বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বায়োমেট্রিক্সের প্রতীকটি সাধারনত এসব পাসপোর্টের উপরে থাকে।

বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট হল কতগুলো কাগজের সমষ্টি এবং একটি ইলেক্ট্রনিক পাসপোর্ট যা কোনো ভ্রমনকারীর পরিচয় বহন করে।এটি  ই-পাসপোর্ট, ইপাসপোর্ট অথবা ডিজিটাল পাসপোর্ট নামেও পরিচিত । এতে যোগাযোগবিহীন স্মার্ট কার্ড,মাইক্রোপ্রসেসর চিপ (কম্পিউটার চিপ) এবং অ্যান্টেনা (চিপের পাওয়ার এবং যোগাযোগের জন্য) থাকে যেগুলো পাসপোর্টের সামনে,পিছনে বা মাঝখানে সংযুক্ত থাকে। সকল ডকুমেন্ট এবং চিপের বৈশিষ্ট্য আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার ডক ৯৩০৩-এ জমা থাকে।[১] পাসপোর্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পাসপোর্টের পৃষ্ঠায় দেয়া থাকে এবং চিপেও সংরক্ষিত থাকে।যখন সকল নিরাপত্তা প্রক্রিয়া সঠিকভাবে শেষ হয় তখন পাবলিক কী ইনফ্রাষ্ট্রাকচার (পি কে আই) এর মাধ্যমে পাসপোর্টের চিপে যান্ত্রিকভাবে সংরক্ষিত তথ্যগুলোর বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করা হয় যা এটিকে নকল করার ক্ষেত্রে ব্যয়বহুল এবং কষ্টসাধ্য করে তোলে।

বর্তমানে শনাক্ত করার জন্য চেহারা,আঙ্গুলের ছাপ,আইরিশ এসকল বায়োমেট্রিক ব্যবহার করা হয়।রেটিনা স্ক্যান সহ আরো কতগুলো বায়োমেট্রিক পরীক্ষার পর এগুলো গৃহীত হয়।পাসপোর্টের বায়োমেট্রিক ফাইলের ধরন এবং যোগাযোগের প্রটোকল আইসিএও নির্ধারন করে দেয়।আসলে প্রতিটি বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ট্যের শুধুমাত্র ডিজিটাল চিত্র (সাধারনত জেপিইজি বা জেপিইজি২০০০ ফরম্যাটে) চিপে সংরক্ষিত থাকে।ইলেক্ট্রনিক বর্ডার কন্ট্রোল সিস্টেম(ই-বর্ডার) এর মাধ্যমে পাসপোর্টের চিপের বাইরেই বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ট্যের তুলনা করা হয়।যোগাযোগবিহীন চিপে বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ করার জন্য ইইপ্রম মেমোরীর সর্বনিম্ন ৩২ কিলোবাইট জায়গা লাগে এবং আইএসও/আইইসি ১৪৪৪৩ আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুসারে অন্যদের সাথে একটি ইন্টারফেসে এটি চলে।এই মানদন্ড ভিন্ন ভিন্ন দেশ এবং পাসপোর্ট প্রস্তুতকারীদের মধ্যকার কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।

কিছু দেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (উদাহরণস্বরুপ নেদারল্যান্ডস,আলবেনিয়া এবং ব্রাজিলে) সম্পূর্নভাবে আইসিএও৯৩০৩ স্বীকৃত ভ্রমনের বায়োমেট্রিক ডকুমেন্ট হিসেবে কাজ করে।যদিও যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য দেশের পাসপোর্ট এরকম না।

তথ্য সুরক্ষা[সম্পাদনা]

যেকোনো প্রকার আক্রমণ এড়াতে এবং/অথবা চিহ্নিত করতে বায়োমেট্রিক পাসপোর্টে বিভিন্ন রকম সুরক্ষা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়ঃ

