হিশামউদ্দিন আলম শাহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হিশামউদ্দিন আলম শাহ
২য় ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং
সেলাঙ্গোরের সুলতান
ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং
রাজত্ব১৪ এপ্রিল ১৯৬০ - ১ সেপ্টেম্বর ১৯৬০
পূর্বসূরিতুঙ্কু আবদুর রহমান ইবনে আলমরহুম তুঙ্কু মুহাম্মদ
উত্তরসূরিতুঙ্কু সৈয়দ পুত্রা ইবনে আলমরহুম সৈয়দ হাসান জামালুল্লাইল
সেলাঙ্গোরের সুলতান
রাজত্ব৪ এপ্রিল ১৯৩৮ - ১৫ জানুয়ারি ১৯৪২
রাজ্যাভিষেক২৬ জানুয়ারি ১৯৩৯
পূর্বসূরিসুলতান আলাউদ্দিন সুলাইমান শাহ ইবনে আলমরহুম রাজা মুদা মুসা
উত্তরসূরিসুলতান মুসা গিয়াসউদ্দিন রিয়ায়াত শাহ
রাজত্ব১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫ - ১ সেপ্টেম্বর ১৯৬০
পূর্বসূরিসুলতান মুসা গিয়াসউদিন রিয়ায়াত শাহ
উত্তরসূরিসুলতান সালাহউদ্দিন আবদুল আজিজ শাহ আলহাজ ইবনে আলমরহুম সুলতান হিশামউদ্দিন আলম শাহ
জন্ম(১৮৯৮-০৫-১৩)১৩ মে ১৮৯৮
কুয়ালা লাঙ্গাত, সেলাঙ্গোর, ফেডারেডেট মালয় স্টেটস, ব্রিটিশ মালয়
মৃত্যু১ সেপ্টেম্বর ১৯৬০(1960-09-01) (বয়স ৬২)
ইসনা নেগারা, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া
সমাধি৩ সেপ্টেম্বর ১৯৬০
দাম্পত্য সঙ্গীরাজা জেমাহ
চিক পুয়ান কালসুম বিনতে মাহমুদ
বংশধর
বিস্তারিত
তুঙ্কু আবদুল আজিজ শাহ
তুঙ্কু বাদিল শাহ
তুঙ্কু হাজাহ রাওদজাহ
তুঙ্কু সিতি কারতিনা
Tengku Ampuan Bariah
তুঙ্কু ইসমাইল শাহ
তুঙ্কু হাজাহ তাকসিয়াহ
পূর্ণ নাম
তুঙ্কু আলম শাহ ইবনে সুলতান আলাউদ্দিন সুলাইমান শাহ (জন্মনাম) তুঙ্কু হিশামউদ্দিন আলম শাহ আলহাজ ইবনে আলমরহুম সুলতান আলাউদ্দিন সুলাইমান শাহ আলহাজ (ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং হিসেবে)
মাতাহাসনাহ বিনতে পিলং
ধর্মইসলাম (সুন্নি)

সুলতান হিশামউদ্দিন আলম শাহ ইবনে আলমরহুম সুলতান আলাউদ্দিন সুলাইমান শাহ (১৩ মে ১৮৯৮ – ১ সেপ্টেম্বর ১৯৬০) ছিলেন মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় সম্রাট। ১৯৬০ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি সম্রাট ছিলেন। তিনি ১৯৩৮-১৯৪২ সাল এবং পুনরায় ১৯৪৫-১৯৬০ সাল পর্যন্ত তিনি সেলাঙ্গোরের সুলতান ছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

তিনি সুলতান আলাউদ্দিন সুলাইমান শাহর প্রথম ছেলে। তার বড় দুই ভাই থাকায় তিনি সিংহাসনের সম্ভাব্য উত্তরসূরি ছিলেন না।

হিশামউদ্দিন মালয় কলেজ কুয়ালা কাংসারে পড়াশোনা করেছেন। ১৯২৯ সালে মালয় কলেজ ওল্ড বয়েজ এসোসিয়েশন স্থাপনে তার ভূমিকা ছিল। ১৯৩১ সালে তিনি সেলাঙ্গোরের তুঙ্কু লাকসামানা নিযুক্ত হন। ইতিপূর্বে তিনি তুঙ্কু পাংলিমা রাজা হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।

সেলাঙ্গোরের উত্তরাধিকার বিতর্ক[সম্পাদনা]

সুলতান আলাউদ্দিন শাহর বেশ কয়েকজন সন্তান ছিল। প্রথম তিনজন হলেন তুঙ্কু মুসা এদ্দিন, তুঙ্কু বদর শাহ ও তুঙ্কু আলম শাহ। প্রথম দুইজন ছিলেন প্রধান রাণী তুঙ্কু আমপুয়ান মাহারুম বিনতে তুঙ্কু জিয়াউদ্দিন এবং তিনি ছিলেন কেদাহর রাজপরিবারের সদস্য। তুঙ্কু মুসা এদ্দিনকে ১৯০৩ সালে তুঙ্কু মাহকুতা করা হয় এবং ১৯২০ সালে রাজা মুদা বা উত্তরাধিকারই ঘোষণা করা হয়।[১]

