তুঙ্কু আবদুর রহমান ইবনে আলমরহুম তুঙ্কু মুহাম্মদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আবদুর রহমান
মালয়েশিয়ার প্রথম ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং
নেগেরি সেম্বিলানের প্রথম ইয়াং দি-পেরতুয়ান বেসার
ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং
রাজত্ব৩১ আগস্ট ১৯৫৭ – ১ এপ্রিল ১৯৬০
মালয়েশিয়া২ সেপ্টেম্বর ১৯৫৭
পূর্বসূরিনতুন দপ্তর
উত্তরসূরিহিশামউদ্দিন আলম শাহ
নেগেরি সেম্বিলানের ইয়াং দি-পেরতুয়ান বেসার
রাজত্ব৩ আগস্ট ১৯৩৩ – ১ এপ্রিল ১৯৬০
অভিষেক২৫ এপ্রিল ১৯৩৪
পূর্বসূরিতুঙ্কু মুহাম্মদ শাহ ইবনে তুঙ্কু আন্তাহ
উত্তরসূরিতুঙ্কু মুনাওইর ইবনে আলমরহুম তুঙ্কু আবদুর রহমান
জন্ম(১৮৯৫-০৮-২৪)২৪ আগস্ট ১৮৯৫
সেরি মেনান্তি, নেগেরি সেম্বিলান, ফেডারেটেড মালয় স্টেটস, ব্রিটিশ মালয়
মৃত্যু১ এপ্রিল ১৯৬০(1960-04-01) (বয়স ৬৪)
কুয়ালালামপুর, মালয় ফেডারেশোন
সমাধি৫ এপ্রিল ১৯৬০
সেরি মেনান্তি রাজকীয় কবরস্থান, সেরি মেনান্তি, নেগেরি সেম্বিলান, মালয় ফেডারেশন
দাম্পত্য সঙ্গীডালচি ক্যাম্পবেল
তুঙ্কু কুরশিয়াহ
তুঙ্কু জাইদাহ
তুঙ্কু মাহারুন
বংশধর
বিস্তারিত
তুঙ্কু মুনাওইর
তুঙ্কু জাফর
তুঙ্কু আবদুল্লাহ
তুঙ্কু বাহিয়াহ
পূর্ণ নাম
তুঙ্কু আবদুর রহমান ইবনে তুঙ্কু মুহাম্মদ (জন্মনাম) তুঙ্কু আবদুর রহমান ইবনে আলমরহুম তুঙ্কু মুহাম্মদ (ইয়াং দি-পেরতুয়ান বেসার ও ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং" হিসেবে')
পিতাতুঙ্কু মুহাম্মদ শাহ ইবনে তুঙ্কু আন্তাহ
মাতাতুঙ্কু হালিজাহ বিনতে তুঙ্কু মুদা চিক
ধর্মইসলাম (সুন্নি)

তুঙ্কু আবদুর রহমান ইবনে আল-মরহুম তুঙ্কু মুহাম্মদ (২৪ আগস্ট ১৮৯৫ – ১ এপ্রিল ১৯৬০) ছিলেন মালয় ফেডারেশনের প্রথম ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং তথা রাষ্ট্রপ্রধান। নেগারি সেম্বিলানের ইয়াং দি-পেরতুয়ান বেসার

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

আবদুর রহমান ১৮৯৫ সালের ২৪ আগস্ট সেরি মেনান্তিতে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তিনি ছিলেন তুঙ্কু মুহাম্মদ শাহর দ্বিতীয় ছেলে। জেম্পল মালয় স্কুলে তিনি প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ করেছেন। এরপর ১৯০৭ সাল থেকে ১৯১৪ সালের মধ্যে তিনি মালয় কলেজে লেখাপড়া করেছেন। কুয়ালালামপুরের ফেডারেল সচিবালয়ে তিনি এক বছর কাজ করেছেন। এরপর সেরেম্বানের সহকারী ভূমি রাজস্ব কালেক্টর হন। মালয়ান ভলান্টিয়ার ইনফেন্ট্রিতে তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। ১৯১৮ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট হিসেবে পদন্নোতি পান।[২]