  • এর চিপকে ট্রেস বা চিহ্নিত করা যায় না।প্রতিবার আবেদনের জবাবের জন্য আলাদা আলাদা চিপ শনাক্তকারী আলাদা চিপ নাম্বার ব্যবহার করে। এতে পাসপোর্টের চিপের অবস্থান শনাক্ত করা যায় না।এলোমেলো পরিচয় নাম্বার ব্যবহার বাধ্যতামুলক নয়।
  • মৌলিক প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রক(বিএসি):প্রেরিত তথ্যগুলো এনক্রিপ্ট করার মাধ্যমে বিএসি চিপ এবং চিপের পাঠকের মধ্যকার যোগাযোগ মাধ্যমকে রক্ষা করে।কোনো চিপ থেকে তথ্য পড়ার আগে পাঠককে একটি কোড প্রদান করতে হবে যা মেশিন রিডেবল জোনঃজন্মতারিখ,মেয়াদোত্তীর্নের তারিখ এবং ডকুমেন্ট নাম্বারের মধ্যে থাকবে।যদি বিএসি ব্যবহার করা হয় তাহলে আক্রমণকারী (সহজে)সঠিক কোড না জেনে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবে না। বিএসি ব্যবহার ইচ্ছামূলক।
  • নিষ্ক্রিয় প্রমাণীকরন(পিএ)ঃপাসপোর্টের সামান্য পরিবর্তন চিহ্নিত করার লক্ষ্যে পিএ ব্যবহৃত হয়।চিপে একটি ফাইল(এসওডি)থাকে যা চিপের সকল ফাইলের হ্যাশ মানগুলো (ছবি,আঙ্গুলের ছাপ ইত্যাদি) এবং ঐ হ্যাশগুলোর একটি করে ডিজিটাল স্বাক্ষর সংরক্ষিত রাখে।দলিল স্বাক্ষর শব্দচাবি ব্যবহার করে ডিজিটাল স্বাক্ষর দেয়া হয়।দলিল স্বাক্ষর আবার জারি হয় দেশ নির্দেশক শব্দচাবি দিয়ে।যদি চিপের কোনো ফাইল পরিবর্তন করা হয়( যেমনঃ ছবি), তাহলে সেটা চিহ্নিত করা যাবে কারণ তখন হ্যাশের মান ভুল থাকবে।ডিজিটাল স্বাক্ষর কোনো বিশ্বস্ত দেশ করেছে কিনা তা যাচাই করতে পাঠকের সকল দেশের কোডের প্রবেশাধিকার থাকা প্রয়োজন। পিএ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে উইকিলিকস দ্বারা প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সেপ্টেম্বর,২০১১ এর এক নথি অনুসারে," যদিও ভুয়া ই-পাসপোর্টে ডিজিটাল স্বাক্ষর থাকবে না,তবুও পরীক্ষক প্রতারককে ধরতে পারবে না যদি পাসপোর্টটা এমন কোনো দেশের হয় যে দেশ আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার সর্বজনীন শব্দচাবি নির্দেশিকা-য়(আইসিএও পিকেডি) অংশগ্রহণ করেনি। .[২] ২০১৭ এর জানুয়ারী পর্যন্ত, প্রতি ৬০ টা ই-পাসপোর্টের মধ্যে ৫৫ টা পিকেডি প্রোগ্রামের আওতায় রয়েছে।[৩]
  • [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]সক্রিয় প্রমাণীকরন(এএ)ঃ সক্রিয় প্রমাণীকরন পাসপোর্ট চিপকে ক্লোন করা থেকে রক্ষা করে। চিপের মধ্যে এমন একটা ব্যক্তিগত কোড থাকে যা পড়া বা কপি করা যায় না,কিন্তু এর অস্তিত্ব খুব সহজেই প্রমাণ করা যায়। এএ ব্যবহার করাও ইচ্ছামূলক।
  • দীর্ঘস্থায়ী প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ(ইএসি)ঃইএসি চিপ এবং পাঠকের সত্যতা পরীক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখে। উপরন্তু,এটা বিএসি এর চাইতেও শক্তিশালী এনক্রিপশন ব্যবহার করে। ইএসি সাধারনত আঙ্গুলের ছাপ এবং আইরিশ স্ক্যানকে সুরক্ষিত রাখতে ব্যবহৃত হয়। ইএসি ব্যবহার ইচ্ছামূলক। ২৮শে জুন,২০০৯ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে সকল দলিলে ইএসি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
  • বিএসি এর দুর্বলতা খুজে বের করার জন্য ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা প্রাসঙ্গিক প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ (এসএসি) এর প্রবর্তন করেন। এটি প্রবর্তিত করা হয়েছিল বিএসি এর সম্পূরক হিসেবে(সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্য),কিন্তু এটা ভবিষ্যতে পরিবর্তন করা হবে।
  • চিপ রক্ষকঃএটা অননুমোদিত পড়া রোধ করে। কিছু দেশ-অন্তত যুক্তরাষ্ট্র- যখন পাসপোর্টের কভার বন্ধ থাকবে তখন একে সুরক্ষিত রাখতে পাসপোর্টের কভারে খুব পাতলা ধাতব জাল ব্যবহার করেছে। [৪] সুরক্ষা স্তর ইচ্ছামূলক।
  • আন্তঃক্রিয়া এবং সত্যতা প্রমাণের জন্য আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা এবং তথ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত জার্মান রাষ্ট্রীয় অফিস(বিএসআই) কিছু পরীক্ষা নির্ধারন করেছে। এসব নির্ধারিত পরীক্ষা সকল নতুন প্রটোকল দ্বারা হালনাগাদকৃত এবং ব্যবহৃত কাগজ থেকে শুরু করে অর্ন্তগত চিপের সকল খুঁটিনাটি তথ্য খুজে বের করে।[৫]

 পরিদর্শন প্রক্রিয়া[সম্পাদনা]

বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার আদর্শ কাজের-প্রবাহ(ই-গেট)[৬]

আক্রমণ[সম্পাদনা]

বায়োমেট্রিক পাসপোর্টের প্রবর্তনের পর থেকে এর উপর অনেক আক্রমণ উপস্থাপন এবং প্রদর্শন করা হয়েছেঃ

