বারা দৈত্য ছেরবাতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বারা দৈত্য ছেরবাতি
Pseudorhombus oligodon
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Chordata
উপপর্ব: Vertebrata
মহাশ্রেণী: Osteichthyes
শ্রেণী: Actinopterygii
বর্গ: Pleuronectiformes
পরিবার: Paralichthyidae
গণ: Pseudorhombus
প্রজাতি: Pseudorhombus oligodon
দ্বিপদী নাম
Pseudorhombus oligodon
(Bleeker, 1854)
প্রতিশব্দ

Rhombus oligodon Bleeker, 1854[১]
Pseudorhombus cinnamoneus (non Temminck & Schlegel, 1846)[২]
Pseudorhombus arsius (non Hamilton, 1822)[২]

বারা দৈত্য ছেরবাতি (বৈজ্ঞানিক নাম: Pseudorhombus oligodon) (ইংরেজি: Peacock flounder) হচ্ছে Paralichthyidae পরিবারের Pseudorhombus গণের একটি স্বাদুপানির মাছ

বর্ণনা[সম্পাদনা]

দেহ ডিম্বাকার ও চ্যাপ্টা, মুখ নিরপেক্ষ, উপরের চোয়ালের দাঁত ছোট।[৩]

স্বভাব এবং আবাসস্থল[সম্পাদনা]

তলদেশেবাসী মাছ সমুদ্রের অভ্যন্তরেই এরা অভিপ্রায়ন করে। সমুদ্রের অগভীর, উপকূলীয় অঞ্চল, জোয়ার-ভাঁটায় প্লাবিত এলাকায় এরা বাস করে। এদের ডিম আঠালো নয় তাই পানির উপরে ভাসতে থাকে। বঙ্গোপসাগরে পাওয়া যায় ও জোয়ার-ভাঁটার নদীতে পাওয়া যায়।[৩]

বিস্তৃতি[সম্পাদনা]

আফ্রিকার পূর্ব-উপকূল থেকে অস্ট্রেলিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়।[৩]

অর্থনৈতিক গুরুত্ব[সম্পাদনা]

বাংলাদেশভারতে এ মাছ মোহনা অঞ্চলের মৎস্য সম্পদের উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। মাঝে মাঝে অন্য মাছের সাথে ধরা পড়ে মিশ্র মাছ হিসেবে বাজারজাত করা হয়। এ মাছ টাটকা এবং শুটকি হিসাবে বিক্রি হয়। কিছু অঞ্চলে এ মাছ সুস্বাদু খাবার হিসাবে পরিচিত।[৩]

বাস্তুতান্ত্রিক ভুমিকা[সম্পাদনা]

এ প্রজাতির মাছ তলদেশে শৈবাল ও গলিত এবং পচা খাবার খেয়ে জলজ পরিবেশ পরিষ্কার রাখে।[৩]

বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ[সম্পাদনা]

আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি এখনও হুমকির সম্মুখীন নয়।[৩]

মন্তব্য[সম্পাদনা]

বাংলাদেশে এ মাছের সর্ব্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১৭.৭ সেমি পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে।[৩]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Cabanban, A., E. Capuli, R. Froese and D. Pauly (1996) An annotated checklist of Philippine flatfishes: ecological implications., Presented at the Third International Symposium on Flatfish Ecology, 2-8 November 1996, Netherlands Institute for Sea Research (NIOZ), Texel, The Netherlands.
  2. Amaoka, K. and D.A. Hensley (2001) Paralichthyidae. Sand flounders., p. 3842-3862. In K.E. Carpenter and V. Niem (eds.) FAO species identification guide for fishery purposes. The living marine resources of the Western Central Pacific. Vol. 6. Bony fishes part 4 (Labridae to Latimeriidae), estuarine crocodiles. FAO, Rome.
  3. এ কে আতাউর রহমান, গাউছিয়া ওয়াহিদুন্নেছা চৌধুরী (অক্টোবর ২০০৯)। "স্বাদুপানির মাছ"। আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; আবু তৈয়ব, আবু আহমদ; হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ; আহমাদ, মোনাওয়ার। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ২৩ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২৮৯–২৯০। আইএসবিএন 984-30000-0286-0 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য)