সরোজ আভা দাস চৌধুরী (নাগ)
সরোজ আভা দাস চৌধুরী (নাগ) | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৯ আগস্ট ১৯৫১ |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৬৪ সাল পর্যন্ত) ভারত |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
পরিচিতির কারণ | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | 'মহামানব শিক্ষাসনদ' প্রতিষ্ঠান |
রাজনৈতিক দল | অনুশীলন সমিতি |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
দাম্পত্য সঙ্গী | ধীরেন্দ্রনাথ নাগ |
পিতা-মাতা |
|
অনুশীলন সমিতি |
---|
প্রভাব |
অনুশীলন সমিতি |
উল্লেখযোগ্য ঘটনা |
সম্পর্কিত প্রসঙ্গ |
সরোজ আভা দাস চৌধুরী (? - ১৯ আগস্ট ১৯৫১) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা।
জন্ম ও পরিবার[সম্পাদনা]
সরোজ আভা দাস বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক দেশ ঢাকা জেলার বিক্রমপুর এর জামির্তা গ্রামে। তার পিতার নাম রহিনীকুমার দাস চৌধুরী ও মাতার নাম প্রমোদাসুন্দরী দেবী।[১] সরোজ আভার স্বামী ছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ একজন বিপ্লবী।
রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]
১৯২৯ সালে তিনি বিপ্লবী অনুশীলন সমিতি সাথে যুক্ত হন। দলের মহিলা সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। ছাত্রীদের মধ্যে সংগঠন তাে করতেই, তার প্রভাবে তার মা ও ভাইরাও প্রভাবিত হন এবং সমস্ত পরিবারটাই বিপ্লবীদের একটি প্রধান অবলম্বন স্বরূপ হয়। তাদের বাড়িতে নিষিদ্ধ পুস্তক ও অন্যান্য দ্রব্য লুক্কায়িত থাকত। টিটাগড় ষড়যন্ত্র মামলায় আত্মগোপনকারীদের আশ্রয় দিয়েছিলেন।[২] সেই সময় সরােজ আভা দাসচৌধুরী ও তার সহকর্মী মেয়েরা অর্থ দিয়ে এবং অলংকার বিক্রি করে বিপ্লবীদের জীবনযাপনের ও বিপ্লব-প্রচেষ্টায়। এছাড়াও তার বাড়ি ছিল বিপ্লবীদের আশ্রয় কেন্দ্র।[১]
কারাবরণ[সম্পাদনা]
১৯৩৫ সালে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডেটিনিউ রূপে দিনাজপুর, দার্জিলিং, মেদিনীপুরসহ নানা স্থানের জেলে বন্দী রাখে প্রায় দুই বছর। ১৯৩৭ সালে তিনি মুক্তি।
বৈবাহিক জীবন[সম্পাদনা]
১৯৩৮ সালে বিপ্লবী কর্মী ধীরেন্দ্রনাথ নাগ সাথে বিয়ে হয়। তারপরে স্বামীর সাথে মিলে কলকাতায় 'মহামানব শিক্ষাসনদ' প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪২ সালের আন্দোলনের সময়ও তিনি নিজের বাড়িকে কর্মীদের আশ্রয়কেন্দ্র করেন। কর্মীরা তার আশ্রয়ে থেকে আন্দোলন পরিচালনা করেন।
মৃত্যু[সম্পাদনা]
১৯৫১ সালের ১৯ আগস্ট দুরারােগ্য জ্বরে অকস্মাৎ তার মৃত্যু হয়। একটি নিরভিমান ও নীরব কমী সেদিন অকালে বিদায় নিলেন। কত দরিদ্র পরিবার ও অসহায় নারী যে সেদিন অনাথ হয়ে গেলেন তা বলা যায় না।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯। কলকাতা: র্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ১৭৬-১৭৭। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0।
- ↑ বসু, অঞ্জলি (নভেম্বর ২০১৩)। বসু, অঞ্জলি; সেনগুপ্ত, সুবোধচন্দ্র, সম্পাদকগণ। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। ১ (পঞ্চম সংস্করণ, দ্বিতীয় মুদ্রণ সংস্করণ)। কলকাতা: সাহিত্য "সংসদ। পৃষ্ঠা ৭৭০। আইএসবিএন 978-8179551356।