  • এর চিপকে ট্রেস বা চিহ্নিত করা যায় না।২০০৮ সালে র‍্যাডবাউড/লসিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল এটা প্রকাশ করেন যে,একটি পাসপোর্ট চিপ পড়ার প্রয়োজনীয় কোড জানা না থাকলেও চিপটা কোন দেশের সেটা জানা সম্ভব।[৭] দলটি বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট চিপের আঙ্গুলের ছাপ সংক্রান্ত ভুল বার্তার একটি সারনী তৈরী করে।যে সারনী একজন আক্রমণকারীকে এটা নির্ধারন করার অনুমতি দেয় যে চিপটা কোথায় উৎপন্ন হয়েছে।২০১০ সালে টম চথিয়া এবং ভিটালি মিরনভ নির্দিষ্ট বিএসি প্রমাণীকরন অনুরোধ পাঠিয়ে একটি আক্রমণ নথিভুক্ত করেন, যেটা একটি স্বতন্ত্র পাসপোর্টকে ট্রেস করার অনুমতি দেয়।[৮][৯]
  • মৌলিক প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রক (বিএসি)ঃ২০০৫ সালে মার্ক উইটিমান দেখান যে ডাচ পাসপোর্টের ডকুমেন্ট নাম্বারগুলো অনুমানযোগ্য,যা একজন আক্রমণকারীকে চিপটি পড়ার জন্য প্রয়োজনীয় কোড সহজেই অনুমান করার/ভাঙ্গার অনুমতি দেয়।[১০] ২০০৬ সালে অ্যাডাম লরি একটি সফটওয়্যার লেখেন যা সকল পরিচিত পাসপোর্ট কোডগুলোকে একটি নির্দিষ্ট পরিসীমার মধ্যে আনার চেষ্টা করে,যা উইটিমানের একটি আক্রমণকে বাস্তবায়ন করে।অনলাইন ফ্লাইট বুকিং সাইট,ফ্লাইট কুপন এবং অন্যান্য পাবলিক তথ্য ব্যবহার করে সম্ভাব্য কোডের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো যায়।লরি একজন দৈনিক বার্তার প্রতিবেদকের খাম না খুলেই পাসপোর্টের চিপ পড়ার মাধ্যমে আক্রমণটির কথা প্রকাশ করেন।[১১] মনে রাখবেন,প্রথম দিকে বায়োমেট্রিক পাসপোর্টে বিএসি একেবারেই ব্যবহৃত হত না যার ফলে আক্রমণকারী কোনো কোড প্রদান না করেই চিপের তথ্য পড়তে পারতো।[১২]
  • নিষ্ক্রিয় প্রমাণীকরন(পিএ)ঃ ২০০৬ সালে লুকাস গ্রুনওয়াল্ড এটা প্রকাশ করেন যে একটা পাসপোর্ট চিপ থেকে পাসপোর্টের তথ্য একটা স্ট্যান্ডার্ড আইএসও/আইইসি ১৪৪৪৩ স্মার্টকার্ডে কপি করা খুবই তুচ্ছ ঘটনা যা কিনা শুধুমাত্র একটি যোগাযোগবিহীন স্ট্যান্ডার্ড কার্ড ইন্টারফেস এবং একটি সাধারন ফাইল ট্রান্সফার টুল ব্যবহার করেই করা যায়।[১৩] গ্রুনওয়াল্ড এমন একটি পাসপোর্ট ব্যবহার করেন যাতে সক্রিয় প্রমাণীকরন(অ্যান্টি-ক্লোনিং) ব্যবহৃত হয়নি এবং কপিকৃত চিপের তথ্য পরিবর্তন করেননি,যা সাংকেতিক চিহ্নকে বৈধ রাখে।২০০৮ সালে জেরোইন ভ্যান বিক প্রকাশ করেন যে সকল পাসপোর্ট পরীক্ষন ব্যবস্থা সাংকেতিক স্বাক্ষর পরীক্ষা করেনা।নিজের প্রকাশনা প্রমাণের জন্য ভ্যান বিক চিপের তথ্য বদল করেন এবং এতে নিজের তৈরী অ-বিদ্যমান একটি দেশের দলিল স্বাক্ষর শব্দচাবি দিয়ে স্বাক্ষর করেন।এটা শুধুমাত্র দেশ নির্দেশক শব্দচাবি ব্যবহার করে শনাক্ত করা সম্ভব যা কিনা দলিল স্বাক্ষর শব্দচাবি স্বাক্ষর করতে ব্যবহৃত হয়।দেশ নির্দেশক শব্দচাবি পরীক্ষা করার জন্য আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার সর্বজনীন শব্দচাবি নির্দেশিকা ব্যবহার করা যেতে পারে।[১৪] ষাটের অধিক দেশের মধ্যে শুধুমাত্র ৫টা দেশ কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ ব্যবহার করছে।[১৫] ভ্যান বিক মূল পাসপোর্ট চিপ হালনাগাদ করেননিঃ তার পরিবর্তে তিনি একটি ই-পাসপোর্ট ইমুলেটর ব্যবহার করেন।[১৬] ২০০৮ সালেও,দি হ্যাকারস চয়েজ সব আক্রমণ সম্পন্ন করে এবং ফলাফল পরীক্ষার জন্য কোড প্রকাশ করে।[১৭] প্রকাশনার সাথে একটি ভিডিও ছিল যা যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ বলে স্বীকৃত এমন একটি নকল এল্ভিস প্রিসলি পাসপোর্ট ব্যবহারের সমস্যা তুলে ধরে।[১৮][১৯]
  • সক্রিয় প্রমাণীকরণ  (এএ)ঃ২০০৫ সালে মার্ক উইটিমান দেখান যে ক্ষমতা বিশ্লেষনের মাধ্যমে গোপন  সক্রিয় প্রমাণীকরণ শব্দচাবি উদ্ধার করা সম্ভব।আক্রমণকারীরা সেসব পাসপোর্টের ক্লোন করতে পারে যেগুলোতে ঐচ্ছিক সক্রিয় প্রমাণীকরন অ্যান্টি-ক্লোনিং যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয়েছে-যদি চিপের ডিজাইনটা আক্রমণে সমর্থ হয়।২০০৮ সালে জেরোইন ভ্যান বিক প্রকাশ করেন যে পাসপোর্টের সুচিপত্রের ফাইল থেকে নিরাপত্তা যন্ত্রপাতির উপস্থিতি মুছে দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে অচল করে দেয়া সম্ভব।[২০] এটা আক্রমণকারীকে অন্যদের মধ্যে অ্যান্টি-ক্লোনিং যন্ত্রপাতি সরিয়ে ফেলার অনুমতি দেয়।আক্রমণ নথিভুক্ত করা হয় ডক ৯৩০৩ এর সম্পূরক ৭ এ (আর১_পি১_এসIV_0006)[২১] এবং পরিদর্শন সিস্টেম সফটওয়্যার যোগ করে সমাধান করা যায়।মনে রাখবেন যে সম্পূরক ৭ এ কিছু অরক্ষিত উদাহরণ একই ডকুমেন্টে রাখা আছে যা-যখন সম্পাদিত হয়-তখন একটি অরক্ষিত পরিদর্শন প্রক্রিয়ায় ফলাফল দেখায়।
  • দীর্ঘস্থায়ী প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ(ইএসি)ঃ২০০৭ সালে লুকাস গ্রুনওয়াল্ড একটি আক্রমণ ঘটান যা ইএসি সংবলিত পাসপোর্ট চিপকে অকেজো করে দিতে পারে।[২২] গ্রুনওইয়াল্ড বলেন যে যদি একটি ইএসি শব্দচাবি-যা কিনা আঙ্গুলের ছাপ দেখার জন্য এবং সার্টিফিকেট হালনাগাদের জন্য প্রয়োজন-তা যদি চুরি করা হয় বা না ব্যবহৃত হয় তাহলে,একজন আক্রমণকারী অদূর ভবিষ্যতে ইস্যুর তারিখ সহ একটি মিথ্যা সার্টিফিকেট আপলোড করতে পারবে।আক্রান্ত চিপ ভবিষ্যত তারিখ না আশা পর্যন্ত চিপকে পড়ার অনুমতি দিবে না।

