মেঘ বলেছে যাব যাব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মেঘ বলেছে যাব যাব
মেঘ বলেছে যাব যাব উপন্যাসের প্রচ্ছদ
লেখকহুমায়ূন আহমেদ
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
ধরনউপন্যাস
প্রকাশকঅবসর প্রকাশনা, ৩৮/২ ক বাংলাবাজার, ঢাকা[১]
প্রকাশনার তারিখ
ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭[১]
মিডিয়া ধরনছাপা (হার্ডকভার)
আইএসবিএন৯৮৪৪১৫০৫১৫

মেঘ বলেছে যাব যাব হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাস। ১৯৯৭ সালের বইমেলায় উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৯৯৭ সালে অবসর প্রকাশনা বইটি প্রকাশ করে।[১]

পরবর্তীতে অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হুমায়ূন আহমেদের হাতে পাঁচটি নীলপদ্ম নামক উপন্যাস সংকলনেও মেঘ বলেছে যাব যাব উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়।

চরিত্রসমূহ[সম্পাদনা]

  • হাসান – প্রধান চরিত্র
  • তিতলী – হাসানের প্রেমিকা
  • তারেক – হাসানের ভাই
  • রীনা – তারেকের স্ত্রী
  • লাবনী – তারেকের কলিগ
  • লায়লা – হাসানের বোন
  • হিশামুদ্দিন – কোটিপতি ব্যবসায়ী
  • চিত্রলেখা – হিশামুদ্দিনের মেয়ে
  • সুমি – হাসানের ছাত্রী
  • শওকত – তিতলীর স্বামী।
  • নাদিয়া – তিতলীর বোন
  • হাসানের মা-বাবা, তারেকের দুই ছেলে, তিতলীর মা-বাবা, লায়ালার স্বামী
  • রকিব - হাসানের ছোট ভাই

কাহিনী সংক্ষেপ[সম্পাদনা]

হাসান একজন বেকার। তবে পুরো পুরি নয়। কোটিপতি হিশামুদ্দিনের জীবনী সে লিখছে। প্রতি বুধবারে হিশামুদ্দিন সাহেব হাসানকে এক ঘণ্টা করে জীবনী বলবেন বলে কথা হয়েছিল। প্রতি ঘণ্টা ৬০০ টাকা হিসেবে দেওয়ার কথা থাকলেও হিশামুদ্দিন সাহেব কখনো তাকে এক ঘণ্টা সময় দেন না। তবে হিশামুদ্দিন সাহেব হাসানকে অনেক পছন্দ করতেন।
একসময় তিতলীদের পাশের বাসায় থাকত হাসানের পরিবার। সেই থেকে তাদের পরিচয়। পরে একে অপরকে ভালোবেসে ফেলে তারা। তবে হাসান বেকার হওয়ায় তিতলীর বাবা মতিন সাহেব ব্যপারটা পছন্দ করত না।
হাসানের বড় ভাই তার অফিসের এক বিধবা কলিগের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে তার স্ত্রী রীনা তা জানতে পারে। পরে সে তারেককে ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু তারেকের জীবনে যেন কোনো পরিবর্তন আসে না। সে নিজেকে যেন ভারমুক্ত মনে করতে থাকে।
এক পর্যায়ে হিশামুদ্দিন সাহেব মারা যান। তার আগে চিত্রলেখা আর হাসানের পরিচয় করিয়ে দিয়ে যান। চিত্রলেখা জানত তার বাবা হাসানকে অনেক পছন্দ করে।
তিতলীদের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। তাদের সংসার চলত তিতলীর ফুফুর দেওয়া টাকায়। একসময় তিতলীর ফুফু তার জন্য সম্বন্ধ নিয়ে আসে এক পর্যায়ে শওকত নামের ছেলের সাথে বিয়ে হয়ে যায় তিতলীর। কিন্তু তিতলী সব কিছু ভুলে যায় না সে ভুলতে পারে না হাসানকে। তার স্বামী শওকতের সাথে তার যেন এক স্নায়ু যুদ্ধ চলতে থাকে। কোনো এক কালো মেঘে ঢেকে যায় শওকত আর তিতলীর জীবন। যেটুকু কথা না বললেই নয় শুধু সে টুকু কথা বলে সে শওকতের সাথে।
চিত্রলেখা তার বাবার অফিসে বসতে শুরু করে। সেখানেও নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তাকে।
একসময় নেপাল বেড়াতে যায় তিতলী আর শওকত। সেখানে এক সকালে নিজেকে শওকতের কাছে বিলিয়ে দেয় তিতলী।
অন্যদিকে হাসানের ব্রেন টিউমার ধরা পরে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. হুমায়ূন আহমেদ (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭)। মেঘ বলেছে যাব যাব। অবসর প্রকাশনা, ৩৮/২ ক বাংলাবাজার, ঢাকা। পৃষ্ঠা ২। আইএসবিএন ৯৮৪ ৪১৫ ০৫১ ৫