বনলতা দাশগুপ্ত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বনলতা দাশগুপ্ত
জন্মফেব্রুয়ারি, ১৯১৫
মৃত্যু১ জুলাই ১৯৩৬
(বর্তমান ভারত ভারত)
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পেশারাজনীতিবিদ
পরিচিতির কারণব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন
পিতা-মাতা
  • হেমচন্দ্র দাশগুপ্ত (পিতা)
  • নির্মলাসুন্দরী দাশগুপ্ত (মাতা)

বনলতা দাশগুপ্ত (ফেব্রুয়ারি, ১৯১৫ - ১ জুলাই ১৯৩৬) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা।

জন্ম ও পরিবার[সম্পাদনা]

বনলতা দাশগুপ্ত ১৯১৫ সালে ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হেমচন্দ্র দাশগুপ্ত ও মাতার নাম নির্মলাসুন্দরী দাশগুপ্ত। ছোটবেলায় তিনি হাঁপানি রোগে আক্রান্ত। হন। বহু চিকিৎসায়ও তা আরোগ্য হয় নি। তার ১১-১২ বছর বয়সের সময় নাইডু নামে শরীরচর্চাবিদ তাকে হাঁপানির প্রতিষেধক হিসাবে ব্যয়ামের একটি বিশেষ প্রণালী শিখিয়ে দেন।[১]

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়ে পাঠরত অবস্থাতেই বনলতা দাশগুপ্ত স্বদেশী আন্দোলনের প্রতি আকৃষ্ট হন। বিদেশি বস্ত্র বর্জনের জন্য‌ তার সহপাঠী অন্য ছাত্রীদের কাছে আবেদন জানান। ছোটবেলা থেকেই বিপ্লবীদলে যোগদান করেন বনলতা। ১৯৩০ সালে বনলতার দলের বেশি ভাগ সদস্যই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। ফলে দলটা ভেঙে যায়। লেখাপড়া ছাড়াও মোটরগাড়ি ও পিস্তল চালাতে পারতেন বনলতা। কলেজ হোস্টেলে থাকাকালীন রিভলবার রাখার জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপরে লালবাজার লকআপে তাকে রেখে তিন দিন ধরে উপর অমানুষিক অত্যাচার চালানো হয়। এরপর প্রেসিডেন্সি জেলের অন্ধকার লকআপে একমাস রেখে দেওয়া হয়।[১] তিনি কিছুদিন হিজলি বন্দি নিবাসে বন্দি ছিলেন।[২]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

মাত্র একুশ বছর বয়সে ১ জুলাই ১৯৩৬ সালে মারা যান বনলতা দাশগুপ্ত।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯কলকাতা: র‍্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ১৬০-১৬২। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0 
  2. পতি, ভাস্করব্রত (২২ ডিসেম্বর ২০১৬)। "দেশের প্রথম মহিলা জেল এখন আই আই টি'র গুদামঘর!"গণশক্তি ডট কম। কলকাতা। ২০২২-০২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-২২