ইয়াহিয়া পেত্রা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইয়াহিয়া পেত্রা
মালয়েশিয়ার ৬ষ্ঠ ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং
কেলানতানের সুলতান
ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং
রাজত্ব২১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ – ২৯ মার্চ ১৯৭৯
মালয়েশিয়া২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬
পূর্বসূরিআবদুল হালিম মুয়াজ্জম শাহ
উত্তরসূরিআহমেদ শাহ আল মুসতাইন বিল্লাহ
কেলানতানের সুলতান
রাজত্ব১০ জুলাই ১৯৬০ – ২৯ মার্চ ১৯৭৯
রাজ্যাভিষেক১৭ জুলাই ১৯৬১
পূর্বসূরিইবরাহিম পেত্রা
উত্তরসূরিইসমাইল মেত্রা
জন্ম(১৯১৭-১২-১০)১০ ডিসেম্বর ১৯১৭
কোতা ভারু, কেলানতান, আনফেডারেটেড মালয় স্টেটস, ব্রিটিশ মালয়
মৃত্যু২৯ মার্চ ১৯৭৯(1979-03-29) (বয়স ৬১)
ইসতানা নেগারা, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া
সমাধি৩০ মার্চ ১৯৭৯
দাম্পত্য সঙ্গীতুঙ্কু জয়নব
বংশধরইসমাইল পেত্রা
পূর্ণ নাম
তুঙ্কু ইয়াহিয়া পেত্রা ইবনে তুঙ্কু ইবরাহিম পেত্রা (জন্মনাম)

তুঙ্কু ইয়াহিয়া পেত্রা ইবনে আলমরহুম সুলতান ইবরাহিম পেত্রা (ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং হিসেবে)

সুলতান ইয়াহিয়া পেত্রা ইবনে আলমরহুম সুলতান ইবরাহিম পেত্রা (কেলানতানের সুলতান হিসেবে)
পিতাইবরাহিম পেত্রা
মাতাচে এম্বং বিনতে দাউদ
ধর্মইসলাম (সুন্নি)

সুলতান ইয়াহিয়া পেত্রা ইবনে আলমরহুম সুলতান ইবরাহিম পেত্রা (১০ ডিসেম্বর ১৯১৭ – ২৯ মার্চ‌ ১৯৭৯) ছিলেন মালয়েশিয়ার ষষ্ঠ সম্রাট। ১৯৭৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি সম্রাট ছিলেন। তিনি কেলানতানের দ্বাদশ সুলতান।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

ইয়াহিয়া পেত্রা কোতা ভারুতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন সুলতান ইবরাহিম পেত্রার দ্বিতীয় ছেলে।[১]

ইয়াহিয়ার নিঃসন্তার চাচা তুঙ্কু ইসমাইল তাকে লালনপালন করেছেন। ইসমাইল পরে সুলতান হন। ইয়াহিয়াকে পেনাঙের ফ্রান্সিস লাইট স্কুলে পড়াশোনার জন্য পাঠানো হয়। এরপর তিনি ইংল্যান্ডে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে যান। তার চাচা সুলতান ইসমাইল ১৯৩৯ সালের ২১ জুলাই তাকে তুঙ্কু তেমেংগং নিযুক্ত করেছিলেন। পর তার বাবা সুলতান ইবরাহিম ১৯৪৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তাকে তুঙ্কু বেন্দাহারা নিযুক্ত করেন। ইয়াহিয়া ১৯৪১ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত কেলানতানের বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্বপালন করেছেন।[২]

কেলানতানের উত্তরাধিকার[সম্পাদনা]

তুঙ্কু ইন্দ্রা পেত্রা ছিলেন সুলতান ইবরাহিমের বড় ছেলে। সুলতান ইবরাহিম তার নিঃসন্তান ভাই সুলতান ইসমাইলের উত্তরসূরি হওয়ার পর তুঙ্কু ইন্দ্রা পেত্রা ১৯৪৪ সালের ২৫ অক্টোবর রাজা মুদা তথা উত্তরাধিকারী মনোনীত হন। তবে ইবরাহিমের সাথে দ্বন্দ্বের ফলে ১৯৪৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তাকে অপসারণ করে ইয়াহিয়াকে উত্তরাধিকারী মনোনীত করা হয়।

সুলতান ইবরাহিমের মৃত্যুর পর ইয়াহিয়া পেত্রা ১৯৬০ সালের ৯ জুলাই কেলানতানের সুলতান হন। ১৯৬১ সালের ১৭ জুলাই কোতা ভারুর ইসতানা বালাই বেসারে তার অভিষেক হয়।

উপসম্রাট[সম্পাদনা]

সুলতান ইয়াহিয়া পেত্রা ১৯৭০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেপুটি ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং ছিলেন।

সম্রাট[সম্পাদনা]

ষষ্ঠ সম্রাট নির্বাচনের সময় সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ শাসক পাহাঙের আবু বকর এবং জোহরের সুলতান ইসমাইল উভয়ে দায়িত্বগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। স্বাস্থ্যগত কারণে সুলতান ইয়াহিয়াও রাজি ছিলেন না। তবে পরে তিনি সিদ্ধান্ত বদল করেন।[৩] ১৯৭৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ইয়াহিয়া পেত্রা মালয়েশিয়ার সম্রাট হন।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

সুলতান ইয়াহিয়া ১৯৭৯ সালের ২৯ মার্চ ইসতানা নেগারায় মৃত্যুবরণ করেন। তাকে কোতা ভারুর রাজকীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।[৪]

পরিবার[সম্পাদনা]

তিনি তুঙ্কু জয়নবকে বিয়ে করেছিলেন। তুঙ্কু জয়নবের উপাধি ছিল রাজা পেরেমপুয়ান ও রাজা পেরমাইসুরি আগং। সুলতান ইয়াহিয়া ও তুঙ্কু জয়জবের এক ছেলে ও ছয় মেয়ে রয়েছে।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Finestone, Jeffrey and Shaharil Talib (1994) The Royal Families of South-East Asia Shahindera Sdn Bhd
  2. Risalah Pertabalan Yang di-Pertuan Agong VI Jabatan Penerangan Malaysia
  3. Tunku Abdul Rahman (1978) Viewpoints p 74 Heinemann, Kuala Lumpur
  4. (1 April 1979) New Straits Times
  5. Finestone, Jeffrey and Shaharil Talib (1994) Op Cit
রাজত্বকাল শিরোনাম
পূর্বসূরী
আবদুল হালিম মুয়াজ্জম শাহ
(কেদাহর সুলতান)
ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং
(মালয়েশিয়ার সম্রাট)

১৯৭৫–১৯৭৯
উত্তরসূরী
সুলতান আহমেদ শাহ
(পাহাঙের সুলতান)
পূর্বসূরী
ইবরাহিম পেত্রা
কেলানতানের সুলতান
১৯৬০–১৯৭৯
উত্তরসূরী
ইসমাইল পেত্রা