তার বড় ভাই তুঙ্কু আবদুল আজিজ ১৯১৭ সালে মারা যাওয়ার পর তিনি সিংহাসনের উত্তরাধিকারই হন এবং তুঙ্কু মুদা সেরতিং উপাধি পান।

পরবর্তীতে আবদুর রহমান কালাঙে সহকারী মালয় অফিসার নিযুক্ত হন। পরে তাকে সেপাং বদলি করা হয়। এরপর উলু সেলাঙ্গরে তিনি সহকারী ভূমি রাজস্ব কালেক্টরের দায়িত্ব পান। কর্মদক্ষতার জন্য তিনি সহকারী জেলা অফিসার পদে উন্নীত হন। ১৯২৫ তিনি স্বল্পকালীন সময় কুয়ালালামপুর সুপ্রিম কোর্টে কাজ করেছেন।

১৯২৫ সালে তিনি তার বাবার সাথে যুক্তরাজ্যে সরকারি সফরে যান। এসময় তিনি যুক্তরাজ্যে আইন বিষয়ে পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নেন।[১] এরপর তিনি যুক্তরাজ্যে আইন বিষয়ে অধ্যয়ন করেছেন এবং আইনে ডিগ্রি লাভ করেন। ইনার টেম্পল থেকে তিনি ব্যরিস্টার হন। ১৯২৮ সালে তিনি বারে যোগ দেন।[১] লন্ডনে তিনি মালয় জাতীয়তাবাদি সংগঠন কেসাতুয়ান মেলায়ু ইউনাইটেড কিংডমের প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন।

১৯২৮ সালে দেশে ফেরার পর তিনি মালয়ের সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।[৩] কয়েক বছর পর তিনি ম্যাজিস্ট্রেট হন এবং পরে জেলা অফিসার হিসেবে পদন্নোতি পান।

নেগেরি সেম্বিলানের শাসক[সম্পাদনা]

১৯৩৩ সালে বাবার মৃত্যুর পর আবদুর রহমান নেগেরি সেম্বিলানের সিংহাসনে বসেন।[১] এসময় তিনি ছিলেন একমাত্র মালয়ী শাসক যিনি একইসাথে একজন আইনজীবী ছিলেন।

সম্রাট[সম্পাদনা]

১৯৫৭ সালের ৩ আগস্ট তুঙ্কু আবদুর রহমান মালয়েশিয়ার প্রথম ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং নির্বাচিত হন। আট-এক ভোটে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পাহাঙের সুলতান আবু বকরকে পরাজিত করেছিলেন।[৪] এর পূর্বে তিনি ২৪ বছর নেগেরি সেম্বিলানে শাসন করেছেন। ৪ সেপ্টেম্বর প্রথম ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং হিসেবে তার অভিষেক হয়।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

১৯৬০ সালের ১ এপ্রিল তুঙ্কু আবদুর রহমান কুয়ালালামপুরে মৃত্যুবরণ করেন। ২ এপ্রিল কুয়ালালামপুরে রাষ্ট্রীয় সম্মানের সাথে তার জানাজা হয়। ৫ এপ্রিল সেরি মেনান্তিতে তাকে দাফন করা হয়।[৫]

স্মরণ[সম্পাদনা]

তুঙ্কু আবদুর রহমানের ছবি মালয়েশীয় রিঙ্গিতে ছাপা হয়।

পরিবার[সম্পাদনা]

তুঙ্কু আবদুর রহমান চারবার বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রীরা হলেন:

