শহীদ নগর উচ্চ বিদ্যালয়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শহীদ নগর উচ্চ বিদ্যালয়
ঠিকানা
শহীদ নগর গ্রাম



,
বাংলাদেশ
,
2245

তথ্য
প্রাক্তন নামযুগের আলো বিদ্যানিকেতন
নীতিবাক্যউন্নত শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন।
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৭০ খ্রী।
প্রতিষ্ঠাতামোহাম্মদ আব্দুল হাই আল হাদী,হাজ্বী আবুল হাসেম, ইউনূছ আলীসহ এলাকার কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি
চেয়ারপারসনজনাব আক্তারুজ্জামান ঢালী
প্রধান শিক্ষকজনাব শাহাব উদ্দিন ঢালী
কর্মকর্তাশ্রী বাদল চন্দ্র দাস

জনাব আবুল কালাম খান জনাব সোহরাব হোসেন জনাব শাহীন মিয়া জনাব আরিফ হোসেন জনাব আবু লাইস জনাব শিবলী জনাব মামুন মিয়া জনাব মিরা কাদির

জনাব শারমিন আক্তার
অনুষদকলা ও বিজ্ঞান
শিক্ষকমণ্ডলী১১
শ্রেণী৬ষ্ঠ-১০ম
লিঙ্গবালক ও বালিকা
বয়সসীমা১০-১৬
শিক্ষার্থী সংখ্যা৯০০
ভাষাবাংলা
ক্যাম্পাসগফরগাঁও
শিক্ষায়তন৬৭ শতাংশ
ক্যাম্পাসের ধরনউপশহর
হাউসতিনটি একাডেমিক ভবন একটি প্রশাসনিক ভবন
রংসবুজ ও সাদা
অ্যাথলেটিক্সক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন
ক্রীড়াফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, হ্যান্ডবল
Communities servedস্কাউট দল
অন্তর্ভুক্তিময়মনসিংহ বোর্ড
শিক্ষা বোর্ডময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড
ওয়েবসাইটsdnhs.edu.bd

শহীদ নগর উচ্চ বিদ্যালয় ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলাধীন পাইথল ইউনিয়নে শহীদ নগর (গুবরী মৌজা) গ্রামে অবস্থিত। স্কুলটিতে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। সুবিশাল স্কুল মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে দেউলপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। স্কুলের পশ্চিম প্রান্তে বয়ে গেছে ঢাকা ময়মনসিংহ রেললাইন।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৭০ সালে মোহাম্মদ আব্দুল হাই আল হাদী, ইউনূছ আলীসহ এলাকার কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি গ্রামে একটি জুনিয়র স্কুল স্থাপনের পরিকল্পনা করেন। গ্রামের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের লক্ষ্যে যুগের আলো বিদ্যানিকেতন নামে স্কুলটি যাত্রা শুরু করে। স্কুল নির্মানের জন্য জমি প্রয়োজন হলে তৎকালীন ঐ স্কুলের ভিত্তি ও মাঠ নির্মাণের জন্য জমিদান করেন জনাব হাজী আবুল হাসেম দপ্তরী; প্রথমে ১৫ শতাংশ ও পরে স্কুলের সীমানা বৃদ্ধি করার লক্ষে ৬৭ শতাংশ জমির সম্পূর্ণ অংশ তিনি নিজ অর্থে ক্রয় করে স্কুলের জন্য দান করেন। এছাড়াও স্কুলের টিউবওয়েল, কাঠের বেঞ্চ, স্কুল নির্মানের জন্য টিন ক্রয় করে দেন।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর স্কুলটি বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকে। ১৯৮৯ সালে স্কুলটি একটি মাধ্যমিক স্কুলে উন্নিত করা হয়। শহীদ আব্দুল মান্নানের নামানুসারে ততদিনে গ্রামের নাম হয়ে গেছে শহীদ নগর। শহীদ নগর গ্রমের এই স্কুলটির নতুন নাম রাখা হয় শহীদ নগর উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৭২ সালের পহেলা জানুয়ারী স্কুলটি নিন্ম মাধ্যমিক স্কুল হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং মাধ্যমিক স্কুল হিসেবে যাত্রাশুরু করে পহেলা জানুয়ারী ১৯৮৯ সালে[১]। স্কুলটি এম.পি.ও ভুক্ত হয় ২০০৮ সালে।

