ম্যাথু হগার্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ম্যাথু হগার্ড
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামম্যাথু জেমস হগার্ড
জন্ম (1976-12-31) ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭৬ (বয়স ৪৭)
পাডসে, লিডস, ইংল্যান্ড
ডাকনামহগি, অগি
উচ্চতা৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৬০২)
২৯ জুন ২০০০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট৫ মার্চ ২০০৮ বনাম নিউজিল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৬৫)
৩ অক্টোবর ২০০১ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ ওডিআই১২ এপ্রিল ২০০৬ বনাম ভারত
ওডিআই শার্ট নং২২
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৬-২০০৯ইয়র্কশায়ার (জার্সি নং ১৪)
১৯৯৯-২০০০ফ্রি স্টেট
২০১০-২০১৩লিচেস্টারশায়ার (জার্সি নং ৭৭)
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৬৭ ২৬ ২৩৯ ১৫০
রানের সংখ্যা ৪৭৩ ১৭ ১,৯০৮ ১৪৪
ব্যাটিং গড় ৭.২৭ ৪.২৫ ৯.০৪ ৬.০০
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/৪ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৩৮ ৮৯* ২৩
বল করেছে ১৩,৯০৯ ১,৩০৬ ৪২,৩৪৯ ৬,৯৩২
উইকেট ২৪৮ ৩২ ৭৮৬ ২০৫
বোলিং গড় ৩০.৫০ ৩৬.০০ ২৭.৬৫ ২৫.৭২
ইনিংসে ৫ উইকেট ২৬
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৭/৬১ ৫/৪৯ ৭/৪৯ ৫/২৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২৪/– ৫/– ৬৩/– ১৮/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ম্যাথু জেমস হগার্ড, এমবিই (ইংরেজি: Matthew Hoggard; জন্ম: ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৭৬) লিডসের পাডসে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী দীর্ঘদেহী হগার্ড ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন ম্যাথু হগার্ড

২০০০ থেকে ২০০৮ সময়কালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্টএকদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন। ২০১০ থেকে ২০১৩ সালে অবসরগ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত লিচেস্টারশায়ার দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপূর্বে সর্বমোট তেরো বছর ইয়র্কশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেন।

খেলার ধরন[সম্পাদনা]

অর্থোডক্স সুইং বোলার হিসেবেই দলে ভূমিকা রেখেছেন তিনি। সচরাচর নতুন বল হাতে নিয়ে ইংল্যান্ডের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দিতেন। নতুন বলের চকচকে ভাবের সুবিধা নিয়ে শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানদেরকে সুইং ডেলিভারিতে কাবু করার প্রয়াস চালাতেন। কোন কারণে পিচ কিংবা আবহাওয়ার সুবিধা পাওয়া না গেলে তার সুইং অনেকাংশেই অকার্যকর হয়ে পড়তো।[১] দলের নিয়মিত বোলার হিসেবে অংশগ্রহণ ছিল তার। এছাড়াও হগার্ড রক্ষণাত্মক ব্যাটিংশৈলী খেলায় প্রয়োগ ঘটাতেন। তার ব্যাটিং গড় ছিল মাত্র ৭.৪০। তিনি বলগুলোকে আটকিয়ে দিতেন ও অপরপ্রান্তের ব্যাটসম্যানকে রান তুলতে সহায়তা করতেন। এছাড়াও, নাইটওয়াচম্যান হিসেবেও নিজেকে ব্যবহৃত করতেন তিনি।

হগার্ডের ক্রিকেট জীবন শুরু হয় স্থানীয় দলে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। খ্যাতনামা ব্রাডফোর্ড লীগ ক্লাব ও পেপসি কংস বাসিতে খেলেছেন তিনি। ১৯৯৬ সালে ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। এরপর ১৯৯৮ সালে লিস্ট এ ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।[১]

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

২০০০ সালে নাসের হুসেনডানকান ফ্লেচারের বিকল্প হিসেবে মূলতঃ হগার্ডকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ন্যাটওয়েস্ট সিরিজে আঘাতপ্রাপ্ত অ্যান্ড্রু ক্যাডিকের স্থলাভিষিক্ত হন।[২] ২০০১-০২ মৌসুমে ভারত সফরে মাত্র দুই টেস্টে অংশ নেন ও বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দেন। পরবর্তীকালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭/৬৩ পান।[৩] কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সফরে ম্যাথু হেইডেনের হাতে বেশ নাকানি-চুবানি খান।[১]

তবে ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বেশ সফলকাম হন তিনি।[৪] ৩ এপ্রিল, ২০০৪ তারিখে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ৩৪তম হ্যাট্রিক করেন। ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে এ কীর্তগাঁথা রচনা করে স্বাগতিক দলকে ৯৪ রানে গুটিয়ে দেন। এরফলে ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমের পর ইংল্যান্ড প্রথমবারের ন্যায় সিরিজে জয়ে সমর্থ হয়। এছাড়াও প্রথম সফরকারী দল হিসেবে ক্যারিবীয়ায় তিন টেস্টে জয় করে। আগস্ট, ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৮ রান তোলেন। এরপর জোহেন্সবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১২ উইকেট পান।[১] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে কেপটাউনে কেবলমাত্র অপর ইংরেজ জনি ওয়ারডল তার তুলনায় অধিকতর সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন। ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে ইয়ান বোথামের ১৩/১০৬ লাভের পর খেলায় তার বোলিংয়ে পরিসংখ্যানটি ইংল্যান্ডের পক্ষে সেরা ছিল। ২০০৫ সালের অ্যাশেজ সিরিজে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশলে জাইলসের সাথে জুটি গড়ে ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। ট্রেন্ট ব্রিজে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ টেস্টে ব্রেট লি’র ফুলটসে কভারড্রাইভে চার মেরে ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন। তিন উইকেটে জয়ের পাশাপাশি সিরিজে দল ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত হগার্ড সারাহ নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। মে, ২০০৭ সালে এ দম্পতির সংসারে আর্নি নামের এক পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Matthew Hoggard at CricInfo retrieved 27 November 2007
  2. Hoggard called up for injured Caddick CricInfo retrieved 27 November 2007
  3. Game effort brings reward for tireless Hoggard CricInfo retrieved 27 November 2007
  4. England sweep to victory CricInfo retrieved 27 November 2007

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]