উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে
লেখকওয়াহিদ সুজন
প্রচ্ছদ শিল্পীধ্রুব এষ
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
বিষয়উকিল মুন্সী, বাউল গান
ধরনজীবনী, ভ্রমণকাহিনী
পটভূমিনেত্রকোণা
প্রকাশিতমে, ২০১৫
প্রকাশকঐতিহ্য
মিডিয়া ধরনমুদ্রণ (হার্ডকভার)
পৃষ্ঠাসংখ্যা১১০
আইএসবিএন৯৭৮-৯৮৪-৭৭৬-২১৯-৭

উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে গীতিকবি, গায়ক ও সাধক উকিল মুন্সীর জীবনীগ্রন্থ।[১] বইটি লিখেছেন গবেষক ও সাংবাদিক ওয়াহিদ সুজন। প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্য থেকে বইটি ২০১৫ সালে মে মাসে প্রথম প্রকাশিত হয়,[২] এবং পরে ২০১৬ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়।[৩] বইটির ভূমিকা লিখেছেন ফরহাদ মজহার এবং প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ[৪]

পটভূমি[সম্পাদনা]

২০১২ সালে উকিল মুন্সীর বাড়িতে লেখক ও তার বন্ধুর ভ্রমণ অবলম্বনে বইটির সূত্রপাত। পরবর্তীতে তা শুধু ভ্রমণ কাহিনীই থাকেনি, এতে উঠে এসেছে উকিল মুন্সীকে নিয়ে ঐতিহাসিক তথ্য ও জনশ্রুতি। উকিল মুন্সীর জীবিত স্বজনদের পাশাপাশি কথা বলেছেন তার পীরের বংশধররা। আরো উঠে এসেছে হাওর অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা।

বিষয়বস্তু[সম্পাদনা]

বইটিকে লেখক তিনটি পর্বে বিভক্ত করেছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বকে আবার তিন ভাগে ভাগ করেছেন। প্রথম পর্বের মূল শিরোনাম হল "ভ্রমি চিহ্ন ধরে"। এই পর্বের তিনটি ভাগ রয়েছে— "উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে", "দক্ষিণ হাওয়ার দেশে" ও "উকিল মুন্সীর রসিকবন্ধু"। তিনটি লেখাই ভ্রমণ কাহিনীর মতো করে বর্ণিত। যার মাঝেই উঠে এসেছে উকিল মুন্সীর জীবনী, গানের ব্যাখ্যা, সাংস্কৃতিক ও ভূ-প্রাকৃতিক অনুসঙ্গ।

দ্বিতীয় পর্বের শিরোনাম "কার্তিক ও নাইওর"। এর তিনটি ভাগ— "নেত্রকোণার জলধারা", "অনন্ত বিরহে উকিল মুন্সী", "উকিল ও কামালের নাইওর তর্ক"। প্রথম লেখার প্রসঙ্গ কোন সাংস্কৃতিক চর্চা ও পরিমণ্ডলে উকিল মুন্সী বেড়ে উঠেছেন। দ্বিতীয় লেখার বিষয় বাংলার ভাবচর্চায় কার্তিকের তাৎপর্য। শেষ লেখায় বিখ্যাত গান 'আষাঢ় মাইস্যা ভাসা পানি' প্রসঙ্গ এসেছে। কারো কারো মতে, গানটি লিখেছেন কামাল উদ্দিন বা কামাল পাশা। তা খণ্ডন করছেন লেখক। পাশাপাশি বাংলা গানের ভাব ও সুরের মিল নিয়ে আলোচনা এসেছে।

শেষ পর্বের নাম "ছাপা অক্ষরে উকিল মুন্সী"। এ পর্বে রয়েছে দুটি লেখা— "আর কতকাল বিদেশ রবে উকিল" ও "মধ্যাহ্নের উকিল মুন্সী"। প্রথম লেখাটি মাহবুব কবিরের উকিল মুন্সীর গান বইয়ের আলোচনা এবং দ্বিতীয়টি হুমায়ূন আহমেদের মধ্যাহ্ন উপন্যাসের আলোচনা।

গ্রন্থালোচনা[সম্পাদনা]

সাপ্তাহিক পত্রিকা সাম্প্রতিক দেশকাল এ তানিয়া রহমান বইটির গল্প বলার ঢঙের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, "উকিল মুন্সীর বিচ্ছেদী গানের সঙ্গে যারা পরিচিত, তাদের জন্য তো অবশ্যই, যারা বাংলার নানা রকম ভাবের গান শুনতে চান, বুঝতে চান, তাদের জন্যও এই বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।"[৫]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "উকিল মুন্সীর জীবন ও কাজ নিয়ে ওয়াহিদ সুজনের বই"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১৪ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  2. "'উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে' প্রকাশিত"দ্য রিপোর্ট। ১ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  3. "বইমেলার নতুন বই"দৈনিক প্রথম আলো। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "বই পরিচিতি : 'উকিল মুন্সীর চিহ্ন ধরে'"সংস্কৃতি ডটকম। ১ জুন ২০১৫। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  5. রহমান, তানিয়া (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "চিহ্ন ধরে খুঁজে ফেরার গল্প"সাম্প্রতিক দেশকাল। ১৪ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]