বর্তমানে স্কুলটিতে প্রায় ৯০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ১টি প্রশাসনিক ভবন ও ৩ টি একাডেমিক ভবনসহ মোট ৪ টি ভবন রয়েছে। উপজেলা সদর থেকে স্কুলটির দূরত্ব ১৫ কি.মি.।

স্কুলটির এমপিও নম্বর- ১১১৫৬৮। এই স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক জনাব শাহাব উদ্দিন বিএস.সি।


জমিদাতা[সম্পাদনা]

হাজ্বী মোহাম্মদ আবুল হাসেম দপ্তরী, স্থানীয়।

মুক্তিযুদ্ধে বিদ্যালয়[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এই মাঠটি মুক্তিবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প হিসেবে কাজ করে। এ স্কুলের সামনের রেললাইনে পাকিস্তানি সৈন্যবাহী ট্রেন যাতে আসতে না পারে, সেজন্য মাইন পুঁতে রাখে আব্দুল মান্নান। সেই মাইনের গোলযোগ পরীক্ষা করতে গিয়ে তিনি শহীদ হন। তার স্মৃতি রক্ষার্থে এই অঞ্চলের নাম শহীদ নগর করে দেয়া হয়।

প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। প্রতি বছর ভর্তি শুরু হয় ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণিতে। বিজ্ঞান আর কলা অনুষদে ক্লাস নেয়া হয়। এ স্কুলে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ নেই। উন্নত শ্রেণিকক্ষ। আধুনিক পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের পাশাপাশি আছে সহঃশিক্ষা কার্যক্রম। নিয়মিত অ্যাসেম্বলি, খেলাধুলার আয়োজন করে থাকে স্কুলটি। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয় জমকালোভাবে। আর প্রতিবছর একাডেমিক ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট আয়োজিত হয়। যাকে বাবু স্যারের টুর্ণামেন্ট নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।

শিক্ষক[সম্পাদনা]

এ স্কুলটিতে ২০১০ এর পর থেকে পুরুষ শিক্ষকের পাশাপাশি, মহিলা শিক্ষকও পাঠদান করে থাকেন।

ভর্তি প্রক্রিয়া[সম্পাদনা]

জন্ম নিবন্ধন, নিজের ছবি, পিতামাতার জাতিয় পরিচয়পত্রের কপি, পূর্ববর্তী শিক্ষার নম্বরপত্র বা ছাড়পত্রের কপি ও ভর্তি ফি দিয়ে ভর্তি হওয়া যায়। ভর্তি প্রক্রিয়াটি অফলাইন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হলেও তা অনলাইনে অন্তর্ভুক্তের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

প্রথম প্রধান শিক্ষক[সম্পাদনা]

এই স্কুলের প্রথম প্রধান শিক্ষক পূর্ববাংলা তথা অধুনা বাংলাদেশে বেতারকেন্দ্রের প্রখ্যাত গীতিকার, আব্দুল হাই আল হাদী।

শিক্ষা সুবিধা[সম্পাদনা]

সুবিশাল ক্যাম্পাসের পাশাপাশি রয়েছে পাঠাগার, সমৃদ্ধ বিজ্ঞানাগার ও প্রস্তাবিত আছে উন্নত কম্পিউটার ল্যাব,ইংলিশ ক্লাব, ষাণ্মাসিক পত্রিকা "দুর্বার" ও প্রার্থনা কক্ষ।

খরচ[সম্পাদনা]

এমপিওভুক্ত স্কুল হওয়ায় বেসরকারি বিদ্যালয় অপেক্ষা এই স্কুলের বেতন কম। দরিদ্র ছাত্রদের জন্য আছে দরিদ্র তহবিল। ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্যই রয়েছে উপবৃত্তির ব্যবস্থা।

ইউনিফর্ম[সম্পাদনা]

মেয়েদের সবুজ জামা ও সাদা সালোয়ার, সাদা উর্ণা, বেল্ট, সাদা কেডস। ছেলেদের সাদা শার্ট, কালো প্যান্ট ও সাদা কেডস। আর আইডি কার্ড সাথে আনা বাধ্যতামূলক থাকে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "শহীদ নগর উচ্চ বিদ্যালয়"। ২৯ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 


বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]