হাইমে গারসোন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হাইমে গারসোন
জন্ম(১৯৬০-১০-২৪)২৪ অক্টোবর ১৯৬০
মৃত্যু১৩ আগস্ট ১৯৯৯(1999-08-13) (বয়স ৩৮)
জাতীয়তাকলম্বিয়ান
শিক্ষাজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (আইন, ১৯৮০)
পেশাসাংবাদিক, কমেডিয়ান, টেলিভিশন প্রযোজক, আইনজীবী ও শান্তিবাদী

হাইমে এর্নান্দো গারসোন ফোরেরো (স্পেনীয়: Jaime Garzón; জন্ম: ২৪ অক্টোবর ১৯৬০ - মৃত্যু: ১৩ আগস্ট ১৯৯৯) বোগোতায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট কলম্বীয় সাংবাদিক, কমেডিয়ান, আইনজীবী, শান্তিবাদীরাজনৈতিক বিদ্রুপাত্মক ছিলেন। ১৯৯০-এর দশকে রাজনৈতিক বিদ্রুপাত্মকধর্মী অনুষ্ঠান কলম্বীয় টেলিভিশনে প্রচার করে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

হাইমে গারসোন ইউনিভারসিডাড ন্যাশিওন্যাল দ্য কলম্বিয়ায় আইন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। কিন্তু রাজনৈতিক আন্দোলন ও টেলিভিশনের কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকায় তার পড়াশোনা শেষ হয়নি।[১] বোগোতার মেয়র প্রার্থী আন্দ্রেজ পাস্তরানা আরাঞ্জো'র রাজনৈতিক প্রচারণায় গারসোন যোগদান করেন। নির্বাচনে জয়ী হবার পর ১৯৮৮ সালে পাস্তরানা তাকে অনুন্নত গ্রাম্য এলাকা হিসেবে পরিচিত সুমাপাজের মেয়র হিসেবে মনোনয়ন দেন।[২] গারসোন সুমাপাজের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করেন। এক বছরের মধ্যেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ করেন ও বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সচেষ্ট হন।[৩]

১৯৮৭ সালে নোটিসাইরো দ্য লাস সেভেনের পরিচালক অ্যান্টোনিও মোরালেস রিভেইরা সুমাপাজের মেয়রের খ্যাতি সম্পর্কে জানতেন। তিনি সংবাদপাঠক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার জন্য গারসোনকে নিয়ে আসেন। এটি তার টেলিভিশনে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ।[৪]

শান্তিবাদী[সম্পাদনা]

টেলিভিশনের কাজের পাশাপাশি শান্তি আলোচক হিসেবে ফার্ক গেরিলাদের হাতে বন্দীদের মুক্তির বিষয়েও কাজ করেছেন। ২৩ মার্চ, ১৯৯৮ তারিখে ২০০ ফার্ক গেরিলা ভিলাভাইসেন্সিও বোগোতা রোড থেকে ৩২জনকে অপহরণ করে। তন্মধ্যে, চারজন মার্কিন ও ইতালীয় নাগরিক ছিলেন।[৫] ২৭ মার্চ হোস আলফ্রেদো এস্কোবারের নিয়ন্ত্রণাধীন অপরাধ বিরোধী অভিযানে গারসোনকে প্রধান করে একটি কমিশন গঠন করা হয়। নয়জন বন্দীকে তারা মুক্ত করতে সক্ষম হন।[৫]

দেহাবসান[সম্পাদনা]

১৯৯৯ সালে ডানপন্থী উগ্রবাদী সংগঠনের হাতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। তার মৃত্যুর ১৬ বছর পর সাবেক উগ্রবাদীদের একজন আদালতে বলেছেন যে, সাবেক পুলিশ মেয়ার মুরিসিও সান্তোয়ো, ন্যাশনাল আর্মি জেনারেল হ্যারল্ড বেদোয়া ও সাবেক জেনারেল জর্জ এনরিক মোরা র‌্যাঞ্জেলের চক্রান্তে সংঘটিত হয়েছে। মেদেয়িনের মাদক চোরাকারবারীদের এলাকা হিসেবে খ্যাত লা তেরাজায় এ হত্যাকাণ্ড পরিচালিত হয়েছিল।[৬] অদ্যাবধি এ মামলাটি চলমান রয়েছে ও নিষ্পত্তি ঘটেনি।

১৩ আগস্ট, ১৯৯৯, শুক্রবার স্থানীয় সময় ৫:৪৫ ঘটিকায় রেডিওনেট স্টেশনের উদ্দেশ্যে ধূসর জীপ চেরোকি নিয়ে বের হন।[৭] পথিমধ্যে প্লেটবিহীন সাদা মোটর সাইকেল নিয়ে দুই আরোহী তাকে পাঁচটি গুলি করে।[৭] ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Jaime Garzón, 10 años de impunidad। Pereira: Revista Expresión, periodismo universitario। ২০০৯। Unknown ID:1909-5694। সংগ্রহের তারিখ জুন ৪, ২০১০ 
  2. Otto Patiño। "Sumapaz: el más grande páramo del mundo, es una importante localidad de Bogotá"। Ciudad Viva। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১০ 
  3. As a homage, it has its name as Colegio Campestre "Jaime Garzón".
  4. Antonio Morales Riveiro (২০০৩)। "Cuatro años sin Jaime Garzón"। RevistaNumeroUno.com। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০১০ 
  5. "Guerrillero conocido como 'Romaña' fue condenado a 40 años de prisión por secuestro masivo"। El Tiempo। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০১০ 
  6. "Peace negotiator implicated in one of Colombia's most traumatic political murders"। Colombia Reports। আগস্ট ১৩, ২০১৫। 
  7. "Caso Jaime Garzón"। Crímenes contra periodistas, proyecto impunidad। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০১০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]