ধইঞ্চা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ধইঞ্চা
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Plantae
শ্রেণীবিহীন: Angiosperms
শ্রেণীবিহীন: Eudicots
শ্রেণীবিহীন: Rosids
বর্গ: Fabales
পরিবার: Fabaceae
উপপরিবার: Faboideae
গোত্র: Robinieae
গণ: Sesbania
প্রজাতি: Sesbania bispinosa
দ্বিপদী নাম
Sesbania bispinosa
(Jacq.) W. Wight
প্রতিশব্দ

Sesbania aculeata (Willd.) Pers. 1807

ধইঞ্চা বা ধৈঞ্চা বা ধনচে এর বৈজ্ঞানিক নাম Sesbania bispinosa, এর বন্য অবস্থার প্রজাতিটির বৈজ্ঞানিক নাম Sesbania aculeata. এটি সেসবানিয়া গণের অন্তর্ভুক্ত ছোট বৃক্ষ

বাংলা এবং হিন্দিতে একে ধইঞ্চা, ইংরেজিতে Dhaincha বলা হয়।

বাসস্থান ও বিস্ত‌ৃতি[সম্পাদনা]

এটি এশিয়া এবং উত্তর আফ্রিকার স্থানীয় উদ্ভিদ। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আফ্রিকায় খুব সহজেই আগাছা বিনাশকারী এই উদ্ভিদটি দেখা যায়। এ বৈশিষ্ট্যের কারণে এটিকে আমেরিকা মহাদেশেও রোপন শুরু হয়েছে। লবণাক্ত মাটিতেও এটি বেড়ে ওঠে। 

ধইঞ্চা (S. bispinosa) সিক্ত, ভারী মাটিতে অভিযোজিত উদ্ভিদ কিন্তু খরা-প্রবণ বা বালুময় এলাকায়ও সহজেই অভিযোজিত হয়। এটি বিস্তরভাবে ভারত, বাংলাদেশে চাষ করা হয়। ভিয়েতনামে ধানখেতে এটি চাষ করা হয় পরবর্তীতে জ্বালানিকাঠ হিসেবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে। 

বর্ণনা[সম্পাদনা]

এটি একটি একবর্ষজীবী উদ্ভিদ।[১] এটি লম্বায় সাত মিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে কিন্তু সাধারণত এক বা দুই মিটার বড় হয়। এর বাকল তন্তুময়, কাণ্ড শাঁসযুক্ত এবং বলিষ্ঠ আর ফুল হলুদ বর্ণের। এটি মটরশুটির মত ফল উৎপাদন করে যার মধ্যে হালকা বাদামী রঙের বীজ থাকে।[২]

ব্যবহার[সম্পাদনা]

এই উদ্ভিদটির বহুল ব্যবহার বিদ্যমান। সবুজ সার,[৩] ধানের খড়, জ্বালানিকাঠ এবং পশুখাদ্য হিসেবে এটির প্রচলন রয়েছে।

  • এটি দড়ি, মাছ ধরার জাল, চটের কাপড়, (নৌকার) পালের কাপড় তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। এর তন্তু বার্চ গাছের তন্তুর মত অর্থাৎ কাগজ তৈরিতে এটি ভাল কাঁচামাল হতে পারে।
  • এর পত্ররাজি উত্তম পশুখাদ্য এবং শস্যবীজ মুরগির খাবার হিসেবে ব্যবহার্য। এই গাছটি দুর্ভিক্ষের সময়ে মানুষের জন্য খাদ্যের উৎস হতে পারে।
  • ধইঞ্চা যে আঠা উৎপন্ন করে তা ঘনকারক এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
  • অন্যান্য কলাই জাতীয় উদ্ভিদের মত, এটি নাইট্রোজেন সংবন্ধনের মাধ্যমে মাটির স্বাস্থ্যবৃদ্ধি করতে পারে।
  • এটি ভাল জ্বালানিকাঠ। 
  • ধইঞ্চার ফল বহুকাল ধরে দাঁদ এবং অন্যান্য চর্মরোগ সংক্রমণের প্রতিকারে প্রলেপ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। 

রন্ধনশিল্পে ব্যবহার[সম্পাদনা]

ধইঞ্চার হলুদ ফুল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। মূলত থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামে এর কদর বেশি।[৪] 

থাই ভাষায় ধইঞ্চা ফুলের নাম ডক সানো (ดอกโสน)। থাই রন্ধনপ্রণালীতে এটিকে রান্না করে অথবা কাঁচা উভয়ভাবেই ব্যবহার করা হয়।[৫]  ডিমের অমলেট[৬]  এবং মিষ্টি তৈরিতেও[৭] এই ফুলের ব্যবহার রয়েছে।

ছবির গ্যালারী[সম্পাদনা]

খালের পাশে ধইঞ্চার ঝোপ


তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ধৈঞ্চা"kalerkantho.com। ২০ জানুয়ারি, ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. Pictures of the tree
  3. "গাইবান্ধায় ধনচে চাষে লাভবান কৃষক"www.swadeshpratidin.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-২৭ 
  4. Gỏi tép đồng và bông điên điển - Vietnamese dish
  5. Thailand, Cuisine
  6. Omelette
  7. Sweets - "ขนมดอกโสน" (kanom dok sanō)