নেস্টর সেরপা কারতোলিনি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নেস্টর সেরপা কারতোলিনি
জন্ম(১৯৫৩-০৮-১৪)১৪ আগস্ট ১৯৫৩
মৃত্যু২২ এপ্রিল ১৯৯৭(1997-04-22) (বয়স ৪৩)
মৃত্যুর কারণKilled in Operation Chavín de Huántar
পেশাGuerrilla, Political activist
কর্মজীবন1970s-1997

নেস্টর সেরপা কারতোলিনি ছিলেন একজন গেরিলা, শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা এবং শ্রমিক ।

জন্ম ও পরিবার[সম্পাদনা]

সেরপা কারতোলিনির জন্ম ১৯৫৩ সালে পেরুর রাজধানী লিমার উপকণ্ঠে ভিক্টোরিয়া জেলার বালকোনসিল্লোতে ।[১] তারা বাবাও ছিলেন শ্রমিক। ১৯৭০ সালে তার বাবার ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যায়। তখন শেরপা স্কুলের পাঠ চুকিয়ে কাজের সন্ধানে নামেন।

চাকরি জীবন[সম্পাদনা]

১৯৭০ সালে তার বাবার ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যায়। তখন শেরপা স্কুলের পাঠ চুকিয়ে কাজের সন্ধানে নামেন। চাকরি পান একটি সুতিবস্ত্র কারখানা, ক্রোমোটেক্সে। চাকরি পান একটি সুতিবস্ত্র কারখানা, ক্রোমোটেক্সে।তার কর্মদক্ষতার কারণে ওই কারখানার শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটরি জেনারেল নির্বাচিত হন। ১৯৭৮ সালে ডিসেম্বরে ওই কারখানাটি লেঅফ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু শেরপার নেতৃত্বে ২৫০ জন শ্রমিক ওই লেঅফ আটকাতে কারখানাটি দখল করে নেয়। ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পেরুর ৭০০ পুলিশ কারখানায় আক্রমণ চালিয়ে তা আবার দখল করে। সংঘর্ষে একজন পুলিশসহ দুইজন শ্রমিক মারা যান। এ ঘটনায় শেরপাসহ ২৪ জনের জেল হয়। ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বরে শেরপা জেল থেকে ছাড়া পান।

গেরিলা দলের কর্মকাণ্ড[সম্পাদনা]

পরে পেরুর টুপাক আমারু বিপ্লবী দলের নেতা ভিক্টর পোলো (Tupac Amaru Revolutionary Movement-MRTA) শেরপাকে দলভুক্ত করেন। ভিক্তর পোলো ও শেরপার নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী গেরিলা দলও গড়ে ওঠে। শেরপা তার দলের সহকর্মী আদিবাসী নারী নেত্রী ন্যান্সি গিল্ভানিওকে বিয়ে করেন। ন্যান্সির দুইভাই আমেরিকো এবং রাউল ছিলেন এই দলের সংগঠক ছিলেন। নান্সির দুই ভাই মার্তিনে সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। ১৯৯২ সালে গ্রেপ্তার করা হয় ভিক্টর পোলোকে। ১৯৯৫ সালের নভেম্বরে সাংবাদিকের ছদ্মবেশে পেরুর সামরিক বাহিনী নেন্সিকে আটক করে। তাদের সবাইকে আটক রাখা হয় লিমার কাছে কাল্লাও নৌঘাটির কাছে একটি জেলে। জেলখানাটি পাহাড় ও মাটির ৩২ হাজার ফুট নিচে। সেখানে এই একই দলের আরো ৪৫০ জন রাজবন্দি ছিলেন।

জাপানি দূতাবাস দখল[সম্পাদনা]

১৯৯৭ সালের ১৭ই ডিসেম্বরে শেরপা রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে ২৫ জন গেরিলাযোদ্ধা নিয়ে লিমায় অবস্থিত জাপানি দূতাবাস দখল করে নেন। সেখানে অবস্থিত ৩৫০ জনকে তারা পণবন্দি করেন। তার মধ্যে ফুজিমোরের মা ও বোন ছিলেন। পরে শেরপা মানবিক দিক বিবেচনা করে ৩০০ জন নারী ও পুরুষকে মুক্তি দেন। তার বিনিময়ে ৪৫০ জনের মুক্তি চান। ১২৬ দিন ধরে একটি স্নায়বিক লড়াই চলে। অবশেষে ১৯৯৮ সালের ২০ এপ্রিলে ১৭২ জন মার্কিনি সামরিক বিশেষজ্ঞ ও ৭২ জন ফুজিমোরের কমাণ্ড বাহিনী আক্রমণ চালিয়ে জাপানি দূতাবাস মুক্ত করে। এ সময় শেরপা এবং দুইজন কিশোরীসহ ১৪ জন গেরিলাকে নৃসংশভাবে হত্যা করা হয়। ১৯৯৮ সালে টুপাক আমারু গেরিলা দলের জাপান দূতাবাস দখল ছিল খুবই আলোচিত একটি বিষয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]