বিপিএটিসি স্কুল ও কলেজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিপিএটিসি স্কুল এন্ড কলেজ
BPATC School & College
প্রাক্তন নাম
পিএটিসি স্কুল
ধরনবিশেষায়িত কলেজ
স্থাপিতস্কুল ১৯৮৪, কলেজ ২০০০
রেক্টরমোঃ আশরাফ উদ্দিন
অধ্যক্ষএস এম মেহেদি হাসান
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
৪৭+
ঠিকানা
বিপিএটিসি, সাভার, ঢাকা
, ,
শিক্ষাঙ্গনশহর
সংক্ষিপ্ত নামবিপিএটিসি স্কুল ,বিপিএটিসি এসসি
অধিভুক্তিমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা
ওয়েবসাইটbpatcsc.org
মানচিত্র

সাভারের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি)'র অভ্যন্তরে বিপিএটিসি স্কুল ও কলেজ অবস্থিত। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিপিএটিসি প্রাথমিক স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৮ সালে মাধ্যমিক স্কুল হিসেবে উন্নীত হয়। ২০০০ সালে কলেজ শাখা শুরু হয়।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বিপিএটিসি স্কুল ও কলেজ বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চত্বরে অবস্থিত এদেশের শিক্ষাঙ্গনে একটি গৌরবময় নাম। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকা-এর নিয়ম-কানুনের আওতায় বিপিএটিসি কর্তৃক সুপরিচালিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৪ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে এর আত্মপ্রকাশ। ১৯৮৮ সালে একটি পূর্ণাঙ্গ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে শিক্ষাবোর্ডের স্বীকৃতি লাভ করে। প্রতিষ্ঠানটির উল্লেখযোগ্য ফলের জন্য ১৯৯৮ সালে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হয়। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় ২০ জুলাই, ২০০০ সাল থেকে ১০৭ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে কলেজ শাখায় নবদিগন্ত-উন্মোচিত হয়। ২০০২ সাল থেকে কলেজ শাখার এইচএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা এর আওতায়) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আসছে। বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটির অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। ২০০৪ সালে এখানে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপিত হয়। অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী শিক্ষাদান কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত। শিক্ষা, শৃক্মখলা, শান্তি, প্রগতি হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের মূলনীতি। নিষ্ঠার সঙ্গে এই নীতিসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রচিত হয়েছে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড। এই প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-শৃক্মখলা, প্রতিষ্ঠানের অবস্থান এবং সুন্দর পরিবেশ এইসব কিছুই এর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য যা অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে স্বতন্ত্র। ঐতিহ্যের সোপান পেরিয়ে আজ এটি কলেজ পর্যায়ে উন্নীত একটি সমৃদ্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলেজ পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে।

প্রশাসনিক অবকাঠামো[সম্পাদনা]

বিপিএটিসি স্কুল এন্ড কলেজ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের নিয়ম কানুনের আওতায় বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কর্তৃক গঠিত গভর্নিং বডি দ্বারা পরিচালিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সাভার, ঢাকা-এর মাননীয় রেক্টর মহোদয়। গভর্নিং বডি স্কুল ও কলেজ সংক্রান্ত যাবতীয় নীতিনির্ধারণ করে এবং সে সকল নীতি অনুযায়ী কলেজটি পরিচালিত হয়। অধ্যক্ষ হচ্ছেন কলেজের নির্বাহী প্রধান। তিনি গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তের আলোকে কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যাবলী পরিচালনা করেন।

স্কুল ও কলেজ ড্রেস[সম্পাদনা]

স্কুল ও কলেজে ছাত্রছাত্রীদের পোশাকের ধরন ও পরিচয়পত্র কলেজকর্তৃক সুনির্দিষ্ট রয়েছে। ক্লাসটেস্ট, পরীক্ষা দেয়া বা যে কোনোক্ষেত্রে কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থানকালে সকল ছাত্রছাত্রীর কলেজ ড্রেস পরিধান করে থাকা বাধ্যতামূলক। বোর্ড চূড়ান্ত পরীক্ষাসমূহ যা অন্য কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় সেক্ষেত্রেও কলেজ ড্রেস পরিধান করা বাধ্যতামূলক।

পরিচয়পত্র[সম্পাদনা]

বিপিএটিসি স্কুল এন্ড কলেজের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর জন্য পৃথক পৃথক লেমিনেটেড পরিচয়পত্র ভর্তির পর অফিস থেকে সরবরাহ করা হয়। কলেজে ক্লাস, সেমিনার ও লাইব্রেরিতে অধ্যয়ন, পরীক্ষা এবং যাবতীয় শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সময় প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে অবশ্যই পরিচয়পত্র সাথে রাখতে হবে।

পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে পুনরায় সংগ্রহের জন্য অধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র গৃহীত হলে প্রয়োজনীয় ফি প্রদান করে ১০ দিনের মধ্যে ডুপ্লিকেট পরিচয়পত্র গ্রহণ করতে হবে।

কলেজ অবকাঠামো[সম্পাদনা]

১. স্কুল ভবণ ২. কলেজ ভবণ ৩. গ্রন্থাগার ৪. সাউন্ড সিস্টেম ৫. গবেষণাগার ৬. রসায়ন ল্যাব ৭. পদার্থ ল্যাব ৮. জীবনবিজ্ঞান ল্যাব ৯. ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব ১০. পরিসংখ্যান ল্যাব ১১. পরিবহন সুবিধা ১২. চিকিৎসা সুবিধা

প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক কার্যক্রম[সম্পাদনা]

১. বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২. সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ৩. মেধা ও সৃজনশীল কার্যক্রম ৪. স্কাউট ও রোভার স্কাউট কার্যক্রম ৫. পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান ৬. বার্ষিক মিলাদ মাহফিল ৭. নবীন বরণ অনুষ্ঠান ৮. বোর্ড পরিক্ষার্থীদের বিদায় সম্বর্ধনা ৯. বার্ষিক দেয়ালিকা প্রকাশ ১০. অভিভাবক দিবস

ফলাফল ও সাফল্য[সম্পাদনা]

বিপিএটিসি স্কুল ও কলেজের বিগত বছরের ফলাফলঃ

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিসিই) , জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরিক্ষা (জেএসসি) , মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরিক্ষা (এসএসসি) ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) সকল পরিক্ষাতেই উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাফল্য অতুলনীয়। ৯৮% থেকে ১০০% পর্যন্ত শিক্ষার্থী বিভিন্ন বোর্ড পরিক্ষায় পাশ করে থাকে। জিপিএ ফাইভ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অসংখ্য।

এ্যালুমনাই অ্যাসোসিয়েশন[সম্পাদনা]

প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে এ্যালুমনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠিত। bpatcscaa.org নামে একটি ওয়েবসাইটও রয়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]