তবে ব্রিটিশ রেসিডেন্ট থিওডর স্যামুয়েল এডামসের প্ররোচনায় ১৯৩৪ সালে রাজা মুদার পদ থেকে অপসারিত হন। এডামস তার বিরুদ্ধে অমিতব্যয়িতার অভিযোগ করলেও অধিকাংশ মালয়ীর বিশ্বাস ছিল যে এডামসের আদেশ মানতে রাজি না হওয়ায় তাকে পদচ্যুত হতে হয়।[২] মুসার ব্যাপারে সুলতান সুলাইমান আবেদন জানালেও তুঙ্কু আলম শাহকে রাজা মুদা ঘোষণা করা হয়।[৩] ১৯৩৬ সালের ২০ জুলাই এই নিয়োগ কার্যকর হয়।[২]

প্রথম দফা শাসন[সম্পাদনা]

বাবার মৃত্যুর পর ১৯৩৮ সালের ৪ এপ্রিল হিশামউদ্দিন নতুন সুলতান হন। ১৯৩৯ সালের ২৬ জানুয়ারি ক্লাঙের ইস্তানা মাহকুতা পুরিতে তার রাজ্যাভিষেক হয়।[২]

জাপানি আধিপত্য[সম্পাদনা]

১৯৪২ সালের ১৫ জানুয়ারি সেলাঙ্গোরের জাপানি সামরিক গভর্নর কর্নেল ফুজিয়ামা সুলতান হিশামউদ্দিনকে কুয়ালালামপুরে আমন্ত্রণ জানান। ১৯৪৩ সালের নভেম্বরে জাপানিরা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে তুঙ্কু মুসা এদ্দিনকে সুলতান মুসা গিয়াসউদ্দিন রিয়ায়াত শাহ হিসেবে সেলাঙ্গোরের নতুন সুলতান ঘোষণা করে।[৩]

সুলতান হিশামউদ্দিন আলম শাহ জাপানিদের সাথে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান। ১৯৪৩ সালের পর থেকে তিনি তাকে দেয়া জাপানি সুযোগ সুবিধা ফিরিয়ে দেন।[৪]

দ্বিতীয় দফা শাসন[সম্পাদনা]

ব্রিটিশদের আগমনের পর সুলতান হিশামউদ্দিন পুনরায় ক্ষমতালাভ করেন। এসময় সাবেক সুলতান মুসা এদ্দিন কোকোস দ্বীপপুঞ্জে নির্বাসিত হয়েছিলেন।[২]

উপসম্রাট নির্বাচন[সম্পাদনা]

১৯৫৭ সালের ৩ আগস্ট আট-এক ভোটে সুলতান হিশামউদ্দিন ডেপুটি ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং নির্বাচিত হন।[৫]

সম্রাট[সম্পাদনা]

তুঙ্কু আবদুর রহমানের মৃত্যুর পর সুলতান হিশামউদ্দিন মালয়ের দ্বিতীয় ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং নির্বাচিত হন। ১৯৬০ সালের ১৪ এপ্রিল তিনি দপ্তর শুরু করেন। ৩০ জুলাই তিনি মালয়েশিয়ার জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেন।[২]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

সুলতান হিশামউদ্দিন ১৯৬০ সালের ১ সেপ্টেম্বর ৬২ বছর বয়সে কুয়ালালামপুরে মৃত্যুবরণ করেন। ৩ সেপ্টেম্বর সেলাঙ্গোরের সুলতান সুলাইমান মসজিদের নিকটে রাজকীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।[২]

পরিবার[সম্পাদনা]

সুলতান হিশামউদ্দিন দুইবার বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রীরা হলেন:

হিশামউদ্দিন ও রাজা জেমাহর ছেলে তুঙ্কু আবদুল আজিজ শাহ তার উত্তরসূরি হিসেবে সেলাঙ্গোরের সুলতান হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ১১তম ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং হন।

সম্মাননা[সম্পাদনা]

মালয়ী সম্মাননা[সম্পাদনা]

  •  মালয় : অর্ডার অব দ্য ক্রাউন অব দ্য রিয়েল্ম (৩১ আগস্ট ১৯৫৮)[৬]

বৈদেশিক সম্মাননা[সম্পাদনা]

  •  যুক্তরাজ্য :
    • কিং জর্জ ফিফথ সিলভার জুবিলি মেডেল, ১৯৩৫
    • কিং জর্জ সিক্সথ করোনেশন মেডেল, ১৯৩৭
    • নাইট কমান্ডার অব দ্য অর্ডার অব সেইন্ট মাইকেল এন্ড সেইন্ট জর্জ, ১৯৩৮
    • কুইন এলিজাবেথ সেকেন্ড করোনেশন মেডেল, ১৯৫৩

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Buyong Adil, 1971, Sejarah Selangor
  2. Buyong Adil, op cit
  3. Willan, HC (7 October 1945) Interview with the Malay Rulers CAB 101/69, CAB/HIST/B/4/7
  4. ibid
  5. (August 4, 1957) Sunday Times, Singapore
  6. "Senarai Penuh Penerima Darjah Kebesaran, Bintang dan Pingat Persekutuan Tahun 1958." (পিডিএফ)। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৬ 
রাজত্বকাল শিরোনাম
পূর্বসূরী
তুঙ্কু আবদুর রহমান
ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং উত্তরসূরী
তুঙ্কু সৈয়দ পুত্রা
পূর্বসূরী
সুলতান সুলাইমান
সেলাঙ্গোরের সুলতান (প্রথম দফা) উত্তরসূরী
সুলতান মুসা গিয়াসউদ্দিন রিয়ায়াত শাহ
পূর্বসূরী
সুলতান মুসা গিয়াসউদ্দিন রিয়ায়াত শাহ
সেলাঙ্গোরের সুলতান (দ্বিতীয় দফা) উত্তরসূরী
সুলতান সালাহউদ্দিন