আগরা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

Xanthium
Xanthium strumarium
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Plantae
উপজগৎ: Tracheobionta
বিভাগ: Magnoliophyta
শ্রেণী: Magnoliopsida
উপশ্রেণী: Asteridae
বর্গ: Asterales
পরিবার: Asteraceae (সংস্কৃত অরিস্থ)
উপপরিবার: Asteroideae
গোত্র: Heliantheae
গণ: Xanthium
প্রজাতি: Xanthium strumarium
দ্বিপদী নাম
Xanthium strumarium
L., 1753
Subspecies
প্রতিশব্দ

Xanthium orientale

আগরা বা জামাই নাড়ু[১] বা জেন্থিয়াম ষ্ট্রুমারিয়াম (বৈজ্ঞানিক নাম : Xanthium strumarium ) (সমার্থক X. canadense, X. chinense, X. glabratum, Rough Cocklebur,Large Cocklebur, Woolgarie Bur) Asteraceae পরিবারের অন্তর্গত এক ওষধি (বাৎসরিক) উদ্ভিদ। অনেকে ভুল করে এটাকে ঘাগরা ফল ও বলে থাকেন! কিন্তু ঘাঘরা ফল হল বন ওকরা বা Urena Lobata [২] এটি সম্ভবতঃ উত্তর আমেরিকার থেকে পৃথিবীর অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। দক্ষিণপুর্ব এশিয়ার প্রায় সব দেশে এটি দেখা যায়! [৩][৪] এই গাছের অংশবিশেষে বিষাক্ত ও ঔষধি গুণ দুই প্রকার আছে। [১]

বর্ণনা ও প্রজনন[সম্পাদনা]

আগরা গাছটি প্রায় ৩০ - ৪০ সে.মি. লম্বা, পাতাযুক্ত একটি বর্ষীয় গাছ। পাতা একক, একান্তর, তলের ওপরে সামান্য খরতা থাকলেও ইহা রোমশ নয়। পাতা চওড়া, ডিম্বাকার, আয়তাকার, ৮-১২ সে.মি. দীর্ঘ, ৫-৮ সে.মি. চওড়া, প্রান্ত ওঠা বা সভংগ। পুষ্প মঞ্জরী মুণ্ডক, দ্বিপুস্পক। অর্থাৎ এক লিংগবৎ, পুংপুষ্প, স্ত্রীপুষ্প ভিন্ন ভিন্ন গাছে ধরে। পাপড়ি ৫ টা, পুংকেশর ৫ দল। ফল আয়তাকার, উপবৃত্তাকার, ১-২ ছে.মি. দীর্ঘ, ৭-১২ মি.মি. চওড়া।[১] ফলটি জীব-জন্তুর গায়ে এর রোয়াগুলি দ্বারা লেগে থেকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বিস্তারিত ও তারপর অঙ্কুরিত হয়ে বংশবৃদ্ধি করে। তদুপরি জলের দ্বারাও ভেসে এই ফলের বিস্তার হতে পারে।

বিষ ও ঔষধি গুণ[সম্পাদনা]

আগরার কোনো কোনো ঔষধি গুণ থাকতে পারে বলে অনুমান করা হয়।[৫] দক্ষিণ এশিয়া, চীন ইত্যাদিতে একে পরম্পরাগত ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

আগরা গাছ থেকে এলার্জি হতে পারে। ফুলের রেণু শ্বাস ও চামড়ার রোগের কারণ হতে পারে। গাছের ওপরের অংশে ও গুটিতে hydroquinine, choline, carboxyatratyloside ইত্যাদি ও অন্যান্য বিষাক্ত এলকেলয়েড থাকে। [১][৬]

  • এই গাছ জীবজন্তু খায় না, বহু ক্ষেত্রে খেয়ে মৃত্যু হতেও দেখা গেছে।
  • এর পরম্পরাগত চীনা ঔষধ Cang Er Zi Wan(苍耳子丸) খেয়ে রোগীর মাংসপেশীর অস্থিরতায় ভোগার নজির আছে।
  • বাংলাদেশের সিলেট জেলায় ২০০৭ সালে এই গাছ খেয়ে ১৯ জন লোক মারা গেছে এবং ৭৬ জন লোক পিরীত হয়েছে বলে জানা গেছে। কারণ তারা মৌসুমি বন্যার সময় অনাহারী ছিল এবং অন্য কোনও গাছপালা পাওয়া যায় নি, তাই খাদ্যবস্তুর অভাবে স্থানীয়ভাবে ঘাগরা শাক বলে পরিচিত উদ্ভিদটি লোকেরা প্রচুর পরিমাণে খেয়েছিল। ইহা খাওয়ার পরে দেখা দেওয়া লক্ষণ সমূহ ছিল বমি, মানসিক ভ্রম, সংজ্ঞাহীনতা ইত্যাদি। [৭]

চিত্রাবলী[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. আনন্দ চন্দ্র দত্ত, "আগরা"; "প্রান্তিক", ৩১শ বছর ১৮শ সংখ্যা; ১৬-৩১ আগস্ট ২০১২
  2. Everitt, J.H. (২০০৭)। Weeds in South Texas and Northern Mexico। Lubbock: Texas Tech University Press। আইএসবিএন 0-89672-614-2  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  3. Atlas of Florida Vascular Plants(ইংরেজি)
  4. Calflora Taxon Report 8367 Xanthium strumarium L.
  5. Kamboj Anjoo, Saluja Ajay Kumar "Phytopharmacological review of Xanthium strumarium L. (Cocklebur) 2010 | Volume: 4 | Issue Number: 3 | Page: 129-139
  6. Islam, MR (ডিসে ২০০৯)। "Ethnobotanical, phytochemical and toxicological studies of Xanthium strumarium L"। Bangladesh Medical Research Council bulletin35 (3): 84–90। পিএমআইডি 20922910  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য);
  7. Gurley, ES। "Fatal outbreak from consuming Xanthium strumarium seedlings during time of food scarcity in northeastern Bangladesh."PLoS ONE5 (3): e9756। ডিওআই:10.1371/journal.pone.0009756পিএমআইডি 20305785। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৬-০৭  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)