প্রতিপক্ষ[সম্পাদনা]

অনেক দেশের গোপনীয়তার প্রবক্তারা তথ্যের অভাবের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং আন্দোলন করেছেন এটা নিয়ে যে পাসপোর্ট চিপে আসলে কি কি থাকবে এবং এটা নাগরিক স্বাধীনতাকে প্রভাবিত করবে কিনা।আসল সমস্যা যেটা তারা খুঁজে বের করেছে সেটা হল যে পাসপোর্টের তথ্য রেডিও ফ্রিকুয়েন্সী আইডেন্টিফিকেশন (আর এফ আই ডি) প্রযুক্তির সাহায্যে খুব সহজেই ট্রান্সফার করা যায়,যা একটি মারাত্মক অরক্ষিত অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে।যদিও এটা একটি আইডি চেক করা কম্পিউটারকে একজন ব্যক্তির শারীরিক সংযোগ ছাড়াই ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য জানার অনুমতি দিতে পারে,এটা প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি থাকলে যে কাউকেই ঐ কাজ করার অনুমতি দিতে পারে।যদি ব্যক্তিগত তথ্য এবং চিপের পাসপোর্ট নাম্বার এনক্রিপ্ট করা না হয়,তথ্যগুলো ভুল হাতে চলে যেতে পারে।

১৫ ডিসেম্বর ২০০৬ সালে বিবিসি প্রকাশিত একটি নিবন্ধ প্রকাশিত করে[২৩] ব্রিটিশ ই-পাসপোর্টের উপর,যা উপর্যুক্ত গল্প উদ্ধৃত করে এবং আরো যোগ করে:

"প্রায় প্রত্যেক দেশে যেখানে এই পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়, কয়েকজন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আছেন যারা চিৎকার করে এটা বলার চেষ্টা করছে: 'এই নিরাপদ নয়।এই প্রযুক্তি ব্যবহার কোনো ভালো আইডিয়া না'", উদ্ধৃতি দিয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, "এটা অনেক বেশি জটিল। এটা ভুল পথে সম্পন্ন করা হয়েছে –প্রথমে তথ্য পড়া,তথ্য ব্যাখ্যা করা,তারপর যাচাই করা এটা ঠিক.আছে কিনা।এতে অনেক প্রযুক্তিগত ভুল রয়েছে এবং এমন কিছু জিনিস আছে যার কথা ভুলে যাওয়া হয়েছে,তাই এটা মূলত তা করছে না যা এর করার কথা ছিল।এটার একটা উচ্চমাত্রার নিরাপত্তা স্তর পাওয়ার কথা।যা এটা পায়নি।"

এবং যোগ করে যে, ভবিষ্যতে তথ্য সমাজে পরিচয়(এফ আই ডি আই এস) নেটওয়ার্ক এর গবেষণা দলও (ইউরোপীয় ইউনিয়ন দ্বারা গৃহীত তথ্য প্রযুক্তি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একটা দল)"ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ায়। [বলে যে] ইউরোপীয় সরকার একটি নথি জনগনের উপর জোর করে চাপিয়ে দিয়েছে যা নাটকীয়ভাবে নিরাপত্তা হ্রাস করে এবং পরিচয় প্রতারণার ঝুঁকি বাড়ায়।"[২৪]

অধিকাংশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ডিজাইন করা হয়েছে অনির্ভরযোগ্য নাগরিকদের বিরুদ্ধে ("বিপথগামী"), কিন্তু বৈজ্ঞানিক নিরাপত্তা সম্প্রদায় সম্প্রতি অবিশ্বস্ত্য যাচাইকারীদের হুমকির কথাও বলেছে,যেমন দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান, বা এমন জাতি যারা দুর্বলভাবে বাস্তবায়িত, অনিরাপদ ইলেকট্রনিক সিস্টেম ব্যবহার করে।[২৫] নতুন ক্রিপ্টোগ্রাফিক সমাধান যেমন ব্যক্তিগত বায়োমেট্রিক্স প্রস্তাবিত হয়েছে মারাত্মক পরিচয় প্রতারণার ঝুঁকি প্রশমিত করার জন্য।এগুলো বর্তমানে বৈজ্ঞানিক গবেষণার মধ্যে আছে, কিন্তু এখনো বায়োমেট্রিক পাসপোর্টে বাস্তবায়ন করা হয়নি।.

বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট ব্যবহারকারী দেশগুলো[সম্পাদনা]

ইউরোপীয় ইউনিয়ন[সম্পাদনা]

এটা পরিকল্পনা করা ছিল যে,ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্য ছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাসপোর্টের রেডিও ফ্রিকুয়েন্সী আইডেন্টিফিকেশন (আর এফ আই ডি) চিপের যায়গায়, ডিজিটাল ইমেজিং এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যান বায়োমেট্রিক্স স্থাপন করা হবে।[২৬] বায়োমেট্রিক্স এর এই সমন্বয়  জালিয়াতি শনাক্তকরণ কাগজপত্র এর বিরুদ্ধে  একটি অতুলনীয় স্তরের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা তৈরি করার লক্ষ্যে কাজ করে।নতুন পাসপোর্টের  প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য ইউরোপীয় কমিশন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।[২৭] উল্লেখ্য এই বৈশিষ্ট্যগুলো বাঁধাই করা হয় শেনজেন চুক্তির জন্য, অর্থাৎ আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্য ব্যতীত ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশগুলো এবং ইউরোপীয় ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের  চারটির মধ্যে তিনটি দেশ – আইসল্যান্ড, নরওয়ে এবং সুইজারল্যান্ড এর জন্য।[২৮] এই দেশগুলো ২৮ আগস্ট ২০০৬ সালে মেশিন পাঠযোগ্য মুখের ছবি পাসপোর্টে বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হয়, এবং আঙ্গুলের ছাপ দেয় ২৯ জুন ২০০৯ সালে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ইউরোপিয়ান তথ্য সুরক্ষা সুপারভাইজার বিবৃত দিয়েছেন যে,বর্তমান আইনি কাঠামো বায়োমেট্রিক সিস্টেমের সহজাত অসম্পূর্ণতা দ্বারা সৃষ্ট সব সম্ভাব্য এবং প্রাসঙ্গিক বিষয় সমাধান করতে ব্যর্থ।"[২৯] বর্তমানে, ব্রিটিশ এবং আইরিশ বায়োমেট্রিক পাসপোর্টে আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহৃত না হয়ে শুধুমাত্র একটি ডিজিটাল চিত্র ব্যবহৃত হয়। জার্মান পাসপোর্ট ১ নভেম্বর ২০০৭ এ  প্রিন্ট করা হয় যাতে দুই হাতের দুটি আঙ্গুলের ছাপ ছিল,একটি ডিজিটাল ছবির সাথে। রোমানিয়ান পাসপোর্টেও দুই হাতের দুই আঙ্গুলের ছাপ থাকে। নেদারল্যান্ডও আঙ্গুলের ছাপ নেয় এবং এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের একমাত্র সদস্য যে এই আঙ্গুলের ছাপ কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষণের পরিকল্পনা করেছে।[৩০] ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী, শুধুমাত্র যে জাতি স্বাক্ষরের মাধ্যমে শেনজেন অর্জনকারী দেশ হয়েছে শুধুমাত্র তাদেরই বায়োমেট্রিক্স ফিঙ্গারপ্রিন্ট  যোগ করতে হয়।[৩১]