  1. ডালচি ক্যাম্পবেল। ১৯১৯ সালে তাদের বিয়ে হয়। তিনি একজন ইউরেশীয় বংশোদ্ভূত নার্স ছিলেন এবং বিয়ের সময় ইসলামগ্রহণ করেন। এরপর তার নাম হয় চিক মাইমুনাহ। পরবর্তীতে তাদের তালাক হয়।
  2. তুঙ্কু মাহারুন বিনতে তুঙ্কু তুঙ্কু মামবাং। ১৯২০ সালে তাদের বিয়ে হয়। তিনি নেগেরি সেম্বিলান রাজপরিবারের সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে তাদের তালাক হয়।
  3. তুঙ্কু কুরশিয়াহ। ১৯২৯ সালে তাদের বিয়ে হয়। তিনি রাজপরিবারের সদস্য ছিলেন এবং পরবর্তীতে প্রথম রাজা পেরমাইসুরি আগং তথা সম্রাজ্ঞী হন।[৬]
  4. তুঙ্কু জাইদা বিনতে তুঙ্কু জাকারিয়া। তিনি রাজপরিবারের সদস্য। ১৯৪৮ সালে তাদের বিয়ে হয়।[৭]

তুঙ্কু আবদুর রহমানের তিন ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রয়েছে। তিনি ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী তুঙ্কু মাহারুনের সন্তান তুঙ্কু মুনাওইর নেগেরি সেম্বিলানের ৯ম ইয়াং দি-পেরতুয়ান বেসার ছিলেন। প্রথম স্ত্রী মাইমুনাহর দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তারা হলেন তুঙ্কু আইদাহ, তুঙ্কু জাফর, তুঙ্কু শেইলাহ ও তুঙ্কু আবদুল্লাহ। তুঙ্কু জাফর ছিলেন নেগেরি সেম্বিলানের ১০ম ইয়াং দি-পেরতুয়ান বেসার[৮]

আবদুর রহমানের নাতি তুঙ্কু মুহরিজ নেগেরি সেম্বিলানের বর্তমান ইয়াং দি-পেরতুয়ান বেসার।

আগ্রহ[সম্পাদনা]

তুঙ্কু আবদুর রহমান ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিসে আগ্রহী ছিলেন। বক্সিং তার প্রিয় খেলা ছিল।

সম্মাননা[সম্পাদনা]

  • কিং জর্জ ফিফথ সিলভার জুবিলি মেডেল-১৯৩৫
  • কিং জর্জ সিক্সথ করোনেশন মেডেল-১৯৩৭
  • কুইন এলিজাবেথ সেকেন্ড করোনেশন মেডেল-১৯৫৩
  • নাইট গ্র্যান্ড ক্রস অব দ্য অর্ডার অব সেইন্ট মাইকেল এন্ড সেইন্ট জর্জ–১৯৫৭
  • দারজাহ কেরাবাত মাহকোতা ব্রুনাই-১৯৫৯

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Hoiberg, Dale H., সম্পাদক (২০১০)। "Abdul Rahman, Tuanku"। Encyclopedia Britannica। I: A-ak Bayes (15th সংস্করণ)। Chicago, IL: Encyclopedia Britannica Inc.। পৃষ্ঠা 21। আইএসবিএন 978-1-59339-837-8 
  2. Abdul Samad Idris (1961) Takhta Kerajaan Negeri Sembilan Utusan Printcorp Sdn Bhd
  3. ibid
  4. (4 August 1957) Sunday Times, Singapore
  5. Mubin Sheppard (1960) The Death and Funeral of His Late Majesty Tuanku Abdul Rahman Malaya in History Vol 6 No. 1 Malayan Historical Society, Kuala Lumpur
  6. Finestone, Jeffrey and Shahril Talib (1994) The Royal Families of South East Asia pp. 198–199 Shahindera Sdn Bhd
  7. Mubin Sheppard op cit
  8. Halim, Tunku. Tunku Abdullah – A Passion for Life. All-Media Publications, 1998, pp. 25–26.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

রাজত্বকাল শিরোনাম
পূর্বসূরী
ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং
(মালয়েশিয়ার সম্রাট)

১৯৫৭-১৯৬০
উত্তরসূরী
হিশামউদ্দিন আলম শাহ
(সেলাঙ্গোরের সুলতান)
পূর্বসূরী
তুঙ্কু মুহাম্মদ
নেগেরি সেম্বিলানের ইয়াং দি-পেরতুয়ান বেসার
১৯৩৩-১৯৬০
উত্তরসূরী
তুঙ্কু মুনাওইর