকৃতি	১৯.৬		২.৬

আরো পড়ুন

• বাংলাদেশী পাঁচ পয়সা
• বাংলাদেশী টাকা
• বাংলাদেশের অর্থনীতি
• পয়সা