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির পাসপোর্টের দাম হবে

  • অস্ট্রিয়া (১৬ জুন, ২০০৬ থেকে চালু)ঃ একটি পূর্ণবয়স্ক পাসপোর্ট খরচ €৭৫.৯০,[৩২] একটি চিপ-ফ্রি বাচ্চাদের সংস্করণ খরচ €৩০.[৩৩] মার্চ ২০০৯ থেকে, সব সদ্য জারিকৃত প্রাপ্তবয়স্ক পাসপোর্টে আঙ্গুলের ছাপ রয়েছে।[৩৪]
  • বেলজিয়াম (চালু অক্টোবর ২০০৪)ঃ €৭১ বা €৪১ শিশুদের জন্য + স্থানীয় করের জন্য। মে ২০১৪ হিসাবে, প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট বৈধ থাকবে ৭ বছর।
  • বুলগেরিয়া (প্রকাশিত হয় জুলাই,২০০৯-এ; ২৯ মার্চ,২০১০ থেকে সহজলভ্য): ৪০ BGN (€২০) প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পাসপোর্ট বৈধ থাকে ৫ বছরের জন্য।[৩৫]
  • ক্রোয়েশিয়া (১ জুলাই ২০০৯ থেকে সহজলভ্য)ঃ ৩৯০ HRK (€৫৩)। চিপে রয়েছে দুটি আঙ্গুলের ছাপ এবং একটি ডিজিটাল ছবি ধারক।১৮ জানুয়ারী ২০১০ থেকে, ক্রোয়েশিয়ার ভিতরে অফিস চালুর জন্য শুধুমাত্র বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট চলবে। কূটনৈতিক মিশন ও রাষ্ট্র-প্রতিনিধি সংক্রান্ত অফিসকে নতুন জারিকৃত সিস্টেম বাস্তবায়ন করতে হবে ২৮ জুন ২০১০ পর্যন্ত।.
  • সাইপ্রাস (১৩ ডিসেম্বর ২০১০ থেকে সহজলভ্য)ঃ €৭০, ১০ বছরের জন্য বৈধ।
  • চেক প্রজাতন্ত্র (১ সেপ্টেম্বর ২০০৬ থেকে সহজলভ্য)ঃ ৬০০ CZK - প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য (বৈধতা ১০ বছর), CZK১০০ শিশুদের জন্য (বৈধতা 5 বছর)।পাসপোর্ট আঙ্গুলের ছাপ ধারণ করবে।
  • ডেনমার্ক (১ আগস্ট ২০০৬ থেকে সহজলভ্য)ঃ DKK৬০০ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য (১০ বছরের জন্য বৈধ), DKK ১১৫ শিশুদের জন্য (বৈধ ৫ বছরের জন্য) এবং DKK ৩৫০, ৬৫ এর অধিক বয়সীদের জন্য(১০ বছরের জন্য বৈধ)।জানুয়ারি ২০১২ হিসেবে, সব নতুন ইস্যুকৃত পাসপোর্টে আঙ্গুলের ছাপ থাকবে।[৩৬]
  • এস্তোনিয়া (২২ মে ২০০৭): EEK৪৫০ (€২৮.৭৬) (বৈধ ৫ বছরের জন্য)।২৯ জুন ২০০৯ এর হিসাবে, সব নতুন ইস্যুকৃত পাসপোর্টে আঙ্গুলের ছাপ থাকবে।[৩৭]
  • ফিনল্যান্ড (২১ আগস্ট ২০০৬ থেকে সহজলভ্য)ঃ €৫৩ (বৈধতা ৫ বছর)।২৯ জুন ২০০৯ এর হিসাবে, সব নতুন ইস্যুকৃত পাসপোর্টে আঙ্গুলের ছাপ থাকবে।[৩৮]
  • ফ্রান্স (এপ্রিল ২০০৬ থেকে সহজলভ্য)ঃ €৮৬ বা €৮৯ (নির্ভর করে আবেদনকারী ছবি দিবে কিনা তার উপর),বৈধতা 10 বছর।১৬ জুন ২০০৯ এর হিসাবে, সব নতুন ইস্যুকৃত পাসপোর্টে আঙ্গুলের ছাপ থাকবে।[৩৯]
  • জার্মানি (নভেম্বর ২০০৫ থেকে সহজলভ্য)ঃ ≤২৩ বছর বয়সী আবেদনকারীদের (বৈধতা ৬ বছর) €৩৭.৫০, >২৪ বছর (বৈধতা ১০ বছর) €৫৯।১ নভেম্বর ২০০৭ থেকে যেসব পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে সেসবে আঙ্গুলের ছাপ থাকবে।[৪০][৪১]
  • গ্রীস (২৬আগস্ট ২০০৬)ঃ €৮৪.৪০ (বৈধতা ৫ বছরের জন্য).[৪২] জুন 2009 থেকে,পাসপোর্টে  আঙ্গুলের ছাপ ধারণ করবে।[৪৩]
  • হাঙ্গেরি (২৯ আগস্ট ২০০৬)ঃ HUF7,৫০০ (€২৬), বৈধতা ৫ বছর, HUF১৪,০০০ (€৪৮.৫০) ১০ বছরের জন্য বৈধ।২৯ জুন ২০০৯ এর হিসাবে, সব নতুন ইস্যুকৃত পাসপোর্টে আঙ্গুলের ছাপ থাকবে।[৪৪][৪৫][৪৬]
  • আয়ারল্যান্ড বায়োমেট্রিক পাসপোর্টের বই ১৬ অক্টোবর ২০০৬ থেকে সহজলভ্য করা হয়, এবং বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট কার্ড অক্টোবর ২০১৫ থেকে পাওয়া যায়
৩২ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের বইয়ের মূল্য নির্ধারণ করা হয় €৮০, ৬৬-পাতা বইয়ের মূল্য  €১১০, দুইটাই ১০ বছরের জন্য বৈধ। 3 থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের পাসপোর্ট বইয়ের মূল্য €২৬.৫০ এবং পাসপোর্ট বইগুলো বৈধ হয় ৫ বছরের জন্য। শিশু' পাসপোর্ট বইগুলোর ৩ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য খরচ €১৬ এবং মেয়াদ ইস্যুর পর থেকে ৩ বছর।
আইরিশ বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট কার্ড শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি এবং যাদের কাছে ইতিমধ্যে একটি আইরিশ পাসপোর্ট বই আছে যার খরচ €৩৫। এগুলোর মেয়াদ গ্রাহকের আইরিশ পাসপোর্ট বইয়ের বা ইস্যুর ৫ বছর পর শেষ হয়, যেটা খুবই অল্প সময়।
(আয়ারল্যান্ড স্বাক্ষরের মাধ্যমে শেনজেন অর্জনকারী দেশ নয় এবং বায়োমেট্রিক্স ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদানে কোনো বাধ্যবাধকতা বা পরিকল্পনা নেই)
  • ইতালি (২৬ অক্টোবর ২০০৬ থেকে সহজলভ্য)ঃ €১১৬,[৪৭] ১০ বছরের জন্য বৈধ।  জানুয়ারী ২০১০ এর হিসাবে নতুন ইস্যুকৃত পাসপোর্টে ফিঙ্গারপ্রিন্ট থাকবে।[৪৮]
  • লাটভিয়া(২০ নভেম্বর ২০০৭ থেকে সহজলভ্য):একজন বয়স্ক লোকের পাসপোর্টের খরচ  Ls১৫ (€২১.৩৬ [১৬ জুলাই,২০১২ এর পূর্বে]), বৈধতা ৫ বা ১০ বছর।
  • লিথুয়ানিয়া(২৮ আগস্ট,২০০৬ থেকে সহজলভ্য): LTL১৫০ (€৪৩)। ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য, বৈধতা সর্বোচ্চ ৫ বছর। ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য এর বৈধতা ১০ বছর।[৪৯]
  •   লুক্সেমবার্গ(২৮ আগস্ট,২০০৬ থেকে সহজলভ্য): €৩০। ৫ বছরের জন্য বৈধ। ২৯ জুন ২০০৯ এর হিসাবে,নতুন ইস্যুকৃত সব  পাসপোর্টে ফিঙ্গারপ্রিন্ট থাকবে।[৫০]
  • মাল্টা(৮ অক্টোবর ২০০৮ থেকে সহজলভ্য): €৭০ ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য
  • ,বৈধতা ১০ বছর, €৩৫ ১০-১৬ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য(বৈধতা ৫ বছর) এবং €১৪১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য(বৈধতা ২ বছর).
  • নেদারল্যান্ডস(২৮ আগস্ট,২০০৬ থেকে সহজলভ্য): প্রায় €১১ নিয়মিত পাসপোর্টের জন্য (€৩৮.৩৩) মূল্য €৪৯.৩৩। ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ থেকে ইস্যুকৃত পাসপোর্টে আঙ্গুলের ছাপ থাকবে। ডাচ পরিচয় কার্ড একদম গ্রাহকের পাসপোর্টের কাগজের মত দেখতে কিন্তু এতে আঙ্গুলের ছাপ থাকে না।[৫১]
