যাবিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
যাবিদ
ঘড়ির কাটা অনুযায়ী : যাবিদ শহর, আল আশাইর মসজিদ, অট্টালিকা, স্থাপনা, ঐতিহাসিক শহর
যাবিদ ইয়েমেন-এ অবস্থিত
যাবিদ
যাবিদ
ইয়েমেনে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ১৪°১২′ উত্তর ৪৩°১৯′ পূর্ব / ১৪.২০০° উত্তর ৪৩.৩১৭° পূর্ব / 14.200; 43.317
দেশ ইয়েমেন
প্রশাসনিক বিভাগআল হুদাইদাহ প্রশাসনিক বিভাগ
সময় অঞ্চলইয়েমেন মান সময় (ইউটিসি+৩)

যাবিদ (আরবি: زبيد‎‎; যেবিদ'ও উচ্চারণ করা হয়) ইয়েমেনের পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমিতে অবস্থিত একটি শহর যার জনসংখ্যা প্রায় ৫২,৫৯০ জন। এটা ইয়েমেনের প্রাচীনতম শহরগুলির মধ্যে অন্যতম। ১৯৯৩ সাল থেকে এটি একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। ২০০০ সালে একে বিপদাপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।

৬২৮ সালে ইসলামের নবী মুহাম্মাদ এর অনুসারী আবু মুসা আশারি বিখ্যাত মসজিদটি নির্মাণ করেন। ১৩ থেকে ১৫ শতাব্দী পর্যন্ত শহরটি ইয়েমেনের রাজধানী ছিলো।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

শহরটির নামকরণ করা হয়েছে ওয়াদি যাবিদের নামানুসারে। ওয়াদি যাদি হচ্ছে শহরটির দক্ষিণের উপত্যকা। শহরটি ইয়েমেনের প্রাচীন শহরগুলোর অন্যতম। নবী মুহাম্মাদ এর একজন সাহাবী আবু মুসা আশারি ছিলেন যাবিদ শহরের এবং ৬২৮ সালে এখানে পবিত্র মসজিদ গড়ে তোলা হয়। এটা ইসলামের ইতিহাসে নির্মিত পঞ্চম মসজিদ। ১৩ শতক থেকে ১৫ শতক পর্যন্ত যাবিদ ইয়েমেনের রাজধানী ছিলো এবং এটা আরব ও মুসলিম বিশ্বের কেন্দ্র ছিলো। কারণ যাবিদ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে এটা সুপরিচিত ছিলো। এটা ৮১৯-১০১৮ সাল পর্যন্ত যিয়াদিদ রাজবংশ এবং ১০২২-১১৫৮ সাল পর্যন্ত নাজাহিদ রাজবংশের রাজধানী ছিলো।[১] বর্তমানে এটা আধুনিক ইয়েমেনের বুদ্ধিবৃত্তি এবং অর্থনৈতিক সীমারেখা।[২]

ভূগোল[সম্পাদনা]

ইয়েমেনের পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমিতে যাবিদ শহরের জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৫২,৫৯০ জন।[৩]

বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান[সম্পাদনা]

যাবিদ

১৯৯৩ সালে ইউনেস্কো যাবিদ কে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করে।[৪] যাবিদ শহরের বিখ্যাত মসজিদটি শহরের অন্যতম আকর্ষণ। এর বিশ্ববিদ্যালয়টিও উল্লেখযোগ্য।

২০০০ সালে যাবিদকে বিপদাপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কারণ ইয়েমেনীয় সরকার স্থানটি সংরক্ষণে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়। শহরের প্রায় ৪০% বাড়ি ভেঙে আধুনিক ভবন তৈরি করা হয়েছে। অন্যান্য বাড়ি এবং প্রাচীন স্থাপনাগুলো ক্ষয়ের পথে। শহর কর্তৃপক্ষ যদি শহরটির প্রাচীন স্থাপনা সংরক্ষণে আন্তরিক না হয় তবে শহরটি বিশ্ব ঐতিহ্যের তকমা হারাতে পারে।

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

১৯২০ সালে যাবিদ নীল উৎপাদনে আরবের দুটি স্থানের মধ্যে একটি ছিলো। এছাড়া যাবিদে তুলা চাষ ও উৎপাদন হয়।[৫]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Najahid Dynasty." Encyclopædia Britannica Online, 14 April 2006.
  2. Eickelman, Dale F. "The Middle East and Central Asia." (Prentice Hall, Upper Saddle River: 2002)
  3. population of Zabid
  4. "Decision : CONF 002 XI Inscription: Historic Town of Zabid (Yemen)"unesco.org। ১৯৯৩। 
  5. Prothero, G.W. (১৯২০)। Arabia। London: H.M. Stationery Office। পৃষ্ঠা 85।