আলেকজান্দ্রা কল্লোনতাই

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আলেকজান্দ্রা কল্লোনতাই
Alexandra Kollontai
আলেকজান্দ্রা কল্লোনতাই
জন্ম
আলেকজান্দ্রা মিখাইলভনা কল্লোনতাই

৩১ মার্চ, ১৮৭২
সেইন্ট পিটার্সবার্গ
মৃত্যু৯ মার্চ ১৯৫২(1952-03-09) (বয়স ৭৯)
মস্কো
জাতীয়তারাশিয়ান
পেশালেখক, রাষ্ট্রদূত
দাম্পত্য সঙ্গীপাবল ডাইবেনকো
স্বাক্ষর

আলেকজান্দ্রা কল্লোনতাই(৩১ মার্চ, ১৮৭২ - ৯ মার্চ ১৯৫২) একজন রুশ কমিউনিস্ট বিপ্লবী ছিলেন। তিনি প্রথম মেনশেভিকের সদস্যা হিসাবে রাজনীতিতে যোগ দেন। তারপরে ১৯১৪ সালে বলশেভিকের সদস্য হন। কল্লোনতাইকে ১৯২৩ সালে সোভিয়েত রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

জন্ম ও পরিবার[সম্পাদনা]

আলেকজান্দ্রা কল্লোনতাই ৩১ মার্চ, ১৮৭২ সালে সেইন্ট পিটার্সবার্গে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জেনারেন মিখাইল আলেক্সিভিস দমনতভিসি। তার পিতা ইউক্রেয়িন কসাক বংশের উত্তরাধিকার ছিলেন যাঁদের ১৩ শতক পর্যন্ত ইতিহাস পাওয়া যায়।[১] তিনি ১৮৭৭-৭৮ পর্যন্ত রুশ-তুর্কি যুদ্ধে অশ্বারোহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৮৭৯ সালে যুদ্ধের পর বুলগেরিয়ার রাশিয়ান প্রশাসন একজন উপদেষ্টা হিসেবে। তিনি উদার রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ করতেন এবং যুক্তরাজ্য এর মতো একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের পক্ষপাতীছিলেন।[২] তার মায়ের নাম আলেকজান্দ্রা আন্দ্রভান মাসালিনা মরাভিন্সকায়া।

বিপ্লবী কর্মকাণ্ড[সম্পাদনা]

যখন কল্লোনতাই প্রাথমিকভাবে কৃষক কমিউন উপর ভিত্তি করে সমাজের একটি পুনর্গঠনের জনপ্রিয়বাদী ধারণা গ্রহণ করেছিলেন, ১৯শতকের শেষ দশকে এই ধরনের তত্ত্বের কার্যকর সমর্থনকারীরা সংখ্যায় অল্প ছিলেন।[৩] সে সময় মার্কসবাদ, কারখানা শ্রমিকদের জ্ঞানদান উপর তার জোর দিয়ে ক্ষমতার বিপ্লবী দখল করার এবং আধুনিক শিল্প সমাজের নির্মাণ কথা বলে কল্লোনতাই সে সময় এই চিন্তার মধ্যে দোলাচলে ছিলেন। সে সময় তার বোনের সাথে একটি লাইব্রেরীতে শহরের শ্রমিক দের রাজনৈতিক মৌলিক বিশেষে পড়াতে গিয়ে মার্ক্সবাদী ধারণা স্বছ হয়।[৪]

১৯১৭ সালে তিনি নরওয়ে থেকে রাশিয়ায় ফিরে আসেন, জারের পদত্যাগের খবর শুনে।[৫]

রাজনৈতিক কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯০৩ সালে রাশিয়ান সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক লেবার পার্টির ভেতরে জুলিয়াস মারতভের অধীনে মেনশেভিক এবং ভ্লাদিমির লেনিন অধীনে বলশেভিকদের মধ্যে বিভক্তর সময় সময়ে কল্লোনতাই কোন অংশেই যোগদান করেন নি। অক্টোবরে বলশেভিক বিপ্লবের পর ১৯১৭ সালে তিনি আবার রাজনৈতিক কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি সমাজকল্যাণমূলক কাজ করতে থাকেন। তার সময়ের অন্য মার্কসবাদীদের মত তিনিও নারীদের সমতা বিষয়ে একজন সেরা নেত্রী, যিনি উদার নারীবাদ মতাদর্শের বিরোধিতা করেছিলেন। উদার নারীবাদ মতাদর্শকে তিনি বুর্জোয়া মতাদর্শ হিসেবে দেখেছিলেন, যদিও পরবর্তীকালের নারীবাদীরা সেটিকে উত্তরাধিকার দাবি করেছেন।[৬][৭]

কল্লোনতাই এর রাজনৈতিক প্রভাব কম থাকায় ১৯২০ সালে কূটনৈতিক পদে পার্টির নিযুক্ত করে। তিনি ইউএসএসআর নারী রাজনীতিতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

আলেকজান্দ্রা কল্লোনতাই ৯ মার্চ ১৯৫২ সালে ৭৯ বছর বয়সে মারা যান।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Clements, পৃ. 3।
  2. Clements, পৃ. 4।
  3. Clements, পৃ. 18।
  4. Clements, পৃ. 18–19।
  5. Holt, পৃ. 105।
  6. Kollontai, Alexandra The Social Basis of the Woman Question 1909.
  7. Kollontai, Alexandra Women Workers Struggle For Their Rights 1919.