  • পোল্যান্ড(২৮ আগস্ট,২০০৬ থেকে সহজলভ্য): ১৪০PLN (€৩৫) প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, PLN৭০ ১৩ এর কম বয়সী শিশুদের জন্য,৭০ বছরের বেশি বয়স্কদের জন্য ফ্রী, বৈধতা ১০ বছর (১৩ বছরের কম বয়সীদের জন্য বৈধতা ৫ বছর)। ২৯শে জুন ২০০৯ থেকে ইস্যুকৃত পাসপোর্টে দুই হাতের তর্জনী আঙ্গুলের ছাপ থাকবে।[৫২]
  •   পর্তুগাল(৩১ জুলাই ২০০৬ থেকে সহজলভ্য – বিশেষ পাসপোর্ট; ২৮ আগস্ট ২০০৬ থেকে সহজলভ্য – সাধারন পাসপোর্ট): €৬৫ সকল নাগরিকদের জন্য যা ৫ বছরের জন্য বৈধ।সব পাসপোর্টে ৩২ পৃষ্ঠা থাকে।[৫৩]
  •   রোমানিয়া(৩১ শে ডিসেম্বর ২০০৮ থেকে সহজলভ্য): ৩০২ RON (€৬৭),[৫৪] ৬ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য বৈধতা ৫ বছর, এবং ৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য বৈধতা ৩ বছর। ১৯ জানুয়ারি ২০১০ এর হিসাবে, নতুন পাসপোর্টে মুখের ছবি এবং আঙ্গুলের ছাপ দুইটাই থাকবে।[৫৫]
  •   শ্লোভাকিয়া(১৫ জানুয়ারি ২০০৮ থেকে সহজলভ্য): একজন প্রাপ্তবয়স্কের পাসপোর্ট (>১৩ বছর) মূল্য €৩৩.১৯ বৈধতা ১০ বছর, অন্যদিকে চিপবিহীন বাচ্চাদের (৫-১৩ বছর) পাসপোর্টের মূল্য €১৩.২৭ যা ৫ বছরের জন্য বৈধ এবং ৫ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য €৮.২৯, কিন্তু বৈধতা মাত্র ২ বছর।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ICAO Document 9303, Part 1, Volume 1 (OCR machine-readable passports)" (PDF)ICAO। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  2. Central Intelligence Agency (সেপ্টেম্বর ২০১১)। "Surviving Secondary: An Identity Threat Assessment of Secondary Screening Procedures at International Airports" (পিডিএফ)Wikileaks 
  3. "ICAO PKD Participants"International Civil Aviation Organization। জানুয়ারি ২০১৭। 
  4. "Metal shields and encryption for US passports"। Newscientist.com। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  5. Funke, Holger। "Overview of eMRTD test specifications"blog.protocolbench.org 
  6. Funke, Holger। "Automatic Border Control Systems (eGate)"blog.protocolbench.org 
  7. "Fingerprinting Passports" (PDF)। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  8. Goodin, Dan (২৬ জানুয়ারি ২০১০)। "Defects in e-passports allow real-time tracking, The Register, Dan Goodin, 26th Jan 2010"। Theregister.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  9. "A Traceability Attack Against e-Passports, Tom Chothia and Vitaliy Smirnov, 14th International Conference on Financial Cryptography and Data Security 2010" (PDF)। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  10. "Attacks on Digital Passports" (পিডিএফ)। ২৯ আগস্ট ২০০৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  11. "Safest ever passport is not fit for purpose"। Daily Mail। ৫ মার্চ ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১২ 
  12. "Belgian Biometric Passport does not get a pass"। Dice.ucl.ac.be। ৬ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  13. Kim Zetter (৩ আগস্ট ২০০৬)। "Hackers clone E-Passports"Wired। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৪ 
  14. "Icao Pkd"। .icao.int। ১৮ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৪ 
  15. Steve Boggan (৬ আগস্ট ২০০৮)। "Fakeproof e-passport is cloned in minutes"The Sunday Times। UK। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১০ 
  16. "ePassport emulator"। Dexlab.nl। ৩০ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  17. "The Hacker's Choice ePassport tools"। Freeworld.thc.org। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  18. "The Hackers Choice (THC) ePassport RFID Vulnerability Demonstration"। Google। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  19. Lettice, John (৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৮)। "Elvis has left the border: ePassport faking guide unleashed"। Theregister.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  20. "ePassport reloaded goes mobile" (PDF)। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  21. (পিডিএফ) http://www2.icao.int/en/MRTD/Downloads/Supplements%20to%20Doc%209303/Supplement%20to%20ICAO%20Doc%209303%20-%20Release%207.pdf#page=35। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৬, ২০০৯  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  22. "PowerPoint Presentation" (পিডিএফ)। ২৫ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  23. "BBC NEWS - Programmes - Click - ePassports 'at risk' from cloning"bbc.co.uk 
  24. Budapest Declaration on Machine Readable Travel Documents, FIDIS NoE, Budapest, September 2006
  25. "E-government: who controls the controllers?"। Opendemocracy.net। ৯ মে ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ 
