আসামের অর্থনীতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আসামের অর্থনীতি
পরিসংখ্যান
জিডিপি (২০১৭-১৮ )
জিডিপি ক্রম১৯তম
জিডিপি প্রবৃদ্ধি
১৫% (২০১৭-১৮)[১]
বেকারত্ব৪% (২০১৫-২০১৬)[১]
সরকারি অর্থসংস্থান
জিডিপির ১৯.৩১% (২০১৭-২০১৮)[১]
রাজস্বRs. ৭৩,৪৬৭ কোটি (US$ ৮.৯৮ বিলিয়ন) (২০১৭-২০১৮)[১]
ব্যয়Rs. ৮৫,৯২৩ কোটি (US$ ১০.৫ বিলিয়ন) (২০১৭-২০১৮)[১]

মুদ্রা অনুল্লেখিত থাকলে তা মার্কিন ডলার এককে রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে।

আসামের অর্থনীতি প্রধানত কৃষির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।আসামের ৬৯% মানুষ কৃষির সঙ্গে যুক্ত। ভাবানন্দ দেকা প্রথম আসামের অর্থনীতি বিষয়ে গবেষণা করেন।তার গবেষণা বিষয়ে লেখা বই অসোমোর অর্থানেটি(আসামের অর্থনীতি)[২] হল আসামের অর্থনীতির উপর গবেষণা মূলক প্রথম বই।এই গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের প্রথম সংস্করন প্রকাশিত হয় ১৯৬৩ সালে। এই লেখক এক বছরের মধ্যে আসামের অর্থনীতি, ঐতিয্যবাহী বিষয়, আদাবাসি সম্প্রদায়ের উপর ১১৫ টি বই লেখেন।. বর্তমান যুগে সমস্ত শিক্ষক ও অর্থনীতির ছাত্র-ছাত্রীরা এই অর্থনীতিবিদের বই গ্রহণ করেছেন আসামের অর্থনীতি বিষয়ে জানতে এবং তার দেখানো পথে এগিয়ে চলেছে সকলে।৪ ডিসেম্বর ২০০৬ সালে এই অর্থনীতিবিদের মৃত্য হয়। আমামের অর্থনীতি ও আসামের অর্থনীতি বিষয়ক লেখনির স্বর্ণ জয়ন্তী নামে একটি ডকুমেন্টি চলচ্চিত্র নির্মিত হয় আসামের অর্থনীতি বিষয়ে লেখা অর্থনীতিবিদ ভাবনন্দ দেকা এর বই প্রকাশের ৫০ পূর্তি উপলক্ষে। এটি মুক্তি পায় ২০১৪ সালে। [৩]

কৃষি[সম্পাদনা]

আসামের একটি চা বাগান

কৃষি আসামের আয়ের ক্ষেত্রে তৃতীয় স্থানে রয়েছে [২][৪] এবং প্রায় ৬৯ শতাংশ মানুষ এই বৃত্তিতে নিযুক্ত রয়েছে। তবে, চা উৎপাদনে এই রাজ্য গোটা বিশ্বে এক বিশাল অবদান রেখেছে। আসাম চা, ক্যামেলিয়া আসামিকা নামেও পরিচিত, যা দামী চা পাতা ও সুন্দর স্বাদের জন্য পরিচিত। এছাড়াও অন্যান্য কৃষিজ দ্রব্য যেমন মিষ্টি আলু, আলু, হলুদ, লেবু জাতীয় ফল, রাইসরিষা, মশলা, ধান, পাট, সরিষা, পেঁপে, কলা, সুপারি, আখ, সবজি, শাক-সবজি ইত্যাদিরও ফলন হয়।

Assam’s agriculture has yet to experience modernisation in a real sense and is lagging behind.[২] With implications to food security, per capita food grain production has declined in past five decades.[৫] On the other hand, although productivity of crops increased marginally, still these are much lower in comparison to highly productive regions. For instance, yield of rice, which is staple food of Assam, was just ১৫৩১ kg per hectare against India’s ১৯২৭ kg per hectare in ২০০০-২০০১[৫] (which itself is much lower than Egypt’s ৯২৮৩, United States’s ৭২৭৯, South Korea’s ৬৮৩৮, Japan’s ৬৬৩৫ and China’s ৬১৩১ kg per hectare in ২০০১[৬]). আরেকটি কারণ হল এখানে প্রচুর অভ্যান্তরিন চাহিদা , আসামে রয়েছে ১.৫ মিলিয়ন হেক্টর অভ্যান্তরিন জলা ভূমি বহু নদী ও জলস্রত ও ১৬৫ প্রকারের মাছ।,[৭] এখানে প্রথাগত ভাবে মাছ ধরা হয় এবং মাছের চাষ এখনও এখানে গুরুত্ব পায়নি।[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Assam Budget Analysis ২০১৭-১৮" (পিডিএফ)PRS Legislative Research। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  2. Deka, Prof. Bhabananda (১৯৬৩)। Asomor Arthaniti (১ সংস্করণ)। Guwahati, India: New Book Stall। 
  3. Tribune, The Assam (২৪ জানুয়ারি ২০১৫)। "Remembering a scholar"। Assam Tribune Pvt Ltd। ২৮ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৫ 
  4. Government of Assam, Economic Survey of Assam ২০০১-২০০২ in Assam Human Development Report, ২০০৩ p32
  5. UNDP ২০০৪ p33
  6. FAO Statistics Division ২০০৭
  7. Assam Small Farmers’ Agri-business Consortium
  8. UNDP ২০০৪ p37

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]