প্যাট্রিক প্যাটারসন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্যাট্রিক প্যাটারসন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামবালফোর প্যাট্রিক প্যাটারসন
জন্ম (1961-09-15) ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬১ (বয়স ৬২)
উইলিয়ামসফিল্ড, জ্যামাইকা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট
ভূমিকাফাস্ট বোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৮৬)
২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট২৭ নভেম্বর ১৯৯৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৪৭)
১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ ওডিআই২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ বনাম পাকিস্তান
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮২ - ১৯৯৮জ্যামাইকা
১৯৮৪ - ১৯৯০ল্যাঙ্কাশায়ার
১৯৮৪ - ১৯৮৫তাসমানিয়ান টাইগার্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২৮ ৫৯ ১৬১ ১০০
রানের সংখ্যা ১৪৫ ৪৪ ৬১৮ ১০৬
ব্যাটিং গড় ৬.৫৯ ৮.৮০ ৫.৮৩ ১০.৬০
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ২১* ১৩* ২৯ ১৬
বল করেছে ৪,৮২৯ ৩,০৫০ ২৪,৩৪৬ ৫,১১৫
উইকেট ৯৩ ৯০ ৪৯৩ ১৪৪
বোলিং গড় ৩০.৯০ ২৪.৫১ ২৭.৫১ ২৪.২৭
ইনিংসে ৫ উইকেট ২৫
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৫/২৪ ৬/২৯ ৭/২৪ ৬/২৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫/– ৯/– ৩২/– ১৫/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বালফোর প্যাট্রিক প্যাটারসন (ইংরেজি: Patrick Patterson; জন্ম: ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৬১) জ্যামাইকার পোর্টল্যান্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের শেষভাগ থেকে ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিক পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ফাস্ট বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেছেন প্যাট্রিক প্যাটারসন[১]

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে জ্যামাইকা, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে তাসমানিয়া ও ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

মরিস ও ইমেলদা দম্পতির সন্তান তিনি। হ্যাপি গ্রোভ হাই স্কুল ও উলমার্স স্কুল থেকে জ্যামাইকা স্কুল সার্টিফিকেট লাভ করেন।[২]

প্যাটারসনের বাবা ও দাদু জ্যামাইকার আঞ্চলিক পর্যায়ের ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[২] শৈশবকাল থেকেই ক্রিকেটে তিনি তার দক্ষতা প্রদর্শন করতে থাকেন। ১৯৮৩ সালে জ্যামাইকার পক্ষে অভিষেক ঘটে তার। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে ইংরেজ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে খেলেন। পাশাপাশি ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে তাসমানিয়ার পক্ষে শেফিল্ড শিল্ডে খেলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৮৬ সালে মাইকেল হোল্ডিংয়ের অনুপস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্যাটারসনের আবির্ভাব ঘটে। সাবিনা পার্কে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় তার। তখন থেকেই তিনি বিশ্বের অন্যতম ফাস্ট-বোলাররূপে চিহ্নিত হন। আক্রমণাত্মক ও দ্রুতগতির অধিকারী প্যাটারসন অভিষেকেই সাত উইকেট দখল করেন। দলে নিজস্থান বহাল রেখে নতুন বলে বোলিংয়ে আক্রমণে নেতৃত্ব দিতেন।[১] ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান গ্রাহাম গুচ মন্তব্য করেন যে, প্যাটারসনের ফাস্ট বোলিং বেশ ভীতিদায়ক ছিল।

১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে ৫/২৪ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে পুনরায় মাঠে ঝড় তোলেন। তার দূর্দান্ত বোলিংয়ে ভারত দল মাত্র ৩০.৩ ওভারেই ইনিংস শেষ করতে বাধ্য হয় যা প্রথমদিনের একটি অধিবেশনের অল্প কিছুসময় স্থায়ী হয়। ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে মেলবোর্নে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হবার পূর্বে স্টিভ ওয়াহ তাকে খেঁপিয়ে তোলেন। ঐদিনের খেলা শেষ হবার পর প্যাটারসন ক্ষেপে গিয়ে অস্ট্রেলীয়দের ড্রেসিং রুমে প্রবেশ করে পঞ্চম ও চূড়ান্ত দিনের প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদেরকে নাস্তানাবুদের কথা ঘোষণা করেন। অস্ট্রেলীয়রা জয়ের জন্য ৪০০ রানের লক্ষ্যমাত্রায় নেমে ১১৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। প্যাটারসন ঐ ইনিংসে পাঁচ-উইকেট পান ও খেলায় নয় উইকেট দখল করেন।

অবসর[সম্পাদনা]

১৯৯২-৯৩ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়। ঐ সফরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সর্বশেষ সিরিজ জয় করেছিল।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Player Profile: Patrick Patterson"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০০৯ 
  2. Sproat, I. (1988) The Cricketers' Who's Who 1988 , Willow Books, London.

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]