  26. Jonathan P. Aus (২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬)। "Decision-making under Pressure: The Negotiation of the Biometric Passports Regulation in the Council" (নরওয়েজীয় ভাষায়)। Arena.uio.no। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  27. EC News article ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে about the relevant regulations: Council Regulation (EC) 2252/2004, Commission Decision C(2005)409 adopted on 28 February 2005 and Commission Decision C(2006)2909 adopted on 28 June 2006
  28. Council Regulation (EC) No 2252/2004 of 13 December 2004, see preamble 10–14
  29. Opinion of the European Data Protection Supervisor on the proposal for a Regulation of the European Parliament and of the Council amending Council Regulation (EC) No 2252/2004 on standards for security features and biometrics in passports and travel documents issued by Member States, 6 August 2008
  30. "Dutch government to store fingerprints"। Nrc.nl। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯। ৮ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  31. "COUNCIL REGULATION (EC) No 2252/2004 of 13 December 2004 on standards for security features and biometrics in passports and travel documents issued by Member States" (পিডিএফ)। Official Journal of the European Union। ২৯ ডিসেম্বর ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১০ 
  32. "Reisepass – Neuausstellung"help.gv.at (German ভাষায়)। Bundeskanzleramt Österreich। ১১ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৪ 
  33. "Reisepass – Minderjährige unter 18 Jahren"help.gv.at (German ভাষায়)। Bundeskanzleramt Österreich। ১৫ মে ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৪ 
  34. "Austria Adopts Fingerprint Passports"english.cri.cn। China Radio International। ৩০ মার্চ ২০০৯। ১১ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১০ 
  35. "Bulgaria to Start Issuing Biometric IDs in March 2010"Novinite.com। Sofia News Agency। ১ অক্টোবর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১০ 
  36. "Priser på pas gældende fra 1. oktober 2004"politi.dk (Danish ভাষায়)। Danish National Police। ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯। ২০ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১০ 
  37. "Estonian Passport Application"। Consulate General of Estonia in New York। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১০ 
  38. "Fingerprints to be included in new passports as from 29 June"। Embassy of Finland, Washington। ২৯ জুন ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১০ 
  39. "Passeport biométrique" (French ভাষায়)। Service-public.fr। ২২ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১০ 
  40. "Elektronischer Reisepass" (German ভাষায়)। Bundesministerium des Innern। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১০ 
  41. "Paßgesetz § 5 Gültigkeitsdauer" (German ভাষায়)। Bundesministerium der Justiz। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১০ 
  42. "Issuance of passports"। Embassy of Greece Canberra। ৩১ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১১ 
  43. "Hellenic Ministry of Foreign Affairs"। ৩ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১০ 
  44. Molnár, Szilárd (৬ জুলাই ২০০৯)। "HU: Fingerprint in Hungarian Passports"ePractice। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১০ 
  45. "Június végétől ujjlenyomat is lesz az új útlevelekben"Kormányszóvivő.hu (Hungarian ভাষায়)। ২৬ মে ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  46. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ২৯ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৭ 
  47. "Passport"esteri.it [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  48. "Avvio emissione di passaporto elettronico con impronte digitali" (Italian ভাষায়)। Ambasciata d'Italia a La Valletta। ১১ জানুয়ারি ২০১০। ৫ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১০ 
  49. "Personal document issuing scheme"Personalisation of Identity Documents Centre। Ministry of the Interior। ৮ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৩ 
  50. "Passports"। Embassy of Luxembourg in Washington। জুলাই ৫, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১০ 
  51. "Paspoort twee keer zo lang geldig, ID-kaart zonder vingerafdrukken"rijksoverheid.nl 
  52. "The new Polish passport with fingerprint"। Polska Wytwórnia Papierów Wartościowych S.A.। ২২ জুন ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১০ 
  53. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৭ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০১৭ 
  54. "Romanian Biometric Passport Prices"। RCG। ৭ জানুয়ারি ২০১৪। ৭ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৪ 
  55. "First biometric passport in Bucharest"। RCG। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০। ৩১ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১০